নোয়াখালীতে তারুণ্যের উৎসব উদযাপন, কৃতী শিক্ষার্থী ও গুণীজন সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার বিকেলে ঢাকাস্থ বৃহত্তর নোয়াখালী কল্যাণ সমিতির আয়োজনে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) বীরশ্রেষ্ঠ শহিদ মোহাম্মদ রুহুল আমিন অডিটোরিয়ামে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাবেক সচিব মো. ইসমাইল জবিউল্লাহ। বৃহত্তর নোয়াখালী কল্যাণ সমিতির সভাপতি মির্জা গালিব আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব রেহানা পারভীন, নোবিপ্রবির উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইসমাইল, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. মিজানুর রহমান এবং মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) পরিচালক (অর্থ ও ক্রয়) অধ্যাপক মোহাম্মদ মনির হোসেন পাটওয়ারী। অন্য অতিথিদের মধ্যে ছিলেন নোবিপ্রবির উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রেজওয়ানুল হক ও কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ হানিফ মুরাদ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে সাবেক সচিব মো. ইসমাইল জবিউল্লাহ ২৪-এর ছাত্র-জনতার বিপ্লবে শহিদ এবং শহিদ শরিফ ওসমান হাদির বিদেহী রুহের মাগফিরাত কামনা করেন। তিনি বলেন, নোয়াখালীর সন্তান হিসেবে তিনি গর্বিত হলেও দেশের নাগরিক হিসেবে সব জেলার প্রতি সমান দৃষ্টিভঙ্গি রাখতে হবে। নিজ নিজ অবস্থান থেকে নিজ অঞ্চলের উন্নয়নে ভূমিকা রাখলে দেশ সামগ্রিকভাবে এগিয়ে যাবে বলে তিনি মন্তব্য করেন। কৃতি শিক্ষার্থীদের অভিনন্দন জানিয়ে তিনি বলেন, প্রযুক্তির যুগে শিক্ষার্থীদের এগিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি প্রবীণদের অভিজ্ঞতার সঙ্গে তারুণ্যের সংযোগ স্থাপন জরুরি।

শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে তিনি আরো বলেন, নৈতিক মূল্যবোধ পরিবার থেকে গ্রহণ করে তা অনুশীলন করতে হবে। আইন-কানুন মেনে চলা এবং নমনীয়তা বজায় রাখলে জীবনে সাফল্য আসবে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য (সচিব) ড. কাইয়ুম আরা বেগম বলেন, কৃতিত্ব ধরে রাখতে হলে কঠোর সাধনা প্রয়োজন। বিশ্বমানের প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে বড় স্বপ্ন দেখতে হবে। শিক্ষার্থীদের গড়ে তোলার ক্ষেত্রে অভিভাবক ও শিক্ষকদের অবদানের জন্য তিনি কৃতজ্ঞতা জানান।
অনুষ্ঠানে সংবর্ধিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মুহাম্মদ আবু ইউছুফ, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সদস্য মো. মোয়াজ্জেম হোসেন এবং ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান প্রকৌশলী নূর আজিজুর রহমান। সার্বিক ব্যবস্থাপনায় ছিলেন বৃহত্তর নোয়াখালী কল্যাণ সমিতির সিনিয়র সহ-সভাপতি মামুনুর রশীদ ও সাধারণ সম্পাদক মো. ফারুক চৌধুরী।
নোবিপ্রবির উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইসমাইল তার বক্তব্যে আগত ও সংবর্ধিত অতিথিদের স্বাগত জানিয়ে বলেন, এ ধরনের সম্মাননা শিক্ষার্থীদের লক্ষ্যে পৌঁছাতে অনুপ্রাণিত করবে। তিনি চব্বিশের বিপ্লবের শহিদদের পাশাপাশি শরিফ ওসমান বিন হাদির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান। বিশ্ববিদ্যালয়ের সাম্প্রতিক অগ্রগতি তুলে ধরে তিনি বলেন, বিশ্ব র্যাঙ্কিংয়ে নোবিপ্রবির অবস্থান এবং একনেকে অনুমোদিত ৩৩৪ কোটি টাকার অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প বিশ্ববিদ্যালয়কে আরো এগিয়ে নেবে।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বৃহত্তর নোয়াখালী কল্যাণ সমিতির সদস্য ফারিয়া বিনতে গালিব নদী ও নোয়াখালী বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের সাবেক ভিপি ইসতেখার আহমেদ নিপু। শেষে অতিথিদের হাতে শুভেচ্ছা স্মারক ও ক্রেস্ট তুলে দেওয়া হয়। পরে নোবিপ্রবির ২০ জন শিক্ষার্থী এবং নোয়াখালীর ১৮টি স্কুলের জিপিএ-৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের সম্মাননা প্রদান করা হয়।
আমার দেশের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

