তুর্কি প্রজাতন্ত্রের ১০২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে তুরস্ককে সন্ত্রাসমুক্ত করার অঙ্গীকার করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ান। বুধবার আঙ্কারার রাষ্ট্রপতি কমপ্লেক্সে প্রজাতন্ত্র দিবস উপলক্ষে দেওয়া ভাষণে তিনি বলেন, ধৈর্য, সংকল্প ও বিচক্ষণতার মাধ্যমে সরকার দেশের অভ্যন্তরীণ সব সন্ত্রাসী হুমকি নির্মূল করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
তুরস্কভিত্তিক গণমাধ্যম ডেইলি সাবাহ এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
এরদোয়ান বলেন, “আমরা এমন একটি তুরস্ক গড়ে তুলতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ, যেখানে সন্ত্রাসের হুমকি শূন্যে নামিয়ে আনা হয়েছে। আমরা আমাদের রাষ্ট্রের মর্যাদার সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণভাবে এই প্রক্রিয়া এগিয়ে নেব।”
সম্প্রতি পিকেকে (PKK) ঘোষণা দিয়েছে যে তারা ‘সন্ত্রাসমুক্ত তুরস্ক উদ্যোগ’-এর অংশ হিসেবে তুরস্ক থেকে প্রত্যাহার শুরু করেছে। এর আগে মে মাসে সংগঠনটি তাদের সহিংস কর্মকাণ্ডের সমাপ্তি ঘোষণা করে, যা তাদের কারাবন্দী নেতা আবদুল্লাহ ওকালানের দল বিলুপ্ত করার আহ্বানের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ। ওকালানের এই আহ্বান ছিল এমএইচপি নেতা ডেভলেট বাহচেলির প্রস্তাবিত “সন্ত্রাসমুক্ত তুর্কিয়ে উদ্যোগ”-এর প্রতিক্রিয়া।
প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান তাঁর ভাষণে সন্ত্রাসবিরোধী লড়াই ও জাতীয় স্থিতিস্থাপকতাকে স্বাধীনতা যুদ্ধের উত্তরাধিকার হিসেবে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, “স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় গাড়িতে করে গোলাবারুদ বহনকারী বীরদের কাছ থেকে আমরা যে শক্তি পেয়েছি, তা দিয়েই আজ আমরা নিজেদের ড্রোন, হেলিকপ্টার, জাহাজ ও যুদ্ধবিমান তৈরি করছি।”
তিনি আরও বলেন, গত দুই দশকে তুরস্ক তার প্রতিরক্ষা শিল্পে ৮০ শতাংশ বিদেশি নির্ভরতা কমিয়ে এখন একটি বিশ্ব প্রতিযোগিতার উপযুক্ত খাতে পরিণত হয়েছে।
প্রতিরক্ষা, অর্থনীতি, স্বাস্থ্য, প্রযুক্তি ও অবকাঠামোসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে তুরস্কের অগ্রগতির কথা উল্লেখ করে এরদোয়ান বলেন, “প্রজাতন্ত্রের প্রতি প্রকৃত সেবা স্লোগানে নয়, বাস্তব অর্জনে নিহিত।” তিনি যোগ করেন, “যতক্ষণ আমাদের জাতি একে অপরকে স্নেহের সঙ্গে আলিঙ্গন করবে, ততক্ষণ কোনো শক্তি তুরস্কের যাত্রাকে বাধাগ্রস্ত করতে পারবে না।”