বরিশালে সেকেন্ডহ্যান্ড মোবাইলের রমরমা ব্যবসা
নিকুঞ্জ বালা পলাশ, বরিশাল
সেকেন্ডহ্যান্ড (ব্যবহৃত) ফোন রিকন্ডিশনড বলে প্রচার করে রমরমা ব্যবসা চলছে বরিশাল নগরীর বিভিন্ন মার্কেটে। সয়লাব হওয়া এসব মোবাইল নামমাত্র মূল্যে ঢাকার বিভিন্ন মার্কেট থেকে কিনে এনে দুই থেকে তিনগুণ দামে বিক্রি করে গলা কাটছে ক্রেতাদের।
চকচকে কভার লাগানো এসব ফোন দুবাই ও চীন থেকে সেকেন্ডহ্যান্ড আমদানি করা হয়েছে বলে মিথ্যা প্রচারে প্রলুব্ধ করা হয় ক্রেতাদের। বিক্রির জন্য টার্গেট করা হয় গ্রামের সহজ-সরল মানুষকে। কেনার কিছুদিনের মধ্যেই নষ্ট হয়ে যাওয়ার ফলে প্রতারিত হচ্ছেন ক্রেতারা।
এ বিষয়ে ভোক্তা অধিকার কর্মকর্তাদের মোবাইল মার্কেটে কোনো অভিযান না চালানোয় যে যার মতো করে বিক্রি করছে পুরোনো মোবাইল ফোন। গত শনিবার বরিশাল নগরীর ফাতেমা মার্কেট, কাকলীর মোড় ও গীর্জা মহল্লাসহ প্রায় প্রতিটি মোবাইলের দোকানে এসব ফোন বিক্রি করতে দেখা গেছে।
বরিশাল নগরীর প্রাণকেন্দ্র সদর রোডের বিবির পুকুরপাড় সংলগ্ন ফাতেমা সেন্টারের তৃতীয় ও চতুর্থ তলায় রয়েছে ২০ থেকে ২৫টি মোবাইলের দোকান। এ ভবনের দুটি ফ্লোরের প্রায় প্রতিটি দোকানেই সারি সারি করে সাজিয়ে রাখা হয়েছে সেকেন্ডহ্যান্ড ফোন। দেখলে বোঝার উপায় নেই এটি পুরোনো বা নষ্ট মোবাইল জোড়াতালি দিয়ে সারিয়ে তুলে নতুন কভার লাগানো হয়েছে। ক্রেতাদের বোঝানো হচ্ছে, দুবাই-চীন থেকে লট আকারে পুরোনো মোবাইল কিনে এনে তা রাজধানীতে নিয়ে আসা হচ্ছে। ঢাকা থেকে এগুলো বরিশালসহ প্রতিটি বিভাগীয় নগরী ও জেলা শহরে পাঠানো হচ্ছে। একইভাবে নগরীর গীর্জা মহল্লার মোবাইল মেলা, হ্যালো নেক্সট, মোবাইল বাজার, মুঠোফোন, তালুকদার টেলিকম, মোল্লা টেলিকম, চাঁদনী টেলিকম, ইউনিভার্সেল ও কাকলীর মোড এলাকার প্রায় প্রতিটি দোকানে এসব ফোন বিক্রি করা হচ্ছে দেদার।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন মোবাইল ফোন ব্যবসায়ী আমার দেশকে জানান, আপনারা দেখবেন গ্রাম-গঞ্জে বা শহরে ফেরিওয়ালারা বুটের ডাল, চানাচুর কিংবা ২০-৩০ টাকার বিনিময়ে পুরোনো নষ্ট মোবাইল সংগ্রহ করে থাকে। এসব মোবাইল তারা ঢাকায় নির্দিষ্ট ব্যক্তির কাছে বিক্রি করে থাকে। পার্টস অদল-বদল করে মেরামত শেষে নতুন কভার লাগানো হয়। এগুলো ঢাকার বিভিন্ন মোবাইল মার্কেটে সরবরাহ করা হয়। পরে বরিশালসহ সারা দেশের বিভিন্ন জেলা-উপজেলার মোবাইল বিক্রেতারা তাদের চাহিদামতো এসব মোবাইল ফোন নিয়ে আসেন।
তবে এসব পাইকারি মার্কেট থেকে সেলসম্যানের মাধ্যমেও সারা দেশে এসব সেকেন্ডহ্যান্ড ফোন কম মূল্যে সরবরাহ করা হয়ে থাকে। তবে এসব ফোন দেখতে নতুনের মতোই। কোনোভাবেই পুরোনো বা সেকেন্ডহ্যান্ড বলে বোঝার উপায় নেই। এগুলো এক থেকে দুই মাস ব্যবহারের পর বিকল হয়ে যায়।
