তুর্কিয়ে ছাড়া মধ্যপ্রাচ্য ও আশপাশের অঞ্চলে কোনও স্থায়ী রাজনৈতিক বা নিরাপত্তা কাঠামো গড়ে তোলা সম্ভব নয়— এমন মন্তব্য করেছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান। তিনি জোর দিয়ে বলেছেন, সিরিয়া ও গাজা সংকট থেকে শুরু করে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ পর্যন্ত— প্রতিটি আঞ্চলিক ইস্যুতে তুর্কিয়ের অংশগ্রহণ অপরিহার্য।
রোববার তুরস্কভিত্তিক গণমাধ্যম ইয়েনি শাফাক এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
গতকাল ইস্তাম্বুল কংগ্রেস সেন্টারে অনুষ্ঠিত “তুর্কিয়ে শতাব্দীর বৈঠক”-এর সমাপনী অধিবেশনের ভাষণে তুর্কিয়েকে আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক কূটনীতিতে অপরিহার্য শক্তি হিসেবে তুলে ধরেন এরদোয়ার।
তিনি বলেন, তুর্কিয়ে এখন তার ভূরাজনৈতিক অবস্থান, মানবিক কূটনীতি ও মধ্যস্থতাকারী ভূমিকার মাধ্যমে “একটি সম্মানিত কণ্ঠস্বর” হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। দেশটি কেবল নিজের নিরাপত্তার জন্যই নয়, বরং পুরো অঞ্চলে শান্তি, স্থিতিশীলতা ও সমৃদ্ধি ছড়িয়ে দিতে কাজ করছে।
এরদোয়ান তার ভাষণে উচ্চাভিলাষী এক পররাষ্ট্রনীতির রূপরেখা তুলে ধরেন। তিনি এমন এক ভবিষ্যতের কথা বলেন, যেখানে “কোনও প্রজন্ম নষ্ট হবে না, মায়েরা কাঁদবেন না এবং তুর্কিয়ের ভৌগোলিক পরিসরে শান্তি ও উন্নতি বিরাজ করবে।” এই দৃষ্টিভঙ্গি জাতীয় নিরাপত্তার পাশাপাশি বৃহত্তর আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার প্রতিফলন ঘটায়।
তুর্কি প্রেসিডেন্ট আরো বলেন, তুর্কিয়ে সন্ত্রাসবাদ নির্মূল এবং সীমান্তের ভেতর ও বাইরে স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠায় দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। তার ভাষায়, দেশটি প্রথমে নিজেদের ভেতরে একটি সন্ত্রাসমুক্ত সমাজ গড়বে, তারপর গোটা অঞ্চলে স্থায়ী নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য একটি উত্তরাধিকার সৃষ্টি করবে।
এরদোয়ান তুরস্কের আন্তর্জাতিক ভূমিকা সম্পর্কে বলেন, আঙ্কারা তার প্রতিবেশী দেশগুলো এবং বৈশ্বিক অংশীদারদের সঙ্গে সহযোগিতামূলক নীতি অনুসরণ করবে। স্থিতিশীলতা, সহযোগিতা ও শান্তি— এই তিনটি মূলনীতিকে সামনে রেখে তুর্কিয়ে আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক কূটনীতিতে অবদান রাখতে চায়।