
এরশাদ সোহেল, তজুমদ্দিন (ভোলা)

মাটি থেকে প্রাণের অঙ্কুরোদগম। মাটিতেই নিঃশেষ। মাটিই প্রথম, মাটিই শেষ। মাটিই হলো খাঁটি সোনা। কারো কাছে এটি স্রেফ ধুলাবালি ও কাদার মিশ্রণ। আবার কেউ এতে খোঁজেন জীবনের বেঁচে থাকার অবলম্বন।
দ্বীপ জেলা ভোলার তজুমদ্দিনের সত্তোরোর্ধ বৃদ্ধ হরিপদ পালের তেমনি একটি পরিবার। গত চার যুগেরও বেশি সময় ধরে মাটির তৈরি তৈজসপত্র বানিয়ে জীবিকা নির্বাহ করছেন। গোলকপুর গ্রামের পাল বাড়ির এই অশীতিপর ব্যক্তি মৃৎশিল্পকে বুকে আঁকড়ে ধরে বহন করে চলছেন শত বছরের ঐতিহ্যকে। বিলুপ্তপ্রায় বাপ-দাদার পুরোনো পেশাকে বাঁচিয়ে রেখেছেন সুনিপুণ হাতের ছোঁয়ায়। আর তার দেখাদেখি আরো চারটি পরিবারের নারী-পুরুষরাও সম্পৃক্ত হয়েছেন এ পেশায়।
হরিপদ পাল জানান, গত ৫০ বছর ধরে তিনি এ পেশায় নিয়োজিত আছেন। দাদা থেকে বাবা আর বাবার কাছ থেকেই শিখেছেন এ কাজ। বাড়ির পুরুষের পাশাপাশি নারীরা সমানে কাজ করে যাচ্ছেন। পুরুষরা প্রথমে পতিত জমি এবং কখনো নদী থেকে সংগ্রহ করেন এঁটেল মাটি। প্রতি ট্রাক মাটি কিনে নেন পাঁচ হাজার টাকায়। মাটির সঙ্গে পানি ও খড় মিশিয়ে বানান দলা আর সে মাটির দলা থেকে মর্টারের সাহায্যে কাঠের চাকতির মাধ্যমে সম্পূর্ণ হাত দিয়ে তৈরি করা হয় থালা, ঘটি, বাটি, কলসি, খেলনাসামগ্রী এবং দধির পাত্র।
কাঁচা মাটির বানানো এসব সামগ্রীকে রোদে শুকিয়ে তলা বানানোর কাজ করে থাকেন নারীরা। সম্পূর্ণ শুকিয়ে শক্ত হলে একসঙ্গে কয়েক হাজার মাটির পাত্র হাতে বানানো বিশেষ চুলোয় রেখে পোড়ানো হয়। এরপর বিক্রির জন্য প্রস্তুত হয়। দূর-দূরান্ত থেকে প্রতিদিন দধি ব্যবসায়ীরা এখান থেকে পাত্রগুলো কিনে নিয়ে যান।
নিউটন পাল নামে আরেক মৃৎশিল্পী বলেন, একেকজন প্রতিদিন ২৫০-৪০০ পাত্র বানাতে পারেন। এগুলো প্রতি পিচ বানাতে খরচ পড়ে ৭-৮ টাকা আর বিক্রি হয় ১১-১২ টাকায়। তাতে প্রতি মাসে একেকজনের ২০ হাজার থেকে ২৫ হাজার টাকা লাভ হয়।
তবে প্রযুক্তির এ আধুনিক যুগে প্লাস্টিক ও সিলভারের পণ্যের সয়লাবের কারণে হারিয়ে যেতে বসেছে মৃৎশিল্প। আর তাই এ কারিগররা অনেক পণ্য বানানো বাদ দিয়েছেন। বর্তমানে শুধু ঘটি, বাটি ও দধির দুই আইটেম পাত্র নিয়ে কাজ করছেন। আর সেগুলো দিয়ে চালাচ্ছেন পরিবারের ভরণ-পোষণ।
হরিপদ পালসহ পাঁচ পরিবারের এখন আয়ের উৎস এ শিল্প। তিনি নিজে ও এই শিল্পকে বাণিজ্যিকভাবে নিয়ে হয়েছেন লাভবান। দুই ছেলেকে করেছেন প্রতিষ্ঠিত। বড় ছেলে জুটন পাল এখন এলাকার প্রতিষ্ঠিত ইলেকট্রিক ব্যবসায়ী আর ছোট ছেলে আপন পাল আইসিটি মন্ত্রণালয়ে কর্মরত আছেন বলে জানান তিনি।

