মারমা হোটেলে নির্যাতিত ৪ শিশু পরিবারের কাছে হস্তান্তর

উপজেলা প্রতিনিধি, (কাপ্তাই) রাঙামাটি
প্রকাশ : ১৯ জুন ২০২৫, ১৪: ৪৬

রাঙ্গামাটির কাপ্তাই উপজেলায় দোকানে কর্মরত চার নির্যাতিত শিশুকে উদ্ধার করা হয়েছে।

বুধবার রাতে রাঙ্গামাটির কাপ্তাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. রুহুল আমিন শিশুদের উদ্বার করেন। এ সময় মারমা হোটেল মালিক কিশোর ত্রিপুরা এবং তার স্ত্রী হ্লাসুইনুং মারমা মিতাকে পাওয়া না গেলেও তাদের মামাতো বোন ববি মারমা কর্মীদের নির্যাতনের কথা স্বীকার করেন।

বিজ্ঞাপন

উদ্ধার শিশুরা হলেন- রাঙ্গামাটি কাউখালী উপজেলা যৌথ খামার এলাকার সুইজাইউ মারমার ছেলে অংথোয়াইপ্রু মারমা, অংজাই মারমার ছেলে সুইথুইমং মারমা, কালা মার্মার ছেলে পাইসাচিং মারমা এবং কাপ্তাই উপজেলার ৫ নম্বর ওয়াগ্গা ইউনিয়নের মুরালীপাড়া এলাকার স্লাইচিং মারমার ছেলে হ্লাখ্যাইচিং মারমা।

নির্যাতিত শিশু সুইজাইউ মারমার বাবা জানান, পাঁচ বছর আগে দোকান মালিক কিশোর ত্রিপুরা আমাদেরকে বলেন- তোমরা তো গরীব মানুষ। ছেলেটিকে আমাকে দিয়ে দাও, আমার দোকানে ছোট কাজ করবে এবং নিয়মিত স্কুলে যাবে।এছাড়া আমি তোমাদের মাসে তিন হাজার টাকা করে দিব।

নির্যাতিত অন্য শিশুর পরিবারের সদস্যরা জানান, শিশুদের দিয়ে ভাড়ি ওজনের কাজ করায় দোকান মালিক। কাজ না পাড়লে ওদেরকে লাঠি ও রড দিয়ে নির্যাতন করে শরীরের বিভিন্নস্থানে যখম করে। বাড়ি যেতে চাইলে যেতে দেয়না। টাকা, মোবাইল চুরি ও পুলিশকে ধরিয়ে দিবে বলে ভয়ভীতি দেখায় শিশুদের।

ইউএনও মো. রুহুল আমিন জানান, চিৎমরম ইউনিয়নের চিৎমরম কেয়াংঘাটে একটি মারমা হোটেলে ৪ জন শিশুকে পড়াশোনার কথা বলে হোটেলের কাজ করাতো এবং কাজ না পারলে শারীরিকভাবে নির্যাতন করতো। বুধবার সন্ধ্যায় ঐ দোকানে গিয়ে শিশুদের সাথে কথা বলে বিষয়টির নিশ্চিত হই। পরবর্তীতে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, গণমাধ্যম কর্মীদের উপস্থিতিতে ৪ শিশুকে হোটেল হতে উদ্বার করে পরিবারের সদস্যদের নিকট বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে। নির্যাতিত পরিবারের পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগ দেয়া হলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান তিনি।

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত