
রেজাউল হক, রামগতি (লক্ষ্মীপুর)

লক্ষ্মীপুরের রামগতিতে মেঘনার ভাঙন রোধে তীর রক্ষা বাঁধের কাজ ধীর গতিতে চলছে। এতে ভয়াবহ আকার ধারণ করছে মেঘনার ভাঙন। চলতি বর্ষায় ভাঙনের তীব্রতা বেড়েছে। এখন শুষ্ক মৌসুমেও ভাঙছে মেঘনা। থামানো যাচ্ছে না রামগতির মেঘনার ভাঙন। এতে নদীর তীরের মানুষ রয়েছেন আতঙ্কে ।
জানা গেছে, মেঘনার ভাঙন রোধে বিগত সরকার তীর রক্ষা বাঁধ নির্মাণ প্রকল্পের নামে তিন হাজার ৮৯ কোটি ৯৬ লাখ ৯৯ হাজার টাকার একটি প্রকল্প ২০২১ সালের ১ জুনে পাস করে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক)। কিন্তু চার বছরে মাত্র ৪০ শতাংশ কাজ হয়েছে বলে দাবি পাউবো কর্তৃপক্ষের। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ৪৫ বছর ধরে ধারাবাহিক ভাঙনে রামগতি ও কমলনগর উপজেলার ২৪২ বর্গকিলোমিটার এলাকা নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। এতে ভিটামাটি হারিয়ে বাস্তুচ্যুত হয়েছে লক্ষাধিক মানুষ।
লক্ষ্মীপুর পাউবো সূত্রে জানা গেছে, মেঘনা নদীর বড়খেরী, লুধুয়াবাজার এবং কাদিরপণ্ডিতের হাটবাজার তীর রক্ষা বাঁধ নামের ৩৩.২৬ কিলোমিটার দীর্ঘ প্রকল্পটি ২০২১ সালের পহেলা জুন পাস করে একনেক সভায়। টেন্ডার অনুসারে শতাধিক লটের মাধ্যমে মোট তিন হাজার ৪০০ মিটার কাজ শুরু হয়। চার বছরে মাত্র ৪০ শতাংশ কাজ হয়েছে বলে দাবি পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষের।
জানা গেছে, কাজ পাওয়া ঠিকাদাররা প্রথমে স্থানীয় কিছু দালালের মাধ্যমে জিও ব্যাগ ডাম্পিংয়ের কাজ শুরু করেন। পরে তাদের মধ্যে দরদাম ও কমিশন বাণিজ্য নিয়ে ঝামেলা দেখা দেয়। এরপর বালু সংকটের অজুহাত দেখিয়ে তারা কাজগুলো বন্ধ রাখেন।
জানা গেছে, প্রকল্পের কার্যাদেশ প্রাপ্ত ৯৭টি লটের মধ্যে ৩৫টি লটে কোনো কাজ হচ্ছে না। তবে পাউবোর কর্মকর্তার দাবি ইতোমধ্যে অধিকাংশ লটে কাজ শুরু হয়েছে। অন্য লটগুলোতেও কাজ শুরুর প্রক্রিয়া চলছে। এর মধ্যে কয়েকটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কাজ পেলে উধাও হয়ে যায়। আবার এসএসইসিএলের সাতটি লটে দু-তিন ভাগ, এডব্লিউআরের পাঁচটি লটে দুই ভাগ, বিশ্বাস বিল্ডার্সের ছয়টি লটে দুই ভাগ, ইলেকট্রো গ্রুপের একটি লটে পাঁচ ভাগ কাজ শেষ হওয়ার পর প্রকল্পের কাজ বন্ধ রাখেন তারা।
অন্যদিকে ওয়েস্টার্ন ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ১৫টি লটে প্রায় ৪০ শতাংশ শেষ হওয়ার পর থেকে কাজ দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ রাখেন তারাও। বড়খেরী ইউপির প্যানেল চেয়ারম্যান মো. মিজানুর রহমান বলেন, সময়মতো কাজ না করায় এই ইউনিয়নের স্থাপনা, ঘরবাড়ি, রাস্তঘাট বিলীন হওয়ার পথে। আমরা দ্রুত প্রকল্পটির কাজ সম্পন্ন চাই।
এসব অভিযোগ অস্বীকার করে লক্ষ্মীপুর পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী নাহিদ-উজ জামান খান বলেন, অনেক স্থানে বাঁধ দৃশ্যমান হয়েছে। কয়েকটি স্থানে বর্ষাসহ বিভিন্ন কারণে আমরা কাজ শুরু করতে দেরি হয়েছে। আমাদের চেষ্টার কোনো কমতি নেই। তবে অচিরেই মেঘনার তীরের সব স্থানে সব লটের কাজ শুরু হবে।