মাটি থেকে প্রাণের অঙ্কুরোদগম। মাটিতেই নিঃশেষ। মাটিই প্রথম, মাটিই শেষ। মাটিই হলো খাঁটি সোনা। কারো কাছে এটি স্রেফ ধুলাবালি ও কাদার মিশ্রণ। আবার কেউ এতে খোঁজেন জীবনের বেঁচে থাকার অবলম্বন।
দ্বীপ জেলা ভোলার তজুমদ্দিনের সত্তোরোর্ধ বৃদ্ধ হরিপদ পালের তেমনি একটি পরিবার। গত চার যুগেরও বেশি সময় ধরে মাটির তৈরি তৈজসপত্র বানিয়ে জীবিকা নির্বাহ করছেন। গোলকপুর গ্রামের পাল বাড়ির এই অশীতিপর ব্যক্তি মৃৎশিল্পকে বুকে আঁকড়ে ধরে বহন করে চলছেন শত বছরের ঐতিহ্যকে। বিলুপ্তপ্রায় বাপ-দাদার পুরোনো পেশাকে বাঁচিয়ে রেখেছেন সুনিপুণ হাতের ছোঁয়ায়। আর তার দেখাদেখি আরো চারটি পরিবারের নারী-পুরুষরাও সম্পৃক্ত হয়েছেন এ পেশায়।
হরিপদ পাল জানান, গত ৫০ বছর ধরে তিনি এ পেশায় নিয়োজিত আছেন। দাদা থেকে বাবা আর বাবার কাছ থেকেই শিখেছেন এ কাজ। বাড়ির পুরুষের পাশাপাশি নারীরা সমানে কাজ করে যাচ্ছেন। পুরুষরা প্রথমে পতিত জমি এবং কখনো নদী থেকে সংগ্রহ করেন এঁটেল মাটি। প্রতি ট্রাক মাটি কিনে নেন পাঁচ হাজার টাকায়। মাটির সঙ্গে পানি ও খড় মিশিয়ে বানান দলা আর সে মাটির দলা থেকে মর্টারের সাহায্যে কাঠের চাকতির মাধ্যমে সম্পূর্ণ হাত দিয়ে তৈরি করা হয় থালা, ঘটি, বাটি, কলসি, খেলনাসামগ্রী এবং দধির পাত্র।
কাঁচা মাটির বানানো এসব সামগ্রীকে রোদে শুকিয়ে তলা বানানোর কাজ করে থাকেন নারীরা। সম্পূর্ণ শুকিয়ে শক্ত হলে একসঙ্গে কয়েক হাজার মাটির পাত্র হাতে বানানো বিশেষ চুলোয় রেখে পোড়ানো হয়। এরপর বিক্রির জন্য প্রস্তুত হয়। দূর-দূরান্ত থেকে প্রতিদিন দধি ব্যবসায়ীরা এখান থেকে পাত্রগুলো কিনে নিয়ে যান।
নিউটন পাল নামে আরেক মৃৎশিল্পী বলেন, একেকজন প্রতিদিন ২৫০-৪০০ পাত্র বানাতে পারেন। এগুলো প্রতি পিচ বানাতে খরচ পড়ে ৭-৮ টাকা আর বিক্রি হয় ১১-১২ টাকায়। তাতে প্রতি মাসে একেকজনের ২০ হাজার থেকে ২৫ হাজার টাকা লাভ হয়।
তবে প্রযুক্তির এ আধুনিক যুগে প্লাস্টিক ও সিলভারের পণ্যের সয়লাবের কারণে হারিয়ে যেতে বসেছে মৃৎশিল্প। আর তাই এ কারিগররা অনেক পণ্য বানানো বাদ দিয়েছেন। বর্তমানে শুধু ঘটি, বাটি ও দধির দুই আইটেম পাত্র নিয়ে কাজ করছেন। আর সেগুলো দিয়ে চালাচ্ছেন পরিবারের ভরণ-পোষণ।
হরিপদ পালসহ পাঁচ পরিবারের এখন আয়ের উৎস এ শিল্প। তিনি নিজে ও এই শিল্পকে বাণিজ্যিকভাবে নিয়ে হয়েছেন লাভবান। দুই ছেলেকে করেছেন প্রতিষ্ঠিত। বড় ছেলে জুটন পাল এখন এলাকার প্রতিষ্ঠিত ইলেকট্রিক ব্যবসায়ী আর ছোট ছেলে আপন পাল আইসিটি মন্ত্রণালয়ে কর্মরত আছেন বলে জানান তিনি।

ভোলার চরফ্যাশনে গ্রাহকদের টাকা আত্মসাতের অভিযোগে এক নারী উদ্যোক্তাকে অবরুদ্ধ করেছে পাওনাদাররা। অবরুদ্ধকৃত ওই নারী উদ্যোক্তার নাম পিংকি বেগম। তিনি উপজেলার দক্ষিণ আইচা এলাকার প্রয়োজন সমবায় সমিতি লিমিটেডের মালিক।
৩ ঘণ্টা আগে
ভারত থেকে গঙ্গা নদী চাঁপাইনবাবগঞ্জ সীমান্ত দিয়ে প্রবেশ করে পদ্মায় রূপান্তর হয়েছে। উজানে ভারতের দেয়া ফারাক্কা বাঁধের কারণে বর্ষা মৌসুমে তীব্র স্রোত ও ছেড়ে দেয়া পানিতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত চাঁপাইনবাবগঞ্জসহ উত্তরের জেলাগুলো। প্রত্যেক বছর পদ্মা নদী তীরবর্তী হাজার হাজার বিঘা ফসলি জমি ও বসতবাড়ি নদীগর্ভ
৪ ঘণ্টা আগে
শিক্ষায় শারীরিক ও মানসিক বিকাশ না ঘটলে শিশুরা এগোতে পারবে না। শুধু পড়াশুনা করে ভালো মার্কস ও সার্টিফিকেট অর্জন করলেই হবে না। পাশাপাশি, বুদ্ধিবৃত্তিক বিকাশের জন্য মুখস্থ বিদ্যার বাহিরের জগতের সাথে তাকে পরিচয় করিয়ে দিতে হবে এবং মানসিক ও শারীরিক বিকাশের জন্য খেলাধুলার বিকল্প নেই। তিনি বলেন, ছোটবেলা
৪ ঘণ্টা আগে
সিলেটের সাথে বঞ্চনা ও উন্নয়ন বৈষম্যের অভিযোগ এনে সিলেটের সাবেক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী ডাকে অবস্থান কর্মসূচিতে ব্যাপক সাড়া দিয়েছে নগরবাসী। কর্মসূচিতে অংশ নিতে নানা শ্রেণি পেশার শত শত মানুষ নগরীর প্রধান রাস্তায় এসে জড়ো হন।
৪ ঘণ্টা আগে