জহিরুল ইসলাম, সীতাকুণ্ড প্রতিনিধি
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদ এখনো আওয়ামী লীগের দখলে। ৫ আগস্ট জুলাই-আগস্ট বিপ্লবে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকারের পতনের পরও পরিষদের চেয়ারম্যান ও আওয়ামীলীগ নেতা শওকত আলী জাহাঙ্গীর ও মেম্বারেরা কিভাবে পরিষদে আসার সাহস করে। তাছাড়াও চেয়ারম্যান নিয়োগকৃত আওয়ামী লীগের নেতারা পরিষদে কিভাবে, কোন শক্তির বলে বহাল তবিয়তে থেকে কার্যক্রম পরিচালনা করছে!
এই প্রসঙ্গে জানতে চাইলে ৬ নাম্বার ওয়ার্ডের সাবেক মেম্বার ও ইউনিয়ন বিএনপি'র সহ-সভাপতি মুনসুর বলেন, বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদে চেয়ারম্যানের নিয়োগ দেওয়া রুবেল, সজীব ও আশরাফসহ ৫ জন আওয়ামীলীগের নেতা কিভাবে পরিষদের দৈনন্দিন কার্যক্রম পরিচালনা করছে। দীর্ঘ ১৭ বছর যাবত বাঁশবাড়ীয়া এলাকার আওয়ামী ফ্যাসিস্টরা মানুষদেরকে নির্যাতন করেছে। সরকারের পতনের পরও কিভাবে কোন শক্তি বলে এই আওয়ামীলীগ নেতারা ইউনিয়ন পরিষদে এসে নিরাপদে নির্বিঘ্নে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করছে। এলাকাবাসী ওয়ারিশ সনদ সহ নানান কাজে ইউনিয়ন পরিষদে গিয়ে এখনো আগের মতই হয়রানির শিকার হচ্ছেন। আওয়ামী সরকারের পতনের পর পরিষদের চেয়ারম্যান ও মেম্বারদের এবং পরিষদে বেসরকারিভাবে চেয়ারম্যান কর্তৃক নিয়োগকৃত আওয়ামীলীগের লোকদেরকে এলাকাবাসী পরিষদ থেকে তাড়িয়ে দিয়েছেন। কিন্তু তারা কিভাবে কোন শক্তি বলে এবং কাদের নির্দেশে ২০/২৫ দিন পর আবার পরিষদে এসে বহাল তবিয়তে কাজকর্ম করছে । তিনি দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, একইভাবে আমার ওয়ার্ড সহ বাকি ৯টি ওয়ার্ড থেকে টিসিবির কার্ডের জন্য ১২০০ জনের নামের তালিকা ইউনিয়ন পরিষদে জমা দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু এই তালিকা মোতাবেক কেউ এখনো টিসিবির কার্ডে পায়নি এবং তাদেরকে চাউলও দেওয়া হচ্ছে না। আমি মনে করি জনগণের প্রতিরোধের মুখে চেয়ারম্যান শওকত আলী চট্টগ্রাম শহরে আত্মগোপনে চলে গেলেও মূলত বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদ এখনো আওয়ামী লীগের দখলে। কারণ পরিষদে চেয়ারম্যান কর্তৃক বেসরকারিভাবে নিয়োগকৃত ৫ জন আওয়ামীলীগের লোক এখনো ইউনিয়ন পরিষদে দৈনন্দিন কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে।
বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও বিএনপির সাবেক সভাপতি ও সাবেক চেয়ারম্যান আবুল বশর ভূঁইয়া দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, আওয়ামী লীগের আমলে নির্যাতিত হয়েছি বর্তমানেও নির্যাতিত হচ্ছি। আমার বসত ঘরের পাশে বিভিন্ন ফল ফ্রুটের গাছের চারা ও বায়ু গ্যাসের প্লান ভেঙে চুরমার করে দিয়েছে সন্ত্রাসীরা। আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা এখনো আমাকে হুমকি দিচ্ছে। তাই আমি গত ৩০ মে সীতাকুণ্ড থানায় জানমালের নিরাপত্তা চেয়ে সাধারণ ডায়েরি করেছি। তিনি আরো বলেন, বাঁশবাড়িয়া এলাকায় বিভিন্ন ওয়ার্ডে এখনো আওয়ামীলীগ , ছাত্রলীগ ও যুবলীগের পদধারী নেতাকর্মী থেকে শুরু করে সন্ত্রাসীরা অবস্থান করছে। একইভাবে এলাকার চেয়ারম্যানের নিয়োগকৃত বিভিন্ন স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি থেকে শুরু করে দপ্তরি ও পিয়ন সবাই এখনো বহাল তবিয়তেই আছে। ফ্যাসিস্ট সরকারের পতনের পর কোন শক্তি বলে এবং কাদের ছত্রছায়ায় এলাকায় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা নির্বিঘ্নে চলাফেরা করছে জানিনা।
