ভার্জিনিয়ার ডেমোক্র্যাট নেতা ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দীর্ঘমেয়াদি মুসলিম রাজ্য আইনপ্রণেতা স্যাম রসুল মঙ্গলবার নির্বাচনে বড় জয় পেয়েছেন। যদিও ইতোমধ্যে গাজায় ইসরাইলের হামলাকে ‘গণহত্যা’ বলে নিন্দা করায় দীর্ঘদিন ধরেই ইহুদি-বিদ্বেষের অভিযুক্ত ছিলেন রসুল।
২০১৪ সাল থেকে দায়িত্বে থাকা এই আমেরিকান-ফিলিস্তিনি রাজনীতিক ভার্জিনিয়ার রোয়ানোক অঞ্চলের প্রতিনিধি হিসেবে পুনর্নির্বাচিত হয়েছেন। যেখানে শহরবাসী ডেমোক্র্যাটদের প্রতি আস্থা রাখলেও আশপাশের এলাকাগুলোতে গভীর প্রভাব ছিল রক্ষণশীলদের। ট্রাম্পের নীতির ওপর এক ধরনের গণভোট হিসেবে দেখা এই নির্বাচনে রসুল আগের নির্বাচনের তুলনায় ৫ শতাংশ বেশি ভোট পেয়েছেন।
গার্ডিয়ানকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে রসুল বলেন, ‘ভার্জিনিয়ার বাইবেল বেল্টে একজন ফিলিস্তিনি মুসলিমের ৭০% ভোটে জয় প্রমাণ করে—গাজা গণহত্যার বিষয়ে সৎ ও সাহসী হওয়া রাজনৈতিক আত্মহত্যা নয়, বরং ন্যায়ের পক্ষে অবস্থান।’
তার প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন এক ইহুদি রিপাবলিকান প্রার্থী, যিনি নিজেকে ইসরাইলপন্থী বলে প্রচার করেন। তিনি রসুলের বিরুদ্ধে ‘ঘৃণামূলক বক্তব্য’ ও ‘ইহুদি-বিরোধিতা’র অভিযোগ তোলেন, বিশেষ করে যখন রসুল গাজায় ৭০,000-এরও বেশি ফিলিস্তিনির মৃত্যুকে “মানব ইতিহাসের সবচেয়ে ভয়াবহ নির্মূল” বলে অভিহিত করেছিলেন।
বহু আক্রমণাত্মক প্রচারণা, বিরূপ মন্তব্য এবং মিডিয়া চাপ সত্ত্বেও রসুলের জয় প্রমাণ করেছে—আমেরিকার ভোটাররা এখন রাজনীতিকদের কাছ থেকে ভণ্ডামি নয়, বরং সততা ও মানবতার পক্ষে অবস্থান প্রত্যাশা করছেন।