ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোর ওপর যুক্তরাষ্ট্রের চাপ বাড়ার মধ্যেই তাকে স্পষ্ট সমর্থন জানালেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) মাদুরোর সঙ্গে ফোনে আলাপের সময় পুতিন জানান, ক্রেমলিন মাদুরো সরকারের নীতিকে সমর্থন করে এবং বর্তমান পরিস্থিতিতে ভেনেজুয়েলাকে পাশে থাকবে।
এদিকে রাশিয়ার ঘনিষ্ঠ মিত্র বেলারুশও মাদুরোর প্রতি তাদের কূটনৈতিক সমর্থন জোরালো করছে। দেশটির প্রেসিডেন্ট আলেকজান্ডার লুকাশেঙ্কো গত ১৭ দিনের মধ্যে দ্বিতীয়বারের মতো মস্কোয় নিযুক্ত ভেনেজুয়েলার রাষ্ট্রদূত হেসুস রাফায়েল সালাজার ভেলাসকেজের সঙ্গে দেখা করেছেন। বেলারুশের রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা বেল্টা জানিয়েছে, গত ২৫ নভেম্বর লুকাশেঙ্কো রাষ্ট্রদূতকে বলেন, মাদুরো চাইলে তাকে বেলারুশে সবসময় স্বাগত জানানো হবে।
রয়টার্স বেলারুশ প্রশাসনের কাছে এসব বৈঠকের গুরুত্ব কিংবা মাদুরো পদত্যাগ করলে দেশটি তাকে আশ্রয় দিতে প্রস্তুত কি না—এসব বিষয়ে জানতে চাইলে কোনো মন্তব্য পায়নি।
অন্যদিকে, ট্রাম্প প্রশাসন দীর্ঘদিন ধরেই মাদুরোকে ভেনেজুয়েলার বৈধ প্রেসিডেন্ট হিসেবে স্বীকৃতি দিচ্ছে না। ২০১৯ সালের বিতর্কিত নির্বাচনে তার পুনর্নির্বাচনের দাবিকে যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশগুলো অগ্রাহ্য করেছে। স্বাধীন পর্যবেক্ষকেরাও বলছেন, নির্বাচনে বিরোধী প্রার্থীরাই প্রকৃত বিজয়ী ছিলেন।
সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র ক্যারিবীয় অঞ্চলে সামরিক উপস্থিতি বাড়িয়েছে, যা মাদুরো সরকারের ওপর চাপের কৌশলের একটি অংশ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। পলিটিকোকে দেওয়া সাম্প্রতিক সাক্ষাৎকারে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেন, মাদুরোর সময় “ফুরিয়ে আসছে”, যদিও তিনি ভেনেজুয়েলায় সেনা পাঠানোর সম্ভাবনা নিয়ে কোনো মন্তব্য করেননি।
এদিকে আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক অঙ্গনে গুঞ্জন রয়েছে, মাদুরো গত ২১ নভেম্বর ট্রাম্পকে ফোনে জানিয়ে ছিলেন যে তিনি দেশ ছাড়তে প্রস্তুত—তবে শর্ত হলো, তাকে ও তার পরিবারকে সম্পূর্ণ আইনি নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।
এসআর