উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন ২০২৬ সাল থেকে দেশটির ক্ষেপণাস্ত্র উৎপাদন সম্প্রসারণ ও আধুনিকায়নের নির্দেশ দিয়েছেন। একই সঙ্গে ক্রমবর্ধমান চাহিদা মেটাতে নতুন অস্ত্র কারখানা নির্মাণেরও আদেশ দিয়েছেন তিনি। শুক্রবার উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম এ তথ্য জানিয়েছে।
রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা কোরিয়ান সেন্ট্রাল নিউজ এজেন্সি (কেসিএনএ) জানায়, শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে নিয়ে কিম বিভিন্ন গোলাবারুদ ও অস্ত্র কারখানা পরিদর্শন করেন। সেখানে তিনি কারখানাগুলোকে “রাষ্ট্রের ক্ষেপণাস্ত্র ও আর্টিলারি বাহিনীর ভবিষ্যৎ পরিচালনাগত চাহিদা” পূরণের নির্দেশ দেন।
কিম বলেন, সশস্ত্র বাহিনীর চাহিদার সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে হলে “সামগ্রিক উৎপাদন সক্ষমতা আরও বাড়াতে হবে।” এ জন্য নতুন গোলাবারুদ ও অস্ত্র উৎপাদন কারখানা নির্মাণেরও নির্দেশ দেন তিনি।
কিম জং উন বলেন, “ক্ষেপণাস্ত্র ও গোলাবারুদ উৎপাদন খাত যুদ্ধ প্রতিরোধ ক্ষমতা জোরদারে সর্বোচ্চ গুরুত্ব বহন করে।”
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে উত্তর কোরিয়া উল্লেখযোগ্য হারে ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা বাড়িয়েছে। বিশ্লেষকদের মতে, এর লক্ষ্য হলো নির্ভুল আঘাত হানার সক্ষমতা উন্নত করা, যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়াকে চ্যালেঞ্জ করা এবং ভবিষ্যতে রাশিয়াসহ অন্য দেশে অস্ত্র রপ্তানির আগে সেগুলো পরীক্ষা করা।
কিমের এই সফরের খবর আসে একদিন পর, যখন রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম জানায় তিনি একটি পারমাণবিক সাবমেরিন কারখানা পরিদর্শন করেছেন। সেখানে দক্ষিণ কোরিয়ার নিজস্ব পারমাণবিক সাবমেরিন তৈরির “হুমকি” মোকাবিলার অঙ্গীকার করেন তিনি। একই সঙ্গে “নতুন ধরনের গোপন পানির নিচের অস্ত্র” নিয়ে চলমান গবেষণার বিষয়েও তাকে অবহিত করা হয়।
এছাড়া কিম জং উন জাপান সাগরের ওপর দিয়ে নতুন ধরনের উচ্চ-উচ্চতায় দীর্ঘপাল্লার বিমানবিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ তদারকি করেছেন বলেও জানানো হয়।
উল্লেখ্য, উত্তর কোরিয়ার ক্ষমতাসীন কোরিয়ান ওয়ার্কার্স পার্টি ২০২৬ সালের শুরুতে গত পাঁচ বছরের মধ্যে প্রথম কংগ্রেস আয়োজন করতে যাচ্ছে। সেখানে আগামী পাঁচ বছরের অর্থনৈতিক ও সামরিক উন্নয়ন পরিকল্পনা চূড়ান্ত হওয়ার কথা রয়েছে।
সূত্র: এএফপি
এসআর