আস-সালাম ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে উৎফুল্ল শিক্ষার্থী-অভিভাবকরা

উপজেলা প্রতিনিধি, চৌদ্দগ্রাম (কুমিল্লা)
প্রকাশ : ০৭ নভেম্বর ২০২৫, ১৩: ০৩

কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে আস-সালাম ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে বার্ষিক রচনা প্রতিযোগিতা-২০২৫ ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও সমাজসেবক আবুল হোসেন তুহিন। শুক্রবার(৭ নভেম্বর) চৌদ্দগ্রাম মাধ্যমিক পাইলট বালিকা বিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত সভায় আস-সালাম ফাউন্ডেশন কার্যকরী পরিষদের সভাপতি এ এম মিরাজের সভাপতিত্বে ও স্বেচ্ছাসেবক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক কাজী নাসিমের সঞ্চালনায় সভায় উপস্থিত ছিলেন আস-সালাম ফাউন্ডেশন স্বেচ্ছাসেবক পরিষদ সভাপতি গাজী মহিউদ্দিন উজ্জ্বল, সদস্য গাজী আজহারুল ইসলাম তানিম, কার্যকরী পরিষদ সদস্য কাজী সাজ্জাদ হোসেন শাকির, সাদমানি রহমান মীম, খন্দকার রাশেদ, রনী, সাংবাদিক মো. এমদাদ উল্যাহ, মো. আনিসুর রহমান, আবদুর রউপ, শিক্ষক প্রতিনিধি মোহাম্মদ আল আমিন, মো. ফয়েজ আহমেদসহ অভিভাবক প্রতিনিধিবৃন্দ।

বিজ্ঞাপন

পরে ‘পিতা-মাতার প্রতি সন্তানের দায়িত্ব ও কর্তব্য’ বিষয়ক রচনা প্রতিযোগিতায় অংশ নেয় পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ডের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পঞ্চম থেকে দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা। দীর্ঘদিন পর প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষা নেয়ায় উৎফুল্ল শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকরা।

পরীক্ষায় অংশ নেয়া শিক্ষার্থী সাইফুল ইসলাম বলেন, পিতা-মাতার প্রতি সন্তানের দায়িত্ব ও কর্তব্য শিরোনামে রচনা প্রতিযোগিতা আয়োজন করায় কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানাই। ভবিষ্যতেও এ রকম উদ্যোগ আশা করছি।

রচনা প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়া শিক্ষার্থী শারমিন আক্তারের মা আয়েশা খাতুন তন্নী বলেন, এটা ভালো উদ্যোগ। শিক্ষার্থীরা উৎফুল্ল। একই সাথে আমরাও খুশি। ‘পিতা-মাতার প্রতি সন্তানের দায়িত্ব ও কর্তব্য’ শিরোনামে রচনা প্রতিযোগিতা আয়োজন করায় আস-সালাম ফাউন্ডেশনের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি’।

আস-সালাম ফাউন্ডেশনের কার্যকরী পরিষদের সভাপতি এম এ মিরাজ বলেন, গত ১৭ বছর পড়ালেখার সুষ্ঠু পরিবেশ ছিল না। আমরা শিক্ষার্থীদের পড়ালেখার প্রতি মনোযোগ বাড়াতে রচনা প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছি। এতে শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি অভিভাবকরাও খুশি। এছাড়া কুইজ প্রতিযোগিতাসহ শিক্ষার্থীদের পড়ালেখার মানোন্নয়নে আমরা ব্যতিক্রর্মী উদ্যোগ গ্রহণ করেছি।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও সমাজসেবক আবুল হোসেন তুহিন বলেন, ‘পিতা-মাতার প্রতি সন্তানের দায়িত্ব ও কর্তব্য’ বিষয়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। শিক্ষার্থীরা পিতা-মাতার প্রতি দায়িত্ব সম্পর্কে পড়ালেখা করে জ্ঞান অর্জন করেছে এবং রচনা লিখেছে। এতে তারা পিতা-মাতার প্রতি সচেতন হবে।

আমার দেশের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত