চট্টগ্রাম বন্দরের এনসিটি টার্মিনালের দায়িত্ব নিলো নৌবাহিনী

চট্টগ্রাম ব্যুরো
প্রকাশ : ০৭ জুলাই ২০২৫, ১২: ২৭
আপডেট : ০৭ জুলাই ২০২৫, ১২: ৩৫
চট্টগ্রাম বন্দর

চট্টগ্রাম বন্দরের বহুল আলোচিত কন্টেইনার টার্মিনাল এনসিটির দায়িত্ব বুঝে নিয়েছে বাংলাদেশ নৌবাহিনী। রোববার দিবাগত রাত ১২টা ১ মিনিটে সাইফ পাওয়ারটেকের কাছ থেকে টার্মিনালটির দায়িত্ব বুঝে নিয়ে নৌবাহিনী পরিচালিত চিটাগং ড্রাই ডক লিমিটেডের (সিডিডিএল) বিশেষায়িত দলের কাছে দায়িত্ব হস্তান্তর করে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ। এর মধ্য দিয়ে বেসরকারি কন্টেইনার টার্মিনাল অপারেটর প্রতিষ্ঠান সাইফ পাওয়ারটেকের বন্দর রাজত্বের আপাতত অবসান ঘটলো।

বিজ্ঞাপন

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চট্টগ্রাম বন্দরের মুখপাত্র ও বন্দর সচিব ওমর ফারুক। তিনি জানান, ৬ জুলাই পর্যন্ত সাইফ পাওয়ারটেকের সঙ্গে চুক্তি ছিল। রাত ১২টায় চুক্তির মেয়াদ শেষে সরকারের শীর্ষ পর্যায়ের সিদ্ধান্তে টার্মিনালটির দায়িত্ব বুঝে নিয়ে নৌবাহিনীর কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। রাত থেকেই টার্মিনালটি পরিচালনা করছে নৌবাহিনীর সদস্যরা। বন্দর কর্তৃপক্ষের সব ইউনিট তাদের সহায়তা করছে। এছাড়া সাইফ পাওয়ারটেকের কিছু কর্মকর্তা কর্মচারীকেও বন্দর পরিচালনা স্বার্থে আপাতত কাজে লাগানো হয়েছে।

আনুষ্ঠানিকভাবে রোববার দিবাগত রাত ১২টা ১ মিনিটে হ্যান্ডওভার করা হলেও মূলত নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় থেকে ডাইরেক্ট প্রকিউরমেন্ট মেথডে (ডিপিএম) পদ্ধতিতে চিটাগাং ড্রাইডক লিমিটেডের কাছে এনসিটিকে হস্তান্তরের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হওয়ার পর থেকেই নৌবাহিনীর সদস্যরা পর্যায়ক্রমে এনসিটির দায়িত্ব বুঝে নিতে শুরু করেছিল বলে জানান তিনি। ফাইনালি রোববার মধ্যরাত থেকে এনসিটি ড্রাইডকের অধীনে পরিচালনা শুরু হয়েছে। রাত ১২টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত ১২ ঘণ্টায় অপারেশনাল কাজ পর্যালোচনা করা হয়েছে বলে জানান বন্দর সচিব। এতে আগের মতো স্মোথলি কনটেইনার লোড, আনলোড, ডেলিভারি হচ্ছে। প্রোডাক্টিভিটিও ভালো বলেও দাবি তার। তবে ড্রাইডকের সঙ্গে বন্দর কর্তৃপক্ষের চুক্তি এখনো স্বাক্ষরিত হয়নি। দাপ্তরিক কিছু প্রক্রিয়া শেষে শিগগিরই চুক্তি স্বাক্ষরিত হবে বলেও জানান তিনি।

বন্দর ব্যবহারকারীরা বলছেন, টার্মিনাল কে চালানো সেটি তাদের কাছে মুখ্য নয়। আমদামি রপ্তানিকারকরা কম খরচে ঝামেলামুক্তভাবে সার্ভিসটা পাচ্ছেন কিনা সেটিই তাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ।

বন্দরে সবচেয়ে আধুনিক হ্যান্ডলিং যন্ত্রপাতি সমৃদ্ধ এনসিটিতে প্রতি ঘণ্টায় ২৫ থেকে ২৬টি কনটেইনার জাহাজে ওঠানামা করানোর সক্ষমতা রয়েছে, অন্যান্য বার্থ এবং টার্মিনালে যা প্রতি ঘণ্টায় মাত্র ১৭ থেকে

১৮টি। বর্তমানে বছরে এখন ১২-১৩ লাখ কনটেইনার হ্যান্ডলিং হচ্ছে এনসিটিতে।

এই টার্মিনালে জেটি আছে পাঁচটি। এই পাঁচ জেটিতে চারটি সমুদ্রগ্রামী জাহাজ ও অভ্যন্তরীণ নৌপথে চলাচলকারী একটি জাহাজ ভিড়তে পারে। এটি বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় টার্মিনাল। জাহাজ থেকে

কনটেইনার ওঠানো-নামানো, স্থানান্তর, ডেলিভারিসহ নানা কাজ হয় এই টার্মিনালে।

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত