আরো বেশ কয়েকটি পশ্চিমা দেশের সঙ্গে যোগ দিয়ে এবার ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতির দেওয়ার পরিকল্পনার কথা জানালো কানাডা। দেশটির প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নি বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, কানাডা আগামী সেপ্টেম্বরে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়ার পরিকল্পনা করছে। খবর আল জাজিরার।
তিনি বলেন, অটোয়া আশা করেছিল আলোচনার মাধ্যমে শান্তিপূর্ণ প্রক্রিয়ায় দ্বি-রাষ্ট্র ভিত্তিক সমাধান অর্জন করা যেতে পারে। তবে সেই উপায় এখন আর টেকসই নয়।
সংবাদ সম্মেলনে মার্ক কার্নি বলেন, গাজায় মানবিক বিপর্যয় প্রতিদিন তীব্র হচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে আগামী সেপ্টেম্বরে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৮০তম সম্মেলনে ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়ার পরিকল্পনা করছে কানাডা।
তবে এই স্বীকৃতি কিছু বিষয়ের ওপর নির্ভর করবে বলে উল্লেখ করেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী। সেগুলো হলো-ফিলিস্তিন কর্তৃপক্ষকে নিজেদের শাসন ব্যবস্থায় মৌলিক সংস্কার আনার, হামাসকে বাদ দিয়ে সাধারণ নির্বাচনের আয়োজন করার এবং এই ভূখণ্ডকে নিরস্ত্রীকরণের প্রতিশ্রুতি দিতে হবে।
তিনি জোর দিয়ে বলেন, ফিলিস্তিনে ভবিষ্যতে হামাস কোন ভূমিকা পালন করতে পারবে না এবং ভবিষ্যতের নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না।
কার্নি বলেন, ‘দ্বি-রাষ্ট্রীয় সমাধান রক্ষা করার অর্থ হলো সহিংসতা বা সন্ত্রাসবাদের পরিবর্তে শান্তি বেছে নেওয়া সকল মানুষের পাশে দাঁড়ানো।’
এরআগে ফ্রান্স ও যুক্তরাজ্যও একই ঘোষণা দেয়। তবে এটা স্পষ্ট নয় যে এই স্বীকৃতি গাজায় ইসরাইলের চলমান যুদ্ধ এবং পশ্চিম তীরে অবৈধ বসতি সম্প্রসারণের ওপর কীভাবে প্রভাব ফেলবে। এই দুটি অঞ্চল নিয়েই ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র গঠন করা হবে।
তবে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেওয়ার পদক্ষেপকে প্রত্যাখ্যান করেছে ইসরাইলের সবচেয়ে বড় মিত্র যুক্তরাষ্ট্র।
আরএ