ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের সঙ্গে সম্পর্ক ছেদ করেন ২০২২ সালের ডিসেম্বরে। ইংল্যান্ড ছেড়ে পাড়ি জমান মধ্যপ্রাচ্যে। সিআর সেভেন নাম লেখেন সৌদি আরবের ক্লাব আল নাসরে। সেই থেকে রোনালদোর মনে জায়গা করে নিয়েছে সৌদি প্রো লিগ। এবং রোনালদো মনে করেন সৌদি লিগ যথাযথ মূল্যায়ন পায় না। এ নিয়ে সিআর সেভেন বলেন, ‘আমার নিজের পক্ষ থেকে কিছু বলার দরকার নেই। কারণ, মানুষ যা খুশি বলতে পারে; কিন্তু সংখ্যাগুলো মিথ্যা নয়। তারা সৌদি লিগ নিয়ে নানা কথা বলে, অথচ কখনো এখানে আসেনি, কখনো খেলেনি, ৪০ ডিগ্রি তাপমাত্রায় দৌড়ানোর কষ্ট তারা জানে না। তবুও আমি বলি, সৌদি লিগ পর্তুগিজ লিগের চেয়ে অনেক, অনেক ভালো।’
সৌদি লিগে গোল করা অনেক কঠিন। এর চেয়ে স্পেনেও গোল করা সহজ। কিন্তু কেন? সেই ব্যাখ্যাও দিয়েছেন রোনালদো, ‘ফরাসি লিগে শুধু পিএসজি। প্রিমিয়ার লিগ ভালো এবং অবশ্যই এটা এক নম্বর। অন্যান্য খেলোয়াড়কে জিজ্ঞাসা করেন লিগটা ভালো কি না, আমাকে নয়। কারণ, সবাই সহজেই বলবে, আহ, ক্রিশ্চিয়ানো বলছে, কারণ সে সৌদিতে খেলছে। না, না। আমি সবখানেই খেলেছি। আমার জন্য স্পেনে গোল করা সৌদিতে গোল করার চেয়ে সহজ।’
পর্তুগালের বিশ্বকাপ শিরোপা খরা এখনো কাটেনি। এ নিয়ে রোনালদো বলেন, ‘মেসির আগে আর্জেন্টিনা কতটি বিশ্বকাপ জিতেছে? জানি না, দুটি? এটা স্বাভাবিক। এই দেশগুলো বড় প্রতিযোগিতার জন্যই তৈরি। যদি ব্রাজিল বিশ্বকাপ জেতে, সেটি কি চমকপ্রদ হবে? না। যদি পর্তুগাল জেতে, বিশ্ব কি অবাক হবে? হ্যাঁ। কিন্তু আমি তা নিয়ে ভাবছি না। আমরা কি জিততে পারি? হ্যাঁ, আমরা এর জন্য লড়াই করব। আমি পর্তুগালের ইতিহাসে তিনটি শিরোপা জিতেছি। এর আগে পর্তুগাল কিছুই জেতেনি।’
পর্তুগিজ সতীর্থ দিয়েগো জোতা ও তার ভাইয়ের শেষকৃত্যে যোগ দেননি রোনালদো। কারণ ব্যাখ্যা করে পিয়ার্স মরগানকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে রোনালদো বলেন, ‘মানুষ আমার অনেক সমালোচনা করে। আমি তাতে কিছু মনে করি না। যখন তোমার বিবেক পরিষ্কার থাকে, তখন কে কী বলল, তা নিয়ে চিন্তা করার প্রয়োজন নেই। আমি একটা কাজ আর করি না, আমার বাবা মারা যাওয়ার পর থেকে আমি আর কখনো কবরস্থানে যাইনি। আমাকে যারা চেনে, তারা বিষয়টা জানে। আমি যেখানে যাই, সেখানে ভিড় জমে, হইচই হয়, মানে একরকম সার্কাস শুরু হয়ে যায়।’
জোতার শেষকৃত্যে তাকে দেখে ভিড় জমে যাক। এটা চাননি রোনালদো, ‘আমি বাইরে যাই না। কারণ, গেলে সবার দৃষ্টি আমার দিকেই চলে যায়। আমি এমন মনোযোগ চাই না। আমি দেখছিলাম যে কিছু লোক সেই সংবেদনশীল মুহূর্তে সাক্ষাৎকার নিচ্ছিল বা ফুটবল নিয়ে কথা বলছিল, আমি এটা পছন্দ করি না।’