যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজা উপত্যকার পুনর্গঠনে আগামী কয়েক দশক ধরে ৭০ বিলিয়ন ডলার ব্যয় হবে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ। পাশাপাশি অধিকৃত ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে আসন্ন অর্থনৈতিক ধসের বিষয়েও সতর্কবার্তা দেয়া হয়েছে। খবর মিডল ইস্ট মনিটরের।
জাতিসংঘের কনফারেন্স অন ট্রেড অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (আনসিটিএডি) প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গাজায় ইসরাইলের বোমাবর্ষণে ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি করেছে।
ইসরাইলের ধ্বংসযজ্ঞ ও অর্থনৈতিক অবরোধের ফলে গাজায় মাথাপিছু জিডিপি দাঁড়িয়েছে ১৬১ ডলারে, যা বিশ্বে সর্বনিম্ন।
এদিকে, দখলকৃত পশ্চিম তীরে ইসরাইলি সেনা এবং বসতি স্থাপনকারীদের বারবার আক্রমণের কারণে অর্থনৈতিক সংকট তৈরি হয়েছে।
জাতিসংঘ জানিয়েছে, ফিলিস্তিনে কয়েক দশকের অর্থনৈতিক অগ্রগতি ধ্বংস হয়ে গেছে।
সোমবার, মধ্যপ্রাচ্য শান্তি প্রক্রিয়ার জন্য জাতিসংঘের উপ-বিশেষ সমন্বয়কারী রমিজ আলাকবারভ বলেছেন, গাজা পরিস্থিতি ‘অস্পষ্টই’ রয়ে গেছে।
গাজার বাসিন্দারা অসহনীয় পরিস্থিতি মোকাবেলা করছে উল্লেখ করে, মানবিক সহায়তা বৃদ্ধির জন্য জরুরি আন্তর্জাতিক প্রচেষ্টার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
তিনি বলেন, ১৭ লাখের বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত রয়েছে, অনেকেই আশ্রয়কেন্দ্রে আটকা পড়েছেন যেখানে পানি, খাদ্য এবং চিকিৎসা সেবা সীমিত।
আলাকবারভ বলেন, ইসরাইলি অবরোধের কারণে জাতিসংঘ ও অংশীদাররা এখনো প্রয়োজনীয় ত্রাণ সরবরাহ করতে পারছে না।
হাসপাতালগুলোতে বিদ্যুৎ ও পানির অভাব এখনো তীব্র। ইসরাইলকে সীমান্ত ক্রসিং দিয়ে ত্রাণ সরবরাহ বাড়ানোর অনুমতি দেয়ার আহ্বান জানান।
গাজার সরকারি গণমাধ্যম অফিস জানিয়েছে, ইসরাইল প্রতিদিন মাত্র ২০০টি ত্রাণের ট্রাক গাজায় প্রবেশের অনুমতি দিচ্ছে। যদ্রি যুদ্ধবিরতি চুক্তি অনুযায়ী প্রতিদিন ৬০০ ট্রাক প্রবেশের অনুমোতি দেয়ার কথা রয়েছে।
বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির (ডব্লিউএফপি) সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গাজার বেশিরভাগ পরিবার বর্তমানে মৌলিক খাদ্য সামগ্রী কিনতে সক্ষম নয়।
আরএ