
রিয়াদুন্নবী রিয়াদ, গঙ্গাচড়া (রংপুর)

গ্রামীণ জীবনের অনুষঙ্গ হোগলাপাতা ও কাশিয়াপাতাকে নতুনভাবে কাজে লাগিয়ে ভাগ্য বদলাচ্ছেন রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলার নারীরা। এ দুই উপকরণ দিয়ে তৈরি ঝুড়ি, পাখির বাসা, টেবিলম্যাটসহ নানা ধরনের সৌখিন পণ্য এখন রপ্তানি হচ্ছে ইউরোপের বাজারে।
গঙ্গাচড়ার গজঘণ্টা ইউনিয়নের হাবু তাতীপাড়া, কিসামত হাবু ও মর্নেয়া ইউনিয়নের খামার বকসা—এ তিনটি গ্রামের প্রায় ১২০ জন হতদরিদ্র নারীকে প্রশিক্ষণ দিয়ে দক্ষ করে তোলা হয়েছে। বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন বোর্ডের (বিআরডিবি) সমন্বিত পল্লী কর্মসংস্থান সহায়তা প্রকল্পের (ইরেসকো) আওতায় মাত্র তিনদিনের প্রশিক্ষণে তারা আয়ত্ত করেন এ দুই উপকরণ দিয়ে শৈল্পিকভাবে পণ্য তৈরির কৌশল।
প্রশিক্ষণ শেষে অধিকাংশ নারী কিছু টাকা ঋণ নিয়ে কাজ শুরু করেন। বর্তমানে উপজেলা বিআরডিবির সহায়তায় বিভিন্ন বায়ারের মাধ্যমে এসব পণ্য ইউরোপের বাজারে যাচ্ছে।
হাবু তাতীপাড়ার মোহসিনা বেগম বলেন, আগে সংসার চালাতে হিমশিম খেতে হতো। এখন প্রতিদিন হাতে কাজ থাকে। আমাদের তৈরি করা ইউরোপে যাচ্ছে—এটা ভাবতেই ভালো লাগে। আয়ও ভালো হচ্ছে। সন্তানদের পড়াশোনা চালিয়ে যেতে পারছি।
মোহসিনার মতোই কিসামত হাবুর শাহিদা খাতুন জানান, আমাদের হাতে তৈরি জিনিস বিদেশে যাবে, প্রশিক্ষণ আর ঋণ না পেলে হয়তো এটা স্বপ্নেও ভাবতাম না। এখন আমরা সম্মানের সঙ্গে বাঁচতে পারছি।
খামার বকসার মমতাজ বেগম বলেন, ঘরে বসেই কাজ করা যায়। কৃষি মৌসুমে স্বামী-সন্তানরা মাঠে গেলে আমরাও বসে থাকি না। আমাদের তৈরি পণ্য এখন বিদেশি ক্রেতাদের নজর কাড়ছে।
এ বিষয়ে উপজেলা পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা হাসানুজ্জামান বলেন, ইরেসকো প্রকল্পের মূল লক্ষ্য হলো গ্রামীণ নারীদের আত্মকর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করা। গঙ্গাচড়ার নারীরা হোগলাপাতা ও কাশিয়াপাতা দিয়ে যে পণ্য তৈরি করছেন, তা ইতিমধ্যেই ইউরোপের বাজারে প্রশংসা কুড়িয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহমুদ হাসান মৃধা বলেন, এটি স্থানীয় উন্নয়ন ও নারীর ক্ষমতায়নের এক অনন্য উদাহরণ। গ্রামীণ উপকরণ ব্যবহার করে আন্তর্জাতিক বাজারে পৌঁছাতে পারা সত্যিই গর্বের বিষয়। উপজেলা প্রশাসন সব ধরনের সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে।
এক সময় কেবল সংসারের ঘানি টানা নারীরা এখন নিজের আয়ের পাশাপাশি দেশের অর্থনীতিতেও অবদান রাখছেন। হোগলাপাতা ও কাশিয়াপাতার তৈরি পণ্য গঙ্গাচড়ার নারীদের ঘরে যেমন আশার আলো জ্বালিয়েছে, তেমনি বিশ্ববাজারেও বাংলাদেশের গ্রামীণ সংস্কৃতির সৌরভ ছড়িয়ে দিচ্ছে।

