স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, নরসিংদী রায়পুরায় খুন, রাহাজানি, মারামারি লেগেই আছে। সব মিলিয়ে একটি অসহায় অবস্থা বিরাজ করছে। এজন্য রায়পুরায় কমান্ডো অপারেশন চালানোর জন্য কাজ চলছে। যার মধ্যে থাকবে সেনাবাহিনী, র্যব ও পুলিশ। দরকার পড়লে আনসার বাহিনীকেও রাখা যেতে পারে। এখানে অনেক হাতিয়ারও রয়েছে।
বুধবার সকালে নরসিংদীতে জেলা কারাগার পরিদর্শনকালে এসব কথা বলেন তিনি। তিনি বলেন, গত বছরের ১৯ জুলাই কারাগারে আগুন দেয়া হয়েছিল। এ সময় সকল বন্দি পালিয়ে গিয়েছিল। তাদের অনেকে আত্মসমর্পণ করছে আবার অনেককেই আটক করা হয়েছে। এছাড়া বেশ কিছু অস্ত্র নিয়ে যায়, যার অধিকাংশ উদ্ধার করা হয়েছে বাকি আসামি এবং অস্ত্র উদ্ধারে আমাদের চেষ্টাও অব্যাহত রয়েছে।
জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, জেলখানায় খাবারের মান দেখার জন্য আসা হয়েছে। এই সরকার আসার পর বন্দিদের খাবার মান উন্নত করা হয়েছে। আর তাই দেখার জন্য কারাগারে এসেছি। তাছাড়া নরসিংদীতে একটি নতুন কারাগার তৈরি করা হচ্ছে। এছাড়া নরসিংদীতে মাদকের অভয়ারণ্য বলে জেলখানায় অধিকাংশই আসামিই মাদকের। মাদক উপকারতো নয়ই বরং অশান্তিতে ভোগে। তাই এই মাদকের বিরুদ্ধে সচেতনতা তৈরি করার আহবান জানান।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, আর মাদকের জন্য আলাদা কারাগার তৈরি করার জন্য চিন্তাভাবনা রয়েছে। কারাগারে যারা রয়েছেন তাদের পরিবারগুলো খুবই খারাপ অবস্থায় রয়েছে। তাই তাদের পরিবারের আয়ের জন্য কারাগারের ভেতরে কাজের কিছু একটা করা যায় কিনা সেটি চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি আরো বলেন, বাইরে বেশকিছু অস্ত্র রয়েছে এটা আমরা স্বীকার করি তবে অস্ত্র উদ্ধার হচ্ছে এবং যা রয়েছে তা উদ্বারের জন্য চেষ্টা চলছে।
এ সময় কারা মহাপরিদর্শক ব্রিগেডের জেনারেল মোতাহার হোসেন, ঢাকা রেঞ্জ ডিআইজি রেজাউল করিম মল্লিক, পুলিশ সুপার মো. আব্দুল্লাহ- আল- ফারুক, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মাহমুদা আক্তার, জেল সুপার মো. তারেক কামাল ও জেলার হুমায়ুন কবিরসহ এ সময় ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