সেকেন্ডহ্যান্ড মোবাইল ফোন কিনে প্রতারিত হওয়া উজিরপুরের বাসিন্দা সামসুল হক বলেন, তিনি বরিশাল নগরীর নাম না-জানা একটি দোকান থেকে ১২ হাজার টাকা দিয়ে একটি মোবাইল ফোন কিনেছিলেন। বিক্রেতা জানিয়েছেন, এগুলো দুবাই থেকে আমদানি করা হয়েছে। তাই ভালো ভেবে ফোনটি কিনলেও মাত্র তিন মাসের মাথায় ফোনটি বিকল হয়ে যায়। পরে আরো দুই হাজার টাকা খরচ করে ফোনটি সচল করেছেন তিনি।
এ বিষয়ে নগরীর গীর্জা মহল্লার হ্যালো নেক্সট মোবাইলের দোকানে গিয়ে দেখা যায় সেখানে কিছু সেকেন্ডহ্যান্ড ফোন পরিপাটি করে সাজিয়ে রাখা হয়েছে। এখানে ভালো মানের সেকেন্ডহ্যান্ড ফোনের দাম হাঁকা হয়েছে ৪৫ হাজার টাকা। এর নিচে ফোনটি বিক্রি করবেন না বলে জানান বিক্রেতারা। একইভাবে সর্বনিম্ন ১০ হাজার থেকে বিভিন্ন দামের মোবাইল রয়েছে এখানে।
এ বিষয়ে হ্যালো নেক্সট মোবাইলের দোকান মালিক রোমান জানান, তাদের দোকানে সেকেন্ডহ্যান্ড ফোন রয়েছে। এগুলো দুবাই ও চায়না থেকে আমদানি করে তাদের কাছে সরবরাহ করা হয়েছে। তাদের দোকানে কোনো রিকন্ডিশনড ফোন নেই। তিনি বলেন, বরিশালের বিভিন্ন দোকানে রিকন্ডিশনড ফোন বিক্রি হলেও ব্যবসায়িক সুনাম রক্ষায় নামি-দামি দোকানে তা সম্ভব হয় না। তবে এসব ফোন কিনে ক্রেতারা প্রতারিত হচ্ছেন বলে শিকার করেন তিনি।
এ বিষয়ে বরিশালের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও সমাজসেবক রাজু আহম্মেদ আমার দেশকে বলেন, সৎভাবে এখন আর কেউ ব্যাবসা করতে চায় না। বেশি লাভের আশায় বিক্রেতারা খারাপ পণ্য বিক্রি করছেন। ক্রেতারা কতটুকু লাভবান হলেন কিংবা ক্ষতির সম্মুখীন হলেনÑসে বিষয়ে তাদের কোনো অনুশোচনা নেই। বিষয়টি ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তরের দেখা উচিত।
এ বিষয়ে ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক সুমি রানী মিত্র আমার দেশকে বলেন, সেকেন্ডহ্যান্ড ফোন বিক্রি ও প্রতারণার শিকার হওয়ার বিষয়ে তাদের কাছে কোনো অভিযোগ নেই। এমনকি এ বিষয়ে তারা অবগতও নন। তবে বিষয়টি খতিয়ে দেখতে অভিযান পরিচালনা করা হবে বলে জানান তিনি।
সেকেন্ডহ্যান্ড (ব্যবহৃত) ফোন রিকন্ডিশনড বলে প্রচার করে রমরমা ব্যবসা চলছে বরিশাল নগরীর বিভিন্ন মার্কেটে। সয়লাব হওয়া এসব মোবাইল নামমাত্র মূল্যে ঢাকার বিভিন্ন মার্কেট থেকে কিনে এনে দুই থেকে তিনগুণ দামে বিক্রি করে গলা কাটছে ক্রেতাদের।
চকচকে কভার লাগানো এসব ফোন দুবাই ও চীন থেকে সেকেন্ডহ্যান্ড আমদানি করা হয়েছে বলে মিথ্যা প্রচারে প্রলুব্ধ করা হয় ক্রেতাদের। বিক্রির জন্য টার্গেট করা হয় গ্রামের সহজ-সরল মানুষকে। কেনার কিছুদিনের মধ্যেই নষ্ট হয়ে যাওয়ার ফলে প্রতারিত হচ্ছেন ক্রেতারা।
