যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর ঘোষণা করেছে, ইউরোপীয় ইউনিয়নের সাবেক একজন কমিশনারসহ পাঁচজনকে তারা ভিসা দেবে না। যুক্তরাষ্ট্রের দাবি, এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে তাদের বিরুদ্ধে ‘চাপ প্রয়োগ ও সেন্সরশিপে সহায়তার’ অভিযোগের কারণে।
ভিসা নিষেধাজ্ঞার তালিকায় রয়েছেন ইউরোপীয় কমিশনের প্রযুক্তি বিষয়ক সাবেক শীর্ষ নিয়ন্ত্রক থিয়েরি ব্রেটন। মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, তিনি ইউরোপীয় ইউনিয়নের ডিজিটাল সার্ভিসেস অ্যাক্ট (ডিএসএ)-এর মূল পরিকল্পনাকারী। এই আইনের আওতায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলোকে তাদের প্ল্যাটফর্মে আসা কনটেন্ট যাচাই-বাছাই করতে হয়।
পররাষ্ট্র সচিব মার্কো রুবিও বলেন, “এসব উগ্রপন্থী কর্মী এবং রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহৃত বেসরকারি সংস্থাগুলো বাইরের দেশগুলোর হয়ে সেন্সরশিপ অভিযান এগিয়ে নিয়েছে। প্রতিটি ক্ষেত্রে মার্কিন বক্তা ও কোম্পানিগুলো লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে।”
ব্রেটন বিষয়টি উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হয়রানি হিসেবে দেখছেন। তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লিখেছেন, “আমাদের আমেরিকান বন্ধুদের উদ্দেশে বলছি—সেন্সরশিপ আপনি যেখানে ভাবছেন, সেখানে নেই।”
যুক্তরাষ্ট্রের এই পদক্ষেপে কিছু রক্ষণশীল গোষ্ঠীর মধ্যে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। তারা অভিযোগ করছে, এর মাধ্যমে ডানপন্থী মতাদর্শকে দমন করা হচ্ছে। তবে ব্রাসেলস এ অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
তালিকায় আরও রয়েছেন যুক্তরাজ্যভিত্তিক গ্লোবাল ডিসইনফরমেশন ইনডেক্সের প্রধান ক্লেয়ার মেলফোর্ড এবং অনলাইন ঘৃণা ও ভুয়া তথ্যের বিরুদ্ধে কাজ করা অলাভজনক সংস্থা সেন্টার ফর কাউন্টারিং ডিজিটাল হেইটের (সিসিডিএইচ) প্রধান ইমরান আহমেদ। এছাড়া জার্মান সংস্থা হেটএইডের দুই কর্মকর্তা আনা-লেনা ভন হোডেনবার্গ ও জোসেফিন বালোঁকেও ভিসা নিষেধাজ্ঞার আওতায় আনা হয়েছে।
সারা বি রজার্স অভিযোগ করেন, এই সংস্থাগুলো মার্কিন নাগরিকদের মতপ্রকাশ দমন এবং সরকারকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করার প্রচেষ্টায় যুক্ত ছিল। তবে সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলো এটিকে অনৈতিক ও বেআইনি এবং বাকস্বাধীনতার ওপর সরকারি হস্তক্ষেপ হিসেবে অভিহিত করেছে।
সূত্র: বিবিসি
এসআর