গ্লোবাল সুপার লিগে (জিএসএল) নিজেদের প্রথম ম্যাচে খালেদে আহমেদের দারুণ বোলিংয়ে গায়ানা অ্যামাজন ওয়ারিয়র্সকে হারায় রংপুর রাইডার্স। দ্বিতীয় ম্যাচে হোবার্ট হারিকেন্সকে ১ রানে হারিয়েছে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) ফ্রাঞ্চাইজিটি। এবারও রংপুরের জয়ের নায়ক খালেদ।
গায়ানার বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে ৩৬ রানে ৪ উইকেট নেন খালেদ। হোবার্টের বিপক্ষে আরও দুর্দান্ত ছিলেন এই ডানহাতি পেসার। এই ম্যাচেও সমান ৪ উইকেট নিলেও রান খরচায় ছিলেন হিসেবি- ৬.৫০ ইকোনমি রেটে খরচ করেন ২৬ রান। বল হাতে দল জিতিয়ে টানা দ্বিতীয়বারের মতো ম্যাচসেরার পুরস্কার জিতেছেন খালেদ।
প্রোভিডেন্স স্টেডিয়ামে আগে ব্যাট করে ১৫১ রান জড়ো করে রংপুর। জবাবে ১৫০ রানে থামে হোবার্টের ইনিংস। হোবার্টের বিপক্ষে রংপুরের ম্যাচটি ছিল চরম নাটকীয়তায় ঠাসা। জয়ের জন্য শেষ ওভারে ১৩ রান করতে হতো হোবার্টকে। হাতে ছিল ২ উইকেট। এমন সমীকরণে শুরুতেই ওয়াইড দেন আজমতউল্লাহ ওমরজাই। প্রথম বলে ছয় মারেন মোহাম্মদ নবি। দ্বিতীয় বলে নেন ২ রান। তৃতীয় বলে কোনো রান হয়নি। চতুর্থ বলে নবিকে আউট করেন ওমরজাই। শেষ দুই বলে হোবার্টের দরকার ছিল ৪ রান। পঞ্চম বলে ১ রান নিয়ে উসামা মিরকে স্ট্রাইক দেন বিলি স্ট্যানলেক। সে বলে ১ রান নেওয়ার পর রান আউট হন বিলি।
শেষ ওভারে জিতলেও রংপুরের জয়ের ভীতটা আগেই গড়ে দেন খালেদ। ১৯তম ওভারে বল করতে এসে ৯ রানের বিনিময়ে ফাবিয়ান অ্যালেন ও রাফ ম্যাকমিলানকে ফেরান। ১৭তম ওভারে ওডেন স্মিথকে আউট করেন খালেদ। এর আগে ইনিংসের ষষ্ঠ ওভারে ১৯ বলে ৩৪ রান করা বেন ম্যাকডারমটকে সাইফ হাসানের ক্যাচে পরিণত করেন এই পেসার।
রংপুরের হয়ে ৪২ বলে সর্বোচ্চ ৬৭ রানের ইনিংস খেলেন কাইল মায়ার্স। ৪৩ রান করেন ইব্রাহিম জাদরান। ৩১ বল খেলেন এই ওপেনার।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
রংপুর রাইডার্স: ১৫১/৬ (২০ ওভার); মায়ার্স ৬৭*, জাদরান ৪৩; মির ৩/১৫
হোবার্ট হারিকেন্স: ১৫০/১০ (২০ ওভার); নবি ৪৪, ম্যাকডারমট ৩৪; খালেদ ৪/২৬
ফল: রংপুর রাইডার্স ১ রানে জয়ী
ম্যাচসেরা: খালেদ আহমেদ