সুদানের এল-ফাশারে সাম্প্রতিক বেসামরিক হত্যাকাণ্ডের তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ান। তিনি বলেন, এই হত্যাযজ্ঞ মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের নীরব থাকা উচিত নয়।
সোমবার তুরস্কভিত্তিক গণমাধ্যম আনাদোলু এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
ইস্তাম্বুলে অনুষ্ঠিত ইসলামিক সহযোগিতা সংস্থার (ওআইসি) অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক সহযোগিতার স্থায়ী কমিটি (সিওএমসিইসি)-এর ৪১তম অধিবেশনের উদ্বোধনী ভাষণে এরদোয়ান বলেন, “যাদের বুকে হৃদয় আছে — পাথর নয় — তারা সুদানের এল-ফাশারে বেসামরিকদের গণহত্যা মেনে নিতে পারে না। আমরা এই বিষয়ে চুপ থাকতে পারি না।”
তিনি জোর দিয়ে বলেন, সুদানের আঞ্চলিক অখণ্ডতা, সার্বভৌমত্ব ও স্বাধীনতা রক্ষা করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, এবং তুরস্ক সর্বদা সুদানি জনগণের পাশে থাকবে।
এরদোয়ান তার ভাষণে গাজা যুদ্ধের প্রসঙ্গও তোলেন। তিনি বলেন, ফিলিস্তিনি দল হামাস যুদ্ধবিরতি চুক্তি মেনে চলতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, অথচ ইসরায়েল এর পরও ২০০ জনেরও বেশি নিরীহ মানুষকে হত্যা করেছে এবং পশ্চিম তীরে আগ্রাসন অব্যাহত রেখেছে।
তিনি আরও বলেন,“আমাদের গাজার জনগণের জন্য মানবিক সহায়তা বৃদ্ধি করতে হবে এবং পুনর্গঠন শুরু করতে হবে। কিন্তু ইসরায়েল সরকার এই প্রচেষ্টা ব্যর্থ করতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে।”
এরদোয়ান আহ্বান জানান যে আরব লীগ ও ওআইসি কর্তৃক প্রস্তুত পুনর্গঠন পরিকল্পনা অবিলম্বে বাস্তবায়ন করা উচিত, এবং ওআইসি ও সিওএমসিইসি-কে গাজার পুনরুজ্জীবনে আরও সক্রিয় ভূমিকা নিতে হবে।
তিনি সতর্ক করে বলেন,“আমরা পশ্চিম তীরের অধিগ্রহণ, আল-কুদসের মর্যাদা পরিবর্তন বা আল-আকসা মসজিদের পবিত্রতা ক্ষুণ্ন করার কোনো প্রচেষ্টা মেনে নেব না।”
এছাড়া, এরদোয়ান অনুষ্ঠানে উপস্থিত উত্তর সাইপ্রাসের (টিআরএনসি) প্রতিনিধিদের স্বাগত জানিয়ে বলেন, তুর্কি সাইপ্রিয়টরা ইসলামী বিশ্বের অবিচ্ছেদ্য অংশ। তিনি অভিযোগ করেন, তুর্কি সাইপ্রিয়টরা কয়েক দশক ধরে “অন্যায্য ও নির্মম বিচ্ছিন্নতার” মুখোমুখি হলেও দৃঢ়ভাবে টিকে আছে।
সাইপ্রাস ইস্যুতে তিনি ওআইসি সদস্যদের প্রতি আহ্বান জানান দ্বি-রাষ্ট্রীয় সমাধানের ভিত্তিতে তুর্কি সাইপ্রিয়টদের সংগ্রামকে সমর্থন করার জন্য, এবং আশ্বাস দেন যে আঙ্কারা সর্বদা তাদের পাশে থাকবে।