প্রীতি ম্যাচ
দুর্দান্ত খেলেছেন লিওনেল মেসি। ফুটবল জাদু দেখিয়ে নিজে গোল করলেন। সতীর্থ লাউতারো মার্টিনেজকে দিয়ে গোল করালেন। দুজনের দারুণ নৈপুণ্যে জিতল আর্জেন্টিনাও। শুক্রবার রাতে অ্যাঙ্গোলাকে ২-০ গোলে হারাল আলবিসেলেস্তেরা। এ নিয়ে বিশ্বকাপ বাছাইয়ের শেষ ম্যাচে ইকুয়েডরের কাছে হেরেছিল বিশ্বকাপের ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নরা। এরপর টানা তিনটি প্রীতি ম্যাচ জিতল আর্জেন্টিনা। ভেনেজুয়েলা আর পুয়ের্তো রিকোকে আগেই হারিয়েছে কোচ লিওনেল স্কালোনির শিষ্যরা। এবার তাদের কাছে ধরাশায়ী হলো অ্যাঙ্গোলাও।
আক্রমণের পর আক্রমণ রচনা করেও গোলের দেখা মিলছিল লা। ভাঙছিল না ম্যাচের ডেডলক। প্রতিপক্ষের গোলমুখে সেভাবে শটই নিতে পারছিল না দুদল, না আর্জেন্টিনা না অ্যাঙ্গোলা। শেষে ম্যাচের ৩৬ মিনিটে গোলের দারুণ এক সুযোগ মিস হয়ে যায় স্বাগতিক অ্যাঙ্গোলার। বক্সের বাঁ পাশ থেকে নেওয়া অ্যাঙ্গোলার কারমেইরোর বাঁ পায়ের শট ওপরে উঠে যায়। গোলপোস্ট থেকে অনেকটা দূর দিয়ে মাঠের বাইরে যায় বল।
দুই মিনিট পর গোলের সুযোগ পেয়েছিলেন লিওনেল মেসি। কিন্তু সুযোগটি কাজে লাগাতে পারেননি আর্জেন্টাইন এ ফুটবল জাদুকর। বক্সের সেন্টার থেকে নেওয়া তার ডান পায়ের শট গোলপোস্টের খুব কাছ ঘেঁষে বাইরে চলে যায়। ইন্টার মিয়ামির তারকা ফরোয়ার্ডকে অ্যাসিস্ট করেছিলেন থিয়াগো আলমাদা। আর্জেন্টিনা গোলের সন্ধান পায় প্রথমার্ধের প্রায় শেষের দিকে। ম্যাচের ৪৩ মিনিটে অতিথিদের গোল এনে দেন লাউতারো মার্টিনেজ। তার এ গোলে সহায়তা করেন মেসি। এটি মেসির ক্যারিয়ারের ৪০১ নম্বর অ্যাসিস্ট। এবং একই সঙ্গে এটি বিশ্বরেকর্ডও।
দ্বিতীয়ার্ধের ৫২ মিনিটে ফের গোল মিস করেন মেসি। তার শট গোলপোস্টের খুব কাছ দিয়ে চলে যায়। এই গোল প্রচেষ্টায় মেসিকে অ্যাসিস্ট করেছিলেন রদ্রিগো ডি পল। ৩ মিনিট বাদে গোলের সুযোগ পেয়েছিলেন মেসি। এবারও তাকে বলের যোগান দিয়েছিলেন রদ্রিগো ডিল পল। কিন্তু দুর্ভাগ্য তার শট রুখে দেয় অ্যাঙ্গোলা।
৫৮ মিনিটে জিতো লুভুমবোর গোল প্রচেষ্টা রুখে দেন আর্জেন্টাইন গোলরক্ষক জেরোনিমো রুলি। ৬৩ মিনিটে ফের গোল মিস করেন জিতো লুভুমবো। তিনটি সুযোগ মিস করার পর অবশেষে তৃতীয় প্রচেষ্টায় গোলের দেখা পেয়েছেন মেসি। ৮২ মিনিটের গোলে সহায়তা করেন লাউতারো মার্টিনেজ। এ নিয়ে ক্যারিয়ারের ৮৯৫তম গোলের দেখা পেয়েছেন মেসি। ম্যাচের শেষ দিকে ইনজুরি টাইমে গোলের সুযোগ মিস করে দুদলই একটি করে।