আমার দেশ জনপ্রিয় বাংলা নিউজ পেপার

ভোট এলেই প্রতিশ্রুতি, এরপর বরখেলাপ

উপজেলা প্রতিনিধি, (চিরিরবন্দর) দিনাজপুর

ভোট এলেই প্রতিশ্রুতি, এরপর বরখেলাপ

দিনাজপুরের চিরিরবন্দর উপজেলার সাতনালা ইউনিয়নের তারকশাহার হাট এলাকায় ইছামতী নদীর ওপর ২৫০ ফুট বাঁশের সাঁকো। দুই ইউনিয়নের ১০ হাজার মানুষের চলাচলের অন্যতম মাধ্যমে এই বাঁশের তৈরি সেতু।

এলাকাবাসীর সহযোগিতায় তৈরি করা এই বাঁশের সাঁকো বারবার ভেঙে গেলে আবার সহায়তা তুলে মেরামত করা হয়। একটি সেতুর জন্য দীর্ঘদিন ধরে দুর্ভোগ পোহালেও স্থানীয় রাজনৈতিক নেতারা বিভিন্ন সময় প্রতিশ্রুতি দিয়েও সমস্যা সমাধানের কোনো উদ্যোগ নেয়নি।

বিজ্ঞাপন

এলাকাবাসীর অভিযোগ, প্রতিটি নির্বাচনের আগে জনপ্রতিনিধিরা সেতু নির্মাণের প্রতিশ্রুতি দিলেও স্বাধীনতার ৫৪ বছরেও তা বাস্তবায়ন হয়নি। এতে কৃষকের উৎপাদিত কৃষিপণ্য বাজারে আনা কিংবা নদী পারাপারে চরম দুর্ভোগে পড়তে হয় কৃষকদের। প্রতিদিন বাঁশের সাঁকোর ওপর দিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে কৃষক, ব্যবসায়ী, স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। 

স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এ সাঁকো দিয়ে এলাকার বেকিপুল বাজার, কিষ্টহরি বাজার, চাম্পাতলী বাজার, বিন্যাকুড়ির হাট, তারকশাহার হাট, মডেল স্কুল, ইছামতী ডিগ্রি কলেজ, ইছামতী ফাজিল মাদরাসা, রানীরবন্দর সুইয়ারী বাজারসহ সাতনালা ও আকোডিহি দুই ইউনিয়নের ১০ হাজার মানুষ প্রতিদিন বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, ব্যাংকে লেনদেন, বাজারঘাটের জন্য চলাচল করে।

স্থানীয় স্কুলশিক্ষক রেজাউল ইসলাম জানান, প্রতিটি নির্বাচনের আগে প্রার্থীরা বলেন, ভোট দেন নির্বাচনের পরে এখানে ব্রিজ হবে কিন্তু  নির্বাচন আসে, নির্বাচন যায়, আমাদের ভাগ্য পরিবর্তন হয় না। সাতনালা গ্রামের কৃষক মকবুল হোসেন  বলেন, আমার কৃষিজমি নদীর ওপারে হওয়ায় ফসল কেটে বাসায় আনতে খরচ বেড়ে যায় এবং কষ্টও হয়। কোনো কিছু বেচাকেনার জন্য হাটে যেতে হলে পাঁচ কিলোমিটার রাস্তা ঘুরতে হয়।

ইছামতী ফাজিল মাদরাসার নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী আরিফ হোসেন বলেন, আমরা খুব ঝুঁকি নিয়ে বাঁশের সাঁকো দিয়ে মাদরাসায় যাওয়া-আসা করি। শুকনা মৌসুমে নদীতে পানি থাকে না তখন নদী হেঁটে পার হওয়া যায়। বিশেষ করে আমাদের ভোগান্তি হয় বর্ষা মৌসুমে নদীতে পানি বৃদ্ধি ও উজান থেকে আসা কচুরিপানা সাঁকোর নিচে আটকে গেলে বাঁশের সাঁকোটি ভেঙে যায়।

সাতনালা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. এনামুল হক শাহ্ ভোগান্তির কথা স্বীকার করে বলেন, সাঁকোটির দুপাশে স্কুল, মাদরাসা, কলেজ ও হাটবাজার রয়েছে। প্রতিদিন কৃষক ও শিক্ষার্থীসহ শতশত মানুষ এই সাঁকোর ওপর দিয়ে যাতায়াত করেন। ভুক্তভোগী মানুষের দুর্ভোগ কমাতে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করছি, আশা করছি দ্রুত কর্তৃপক্ষ এখানে সেতু নির্মাণের উদ্যোগ নিবেন।

Google News Icon

আমার দেশের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

এলাকার খবর

খুঁজুন