ক্যারিবিয়ান সাগরে সন্দেহভাজন মাদকবাহী একটি নৌকায় আবারও প্রাণঘাতী হামলা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনী। এতে চারজন নিহত হয়েছেন বলে পেন্টাগন নিশ্চিত করেছে। আল জাজিরার প্রতিবেদনে জানানো হয়, বৃহস্পতিবারের এই হামলার পর প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন নতুন করে সমালোচনার মুখে পড়েছে।
ইউএস সাউদার্ন কমান্ড জানায়, প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথের নির্দেশে আন্তর্জাতিক জলসীমায় একটি সন্ত্রাসী সংগঠনের নিয়ন্ত্রিত নৌযান লক্ষ্য করে অভিযান চালানো হয়। গোয়েন্দা তথ্য অনুযায়ী, নৌযানটি পূর্ব প্রশান্ত মহাসাগরের পরিচিত রুট ব্যবহার করে মাদক পরিবহনে জড়িত ছিল। কমান্ডের দাবি, হামলায় নৌকায় থাকা চারজন সন্ত্রাসী নিহত হয়েছে।
এই ঘটনা এমন সময়ে ঘটল যখন গত ২ সেপ্টেম্বর দুই দফা হামলার তথ্য প্রকাশের পর পুরো অভিযান নিয়ে ট্রাম্প প্রশাসন ইতোমধ্যে তদন্তের মুখোমুখি হয়েছে। বিশ্লেষকদের মতে, এসব হামলা সম্ভাব্য যুদ্ধাপরাধ হিসেবে বিবেচিত হতে পারে। সেপ্টেম্বরে প্রকাশিত ঘটনার পর কংগ্রেসের দ্বিদলীয় কমিটিগুলো নতুন তদন্ত শুরু করেছে।
হোয়াইট হাউস বলছে, প্রথম হামলার পর দ্বিতীয় দফা আক্রমণের নির্দেশ প্রতিরক্ষামন্ত্রী নয়, অ্যাডমিরাল ফ্রাঙ্ক মিচ ব্রাডলি দিয়েছিলেন। ধারণা করা হয়, ওই দ্বিতীয় হামলায় প্রথম হামলা থেকে জীবিত থাকা দুই ব্যক্তি নিহত হন।
এ বছরের সেপ্টেম্বরের শুরু থেকে ক্যারিবিয়ান ও পূর্ব প্রশান্ত মহাসাগরে মাছ ধরার নৌকা লক্ষ্য করে ধারাবাহিক হামলা চালিয়ে আসছে মার্কিন বাহিনী, যেখানে এখন পর্যন্ত ৮০ জনের বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন। জাতিসংঘ এসব ঘটনাকে বিচারবহির্ভূত হত্যা আখ্যা দিয়ে অবিলম্বে বন্ধের আহ্বান জানিয়েছে।
যদিও হোয়াইট হাউস দাবি করছে, সব হামলাই সশস্ত্র সংঘাতের আইন মেনে করা হয়েছে, কিন্তু আইন বিশেষজ্ঞদের মতে নিরস্ত্র ব্যক্তিকে টার্গেট করা যুদ্ধাপরাধের শামিল। যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক ম্যানুয়ালেও জাহাজডুবির পর জীবিতদের ওপর আক্রমণকে অবৈধ ঘোষণা করা রয়েছে।
এসআর