লক্ষ্মীপুরের রামগতিতে মেঘনার ভাঙন রোধে তীর রক্ষা বাঁধের কাজ ধীর গতিতে চলছে। এতে ভয়াবহ আকার ধারণ করছে মেঘনার ভাঙন। চলতি বর্ষায় ভাঙনের তীব্রতা বেড়েছে। এখন শুষ্ক মৌসুমেও ভাঙছে মেঘনা। থামানো যাচ্ছে না রামগতির মেঘনার ভাঙন। এতে নদীর তীরের মানুষ রয়েছেন আতঙ্কে ।
জানা গেছে, মেঘনার ভাঙন রোধে বিগত সরকার তীর রক্ষা বাঁধ নির্মাণ প্রকল্পের নামে তিন হাজার ৮৯ কোটি ৯৬ লাখ ৯৯ হাজার টাকার একটি প্রকল্প ২০২১ সালের ১ জুনে পাস করে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক)। কিন্তু চার বছরে মাত্র ৪০ শতাংশ কাজ হয়েছে বলে দাবি পাউবো কর্তৃপক্ষের। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ৪৫ বছর ধরে ধারাবাহিক ভাঙনে রামগতি ও কমলনগর উপজেলার ২৪২ বর্গকিলোমিটার এলাকা নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। এতে ভিটামাটি হারিয়ে বাস্তুচ্যুত হয়েছে লক্ষাধিক মানুষ।
লক্ষ্মীপুর পাউবো সূত্রে জানা গেছে, মেঘনা নদীর বড়খেরী, লুধুয়াবাজার এবং কাদিরপণ্ডিতের হাটবাজার তীর রক্ষা বাঁধ নামের ৩৩.২৬ কিলোমিটার দীর্ঘ প্রকল্পটি ২০২১ সালের পহেলা জুন পাস করে একনেক সভায়। টেন্ডার অনুসারে শতাধিক লটের মাধ্যমে মোট তিন হাজার ৪০০ মিটার কাজ শুরু হয়। চার বছরে মাত্র ৪০ শতাংশ কাজ হয়েছে বলে দাবি পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষের।
জানা গেছে, কাজ পাওয়া ঠিকাদাররা প্রথমে স্থানীয় কিছু দালালের মাধ্যমে জিও ব্যাগ ডাম্পিংয়ের কাজ শুরু করেন। পরে তাদের মধ্যে দরদাম ও কমিশন বাণিজ্য নিয়ে ঝামেলা দেখা দেয়। এরপর বালু সংকটের অজুহাত দেখিয়ে তারা কাজগুলো বন্ধ রাখেন।
জানা গেছে, প্রকল্পের কার্যাদেশ প্রাপ্ত ৯৭টি লটের মধ্যে ৩৫টি লটে কোনো কাজ হচ্ছে না। তবে পাউবোর কর্মকর্তার দাবি ইতোমধ্যে অধিকাংশ লটে কাজ শুরু হয়েছে। অন্য লটগুলোতেও কাজ শুরুর প্রক্রিয়া চলছে। এর মধ্যে কয়েকটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কাজ পেলে উধাও হয়ে যায়। আবার এসএসইসিএলের সাতটি লটে দু-তিন ভাগ, এডব্লিউআরের পাঁচটি লটে দুই ভাগ, বিশ্বাস বিল্ডার্সের ছয়টি লটে দুই ভাগ, ইলেকট্রো গ্রুপের একটি লটে পাঁচ ভাগ কাজ শেষ হওয়ার পর প্রকল্পের কাজ বন্ধ রাখেন তারা।
অন্যদিকে ওয়েস্টার্ন ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ১৫টি লটে প্রায় ৪০ শতাংশ শেষ হওয়ার পর থেকে কাজ দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ রাখেন তারাও। বড়খেরী ইউপির প্যানেল চেয়ারম্যান মো. মিজানুর রহমান বলেন, সময়মতো কাজ না করায় এই ইউনিয়নের স্থাপনা, ঘরবাড়ি, রাস্তঘাট বিলীন হওয়ার পথে। আমরা দ্রুত প্রকল্পটির কাজ সম্পন্ন চাই।
এসব অভিযোগ অস্বীকার করে লক্ষ্মীপুর পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী নাহিদ-উজ জামান খান বলেন, অনেক স্থানে বাঁধ দৃশ্যমান হয়েছে। কয়েকটি স্থানে বর্ষাসহ বিভিন্ন কারণে আমরা কাজ শুরু করতে দেরি হয়েছে। আমাদের চেষ্টার কোনো কমতি নেই। তবে অচিরেই মেঘনার তীরের সব স্থানে সব লটের কাজ শুরু হবে।

জুলাই গণঅভ্যুত্থানের এক বছর পেরিয়ে গেলেও নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (নোবিপ্রবি) নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের বিচারের অগ্রগতি নেই। গণঅভ্যুত্থানের পর বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ দলটির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে ৩২টি অভিযোগ জমা পড়ে।
৪২ মিনিট আগে
চাঁপাইনবাবগঞ্জ-সোনামসজিদ মহাসড়কের মহদীপুরে অটোরিকশা ও ট্রাক্টরের সংঘর্ষে শরিফুল আলম (৪২) নামে এক অটোচালক নিহত হয়েছে। শুক্রবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে শিবগঞ্জ পৌর এলাকার মহদীপুরে এ দুর্ঘটনায় ঘটে।
১ ঘণ্টা আগে
নিজের দোকানে কাজ করতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে এক স্কুল ছাত্রের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার সকালে রামুর পান্জেগানা বাজার এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
২ ঘণ্টা আগে
টেকনাফ-কক্সবাজার মহাসড়কের হ্নীলায় মোটরসাইকেল-মিনিবাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে বাস খাদে পড়ে মোটরসাইকেল চালক নিহত ও ২০ জন যাত্রী গুরুতর আহত হয়েছে।
২ ঘণ্টা আগে