এ বিষয়ে ভোক্তা অধিকার কর্মকর্তাদের মোবাইল মার্কেটে কোনো অভিযান না চালানোয় যে যার মতো করে বিক্রি করছে পুরোনো মোবাইল ফোন। গত শনিবার বরিশাল নগরীর ফাতেমা মার্কেট, কাকলীর মোড় ও গীর্জা মহল্লাসহ প্রায় প্রতিটি মোবাইলের দোকানে এসব ফোন বিক্রি করতে দেখা গেছে।
বরিশাল নগরীর প্রাণকেন্দ্র সদর রোডের বিবির পুকুরপাড় সংলগ্ন ফাতেমা সেন্টারের তৃতীয় ও চতুর্থ তলায় রয়েছে ২০ থেকে ২৫টি মোবাইলের দোকান। এ ভবনের দুটি ফ্লোরের প্রায় প্রতিটি দোকানেই সারি সারি করে সাজিয়ে রাখা হয়েছে সেকেন্ডহ্যান্ড ফোন। দেখলে বোঝার উপায় নেই এটি পুরোনো বা নষ্ট মোবাইল জোড়াতালি দিয়ে সারিয়ে তুলে নতুন কভার লাগানো হয়েছে। ক্রেতাদের বোঝানো হচ্ছে, দুবাই-চীন থেকে লট আকারে পুরোনো মোবাইল কিনে এনে তা রাজধানীতে নিয়ে আসা হচ্ছে। ঢাকা থেকে এগুলো বরিশালসহ প্রতিটি বিভাগীয় নগরী ও জেলা শহরে পাঠানো হচ্ছে। একইভাবে নগরীর গীর্জা মহল্লার মোবাইল মেলা, হ্যালো নেক্সট, মোবাইল বাজার, মুঠোফোন, তালুকদার টেলিকম, মোল্লা টেলিকম, চাঁদনী টেলিকম, ইউনিভার্সেল ও কাকলীর মোড এলাকার প্রায় প্রতিটি দোকানে এসব ফোন বিক্রি করা হচ্ছে দেদার।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন মোবাইল ফোন ব্যবসায়ী আমার দেশকে জানান, আপনারা দেখবেন গ্রাম-গঞ্জে বা শহরে ফেরিওয়ালারা বুটের ডাল, চানাচুর কিংবা ২০-৩০ টাকার বিনিময়ে পুরোনো নষ্ট মোবাইল সংগ্রহ করে থাকে। এসব মোবাইল তারা ঢাকায় নির্দিষ্ট ব্যক্তির কাছে বিক্রি করে থাকে। পার্টস অদল-বদল করে মেরামত শেষে নতুন কভার লাগানো হয়। এগুলো ঢাকার বিভিন্ন মোবাইল মার্কেটে সরবরাহ করা হয়। পরে বরিশালসহ সারা দেশের বিভিন্ন জেলা-উপজেলার মোবাইল বিক্রেতারা তাদের চাহিদামতো এসব মোবাইল ফোন নিয়ে আসেন।
তবে এসব পাইকারি মার্কেট থেকে সেলসম্যানের মাধ্যমেও সারা দেশে এসব সেকেন্ডহ্যান্ড ফোন কম মূল্যে সরবরাহ করা হয়ে থাকে। তবে এসব ফোন দেখতে নতুনের মতোই। কোনোভাবেই পুরোনো বা সেকেন্ডহ্যান্ড বলে বোঝার উপায় নেই। এগুলো এক থেকে দুই মাস ব্যবহারের পর বিকল হয়ে যায়।
সেকেন্ডহ্যান্ড মোবাইল ফোন কিনে প্রতারিত হওয়া উজিরপুরের বাসিন্দা সামসুল হক বলেন, তিনি বরিশাল নগরীর নাম না-জানা একটি দোকান থেকে ১২ হাজার টাকা দিয়ে একটি মোবাইল ফোন কিনেছিলেন। বিক্রেতা জানিয়েছেন, এগুলো দুবাই থেকে আমদানি করা হয়েছে। তাই ভালো ভেবে ফোনটি কিনলেও মাত্র তিন মাসের মাথায় ফোনটি বিকল হয়ে যায়। পরে আরো দুই হাজার টাকা খরচ করে ফোনটি সচল করেছেন তিনি।