সীতাকুণ্ড উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফখরুল ইসলাম বলেন, টিসিবি কার্ডের তালিকা করতে আমি কাউকে বলিনি এবং এলাকায় কারা তালিকা করছে এ বিষয়ে আমি কিছুই জানিনা। বিগত আওয়ামী সরকারের আমলে যাদের তালিকা জমা দেওয়া হয়েছিল এখন তাদের নামে স্মার্ট কার্ড হয়েছে। এখানে যদি কোন অনিয়ন থাকে বা কেউ সামর্থ্যবান হন অথবা কোন এক পরিবারের যদি একাধিক ব্যক্তি টিসিবির স্মার্ট কার্ড পেয়ে থাকেন তাহলে তাদেরকে বাদ দিয়ে ঐ জায়গায় প্রকৃত দোস্তদের নতুন করে সংযুক্ত করা হবে।
এমএস
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদ এখনো আওয়ামী লীগের দখলে। ৫ আগস্ট জুলাই-আগস্ট বিপ্লবে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকারের পতনের পরও পরিষদের চেয়ারম্যান ও আওয়ামীলীগ নেতা শওকত আলী জাহাঙ্গীর ও মেম্বারেরা কিভাবে পরিষদে আসার সাহস করে। তাছাড়াও চেয়ারম্যান নিয়োগকৃত আওয়ামী লীগের নেতারা পরিষদে কিভাবে, কোন শক্তির বলে বহাল তবিয়তে থেকে কার্যক্রম পরিচালনা করছে!
এই প্রসঙ্গে জানতে চাইলে ৬ নাম্বার ওয়ার্ডের সাবেক মেম্বার ও ইউনিয়ন বিএনপি'র সহ-সভাপতি মুনসুর বলেন, বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদে চেয়ারম্যানের নিয়োগ দেওয়া রুবেল, সজীব ও আশরাফসহ ৫ জন আওয়ামীলীগের নেতা কিভাবে পরিষদের দৈনন্দিন কার্যক্রম পরিচালনা করছে। দীর্ঘ ১৭ বছর যাবত বাঁশবাড়ীয়া এলাকার আওয়ামী ফ্যাসিস্টরা মানুষদেরকে নির্যাতন করেছে। সরকারের পতনের পরও কিভাবে কোন শক্তি বলে এই আওয়ামীলীগ নেতারা ইউনিয়ন পরিষদে এসে নিরাপদে নির্বিঘ্নে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করছে। এলাকাবাসী ওয়ারিশ সনদ সহ নানান কাজে ইউনিয়ন পরিষদে গিয়ে এখনো আগের মতই হয়রানির শিকার হচ্ছেন। আওয়ামী সরকারের পতনের পর পরিষদের চেয়ারম্যান ও মেম্বারদের এবং পরিষদে বেসরকারিভাবে চেয়ারম্যান কর্তৃক নিয়োগকৃত আওয়ামীলীগের লোকদেরকে এলাকাবাসী পরিষদ থেকে তাড়িয়ে দিয়েছেন। কিন্তু তারা কিভাবে কোন শক্তি বলে এবং কাদের নির্দেশে ২০/২৫ দিন পর আবার পরিষদে এসে বহাল তবিয়তে কাজকর্ম করছে । তিনি দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, একইভাবে আমার ওয়ার্ড সহ বাকি ৯টি ওয়ার্ড থেকে টিসিবির কার্ডের জন্য ১২০০ জনের নামের তালিকা ইউনিয়ন পরিষদে জমা দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু এই তালিকা মোতাবেক কেউ এখনো টিসিবির কার্ডে পায়নি এবং তাদেরকে চাউলও দেওয়া হচ্ছে না। আমি মনে করি জনগণের প্রতিরোধের মুখে চেয়ারম্যান শওকত আলী চট্টগ্রাম শহরে আত্মগোপনে চলে গেলেও মূলত বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদ এখনো আওয়ামী লীগের দখলে। কারণ পরিষদে চেয়ারম্যান কর্তৃক বেসরকারিভাবে নিয়োগকৃত ৫ জন আওয়ামীলীগের লোক এখনো ইউনিয়ন পরিষদে দৈনন্দিন কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে।
বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও বিএনপির সাবেক সভাপতি ও সাবেক চেয়ারম্যান আবুল বশর ভূঁইয়া দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, আওয়ামী লীগের আমলে নির্যাতিত হয়েছি বর্তমানেও নির্যাতিত হচ্ছি। আমার বসত ঘরের পাশে বিভিন্ন ফল ফ্রুটের গাছের চারা ও বায়ু গ্যাসের প্লান ভেঙে চুরমার করে দিয়েছে সন্ত্রাসীরা। আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা এখনো আমাকে হুমকি দিচ্ছে। তাই আমি গত ৩০ মে সীতাকুণ্ড থানায় জানমালের নিরাপত্তা চেয়ে সাধারণ ডায়েরি করেছি। তিনি আরো বলেন, বাঁশবাড়িয়া এলাকায় বিভিন্ন ওয়ার্ডে এখনো আওয়ামীলীগ , ছাত্রলীগ ও যুবলীগের পদধারী নেতাকর্মী থেকে শুরু করে সন্ত্রাসীরা অবস্থান করছে। একইভাবে এলাকার চেয়ারম্যানের নিয়োগকৃত বিভিন্ন স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি থেকে শুরু করে দপ্তরি ও পিয়ন সবাই এখনো বহাল তবিয়তেই আছে। ফ্যাসিস্ট সরকারের পতনের পর কোন শক্তি বলে এবং কাদের ছত্রছায়ায় এলাকায় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা নির্বিঘ্নে চলাফেরা করছে জানিনা।
সীতাকুণ্ড উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফখরুল ইসলাম বলেন, টিসিবি কার্ডের তালিকা করতে আমি কাউকে বলিনি এবং এলাকায় কারা তালিকা করছে এ বিষয়ে আমি কিছুই জানিনা। বিগত আওয়ামী সরকারের আমলে যাদের তালিকা জমা দেওয়া হয়েছিল এখন তাদের নামে স্মার্ট কার্ড হয়েছে। এখানে যদি কোন অনিয়ন থাকে বা কেউ সামর্থ্যবান হন অথবা কোন এক পরিবারের যদি একাধিক ব্যক্তি টিসিবির স্মার্ট কার্ড পেয়ে থাকেন তাহলে তাদেরকে বাদ দিয়ে ঐ জায়গায় প্রকৃত দোস্তদের নতুন করে সংযুক্ত করা হবে।
এমএস
কক্সবাজারে গভীর সমুদ্রে পাচারের মুহূর্তে ২৯ জনকে উদ্ধার করেছে বিজিবি টেকনাফ ব্যাটালিয়ন। এ সময় তিন মানবপাচারকারিকে আটক করা হয়েছে। বুধবার মেরিন ড্রাইভের রাজারছড়া এলাকায় এই অভিযান চালানো হয়। বিজিবির টেকনাফস্থ ২ ব্যাটালিয়ন অধিনায়ক লে. কর্নেল আশিকুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
১২ মিনিট আগেএ সময় অসাবধানতাবশত তার শরীরে সার্ভিস তার স্পর্শ করলে তিনি বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে গুরুতর আহত হন। পরে স্থানীয়রা দ্রুত তাকে কুয়াকাটা ২০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
২২ মিনিট আগেবুধবার ভোর রাতে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের অভিযানে ২৩০ পিস ইয়াবাসহ তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার সাইফুল ইসলাম সাঘাটা উপজেলার কামালেরপাড়া ইউনিয়ন যুবদলের আহ্বায়ক। তিনি ওই এলাকার বারকোনা গ্রামের চান মিয়ার ছেলে।
৩৪ মিনিট আগেমঙ্গলবার রাতে ১২টার দিকে তিনটি ব্যাটারিচালিত অটোরিকশায় করে অন্যত্র সরিয়ে নেওয়ার সময় স্থানীয় বাসিন্দারা ধাওয়া করে। এসময় চালসহ একটি অটোরিকশা জব্দ করলেও বাকি দুটি রিকশা দ্রুত গতিতে পালিয়ে যায়।
৪১ মিনিট আগে