গ্রামীণ জীবনের অনুষঙ্গ হোগলাপাতা ও কাশিয়াপাতাকে নতুনভাবে কাজে লাগিয়ে ভাগ্য বদলাচ্ছেন রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলার নারীরা। এ দুই উপকরণ দিয়ে তৈরি ঝুড়ি, পাখির বাসা, টেবিলম্যাটসহ নানা ধরনের সৌখিন পণ্য এখন রপ্তানি হচ্ছে ইউরোপের বাজারে।
গঙ্গাচড়ার গজঘণ্টা ইউনিয়নের হাবু তাতীপাড়া, কিসামত হাবু ও মর্নেয়া ইউনিয়নের খামার বকসা—এ তিনটি গ্রামের প্রায় ১২০ জন হতদরিদ্র নারীকে প্রশিক্ষণ দিয়ে দক্ষ করে তোলা হয়েছে। বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন বোর্ডের (বিআরডিবি) সমন্বিত পল্লী কর্মসংস্থান সহায়তা প্রকল্পের (ইরেসকো) আওতায় মাত্র তিনদিনের প্রশিক্ষণে তারা আয়ত্ত করেন এ দুই উপকরণ দিয়ে শৈল্পিকভাবে পণ্য তৈরির কৌশল।
প্রশিক্ষণ শেষে অধিকাংশ নারী কিছু টাকা ঋণ নিয়ে কাজ শুরু করেন। বর্তমানে উপজেলা বিআরডিবির সহায়তায় বিভিন্ন বায়ারের মাধ্যমে এসব পণ্য ইউরোপের বাজারে যাচ্ছে।
হাবু তাতীপাড়ার মোহসিনা বেগম বলেন, আগে সংসার চালাতে হিমশিম খেতে হতো। এখন প্রতিদিন হাতে কাজ থাকে। আমাদের তৈরি করা ইউরোপে যাচ্ছে—এটা ভাবতেই ভালো লাগে। আয়ও ভালো হচ্ছে। সন্তানদের পড়াশোনা চালিয়ে যেতে পারছি।
মোহসিনার মতোই কিসামত হাবুর শাহিদা খাতুন জানান, আমাদের হাতে তৈরি জিনিস বিদেশে যাবে, প্রশিক্ষণ আর ঋণ না পেলে হয়তো এটা স্বপ্নেও ভাবতাম না। এখন আমরা সম্মানের সঙ্গে বাঁচতে পারছি।
খামার বকসার মমতাজ বেগম বলেন, ঘরে বসেই কাজ করা যায়। কৃষি মৌসুমে স্বামী-সন্তানরা মাঠে গেলে আমরাও বসে থাকি না। আমাদের তৈরি পণ্য এখন বিদেশি ক্রেতাদের নজর কাড়ছে।
এ বিষয়ে উপজেলা পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা হাসানুজ্জামান বলেন, ইরেসকো প্রকল্পের মূল লক্ষ্য হলো গ্রামীণ নারীদের আত্মকর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করা। গঙ্গাচড়ার নারীরা হোগলাপাতা ও কাশিয়াপাতা দিয়ে যে পণ্য তৈরি করছেন, তা ইতিমধ্যেই ইউরোপের বাজারে প্রশংসা কুড়িয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহমুদ হাসান মৃধা বলেন, এটি স্থানীয় উন্নয়ন ও নারীর ক্ষমতায়নের এক অনন্য উদাহরণ। গ্রামীণ উপকরণ ব্যবহার করে আন্তর্জাতিক বাজারে পৌঁছাতে পারা সত্যিই গর্বের বিষয়। উপজেলা প্রশাসন সব ধরনের সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে।
এক সময় কেবল সংসারের ঘানি টানা নারীরা এখন নিজের আয়ের পাশাপাশি দেশের অর্থনীতিতেও অবদান রাখছেন। হোগলাপাতা ও কাশিয়াপাতার তৈরি পণ্য গঙ্গাচড়ার নারীদের ঘরে যেমন আশার আলো জ্বালিয়েছে, তেমনি বিশ্ববাজারেও বাংলাদেশের গ্রামীণ সংস্কৃতির সৌরভ ছড়িয়ে দিচ্ছে।

কুমিল্লার তিতাস উপজেলায় অস্ত্র ও গুলিসহ চার নারীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ ও সেনাবাহিনী। শনিবার (২৫ অক্টোবর) দিবাগত রাত থেকে শনিবার ভোর পর্যন্ত উপজেলার মজিদপুর ইউনিয়নের শাহপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।
৩১ মিনিট আগে
শনিবার রাতে বাগান বন্ধ ঘোষণা করে ব্যবস্থাপকসহ সকল কর্মকর্তা বাগান ছেড়ে চলে যান এবং একই সঙ্গে শ্রমিকদের কাজে না আসতে জানিয়ে দেয়া হয়। তাছাড়া বাগানের ব্যবস্থাপক শামসুদ্দিন হক ভুইয়া জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছেন। বাগান বন্ধ ঘোষণা করায় পাঁচ শতাধিক চা শ্রমিক বিপাকে পড়েছে।
৩৪ মিনিট আগে
মাদক প্রতিরোধে ঐক্যবদ্ধ কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার আলকরা ইউনিয়নের ঘিনাগাজী গ্রামবাসী। "মাদককে না বলি, আসুন সবাই মিলে মাদকমুক্ত সমাজ গড়ি, নতুন জীবন গড়ি" এই প্রতিপাদ্যে রোববার ঘিনাগাজী সড়কে এলাকার সর্বস্তরের নারী পুরুষের অংশগ্রহণে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
১ ঘণ্টা আগে
এবার চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে এই প্রথম সর্বোচ্চ গাঁজার চালান ধরা পড়েছে গ্রামবাসীর হাতে। শনিবার সকালে উপজেলার সকদীরামপুর গ্রামের কৃষক খলিলুর রহমানের বাড়ি থেকে ২৬টি প্যাকেটে থাকা ৫২ কেজি গাঁজা আটক করা হয়।
১ ঘণ্টা আগে