এ বিষয়ে নগরীর গীর্জা মহল্লার হ্যালো নেক্সট মোবাইলের দোকানে গিয়ে দেখা যায় সেখানে কিছু সেকেন্ডহ্যান্ড ফোন পরিপাটি করে সাজিয়ে রাখা হয়েছে। এখানে ভালো মানের সেকেন্ডহ্যান্ড ফোনের দাম হাঁকা হয়েছে ৪৫ হাজার টাকা। এর নিচে ফোনটি বিক্রি করবেন না বলে জানান বিক্রেতারা। একইভাবে সর্বনিম্ন ১০ হাজার থেকে বিভিন্ন দামের মোবাইল রয়েছে এখানে।
এ বিষয়ে হ্যালো নেক্সট মোবাইলের দোকান মালিক রোমান জানান, তাদের দোকানে সেকেন্ডহ্যান্ড ফোন রয়েছে। এগুলো দুবাই ও চায়না থেকে আমদানি করে তাদের কাছে সরবরাহ করা হয়েছে। তাদের দোকানে কোনো রিকন্ডিশনড ফোন নেই। তিনি বলেন, বরিশালের বিভিন্ন দোকানে রিকন্ডিশনড ফোন বিক্রি হলেও ব্যবসায়িক সুনাম রক্ষায় নামি-দামি দোকানে তা সম্ভব হয় না। তবে এসব ফোন কিনে ক্রেতারা প্রতারিত হচ্ছেন বলে শিকার করেন তিনি।
এ বিষয়ে বরিশালের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও সমাজসেবক রাজু আহম্মেদ আমার দেশকে বলেন, সৎভাবে এখন আর কেউ ব্যাবসা করতে চায় না। বেশি লাভের আশায় বিক্রেতারা খারাপ পণ্য বিক্রি করছেন। ক্রেতারা কতটুকু লাভবান হলেন কিংবা ক্ষতির সম্মুখীন হলেনÑসে বিষয়ে তাদের কোনো অনুশোচনা নেই। বিষয়টি ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তরের দেখা উচিত।
এ বিষয়ে ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক সুমি রানী মিত্র আমার দেশকে বলেন, সেকেন্ডহ্যান্ড ফোন বিক্রি ও প্রতারণার শিকার হওয়ার বিষয়ে তাদের কাছে কোনো অভিযোগ নেই। এমনকি এ বিষয়ে তারা অবগতও নন। তবে বিষয়টি খতিয়ে দেখতে অভিযান পরিচালনা করা হবে বলে জানান তিনি।
কক্সবাজারে গভীর সমুদ্রে পাচারের মুহূর্তে ২৯ জনকে উদ্ধার করেছে বিজিবি টেকনাফ ব্যাটালিয়ন। এ সময় তিন মানবপাচারকারিকে আটক করা হয়েছে। বুধবার মেরিন ড্রাইভের রাজারছড়া এলাকায় এই অভিযান চালানো হয়। বিজিবির টেকনাফস্থ ২ ব্যাটালিয়ন অধিনায়ক লে. কর্নেল আশিকুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
১ মিনিট আগেএ সময় অসাবধানতাবশত তার শরীরে সার্ভিস তার স্পর্শ করলে তিনি বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে গুরুতর আহত হন। পরে স্থানীয়রা দ্রুত তাকে কুয়াকাটা ২০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
১০ মিনিট আগেবুধবার ভোর রাতে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের অভিযানে ২৩০ পিস ইয়াবাসহ তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার সাইফুল ইসলাম সাঘাটা উপজেলার কামালেরপাড়া ইউনিয়ন যুবদলের আহ্বায়ক। তিনি ওই এলাকার বারকোনা গ্রামের চান মিয়ার ছেলে।
২৩ মিনিট আগেমঙ্গলবার রাতে ১২টার দিকে তিনটি ব্যাটারিচালিত অটোরিকশায় করে অন্যত্র সরিয়ে নেওয়ার সময় স্থানীয় বাসিন্দারা ধাওয়া করে। এসময় চালসহ একটি অটোরিকশা জব্দ করলেও বাকি দুটি রিকশা দ্রুত গতিতে পালিয়ে যায়।
২৯ মিনিট আগে