জুলাই গণঅভ্যুত্থানে গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা মৃত্যুদণ্ড দ্রুত কার্যকর করার দাবি জানিয়েছেন জুলাই আন্দোলনে কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলার ১১ শহীদের পরিবার।
দেবিদ্বার পৌর সদরে আওয়ামী সেচ্ছাসেবক লীগের সন্ত্রাসীদের গুলিতে শহীদ আবদুর রাজ্জাক রুবেলের স্ত্রী হ্যাপী আক্তার বলেন, স্বৈরাচার শেখ হাসিনার ফাঁসির রায় কার্যকর না হওয়া পর্যন্ত জুলাই শহীদ পরিবারের কেউ খুশি হতে পারছে না। হাসিনা যেখানেই লুকিয়ে থাকুক, তাকে দ্রুত দেশে এনে রায় কার্যকর করতে হবে।
এছাড়া কুমিল্লার আদালত থেকে একের পর এক রুবেল ও সাব্বির হত্যা মামলার আসামিরা জামিন নিয়ে দেশ-বিদেশে পালিয়ে যাওয়ার ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেন তিনি।
রাজধানীর গোপীবাগে উপজেলার সূর্য়পুর গ্রামের শহীদ সোহাগ মিয়ার মা নাছিমা বেগম বলেন, হাসিনার রায়ে আমরা খুশি, তবে রায় দ্রুত কার্যকর দেখতে চাই। আমার স্বামীর মৃত্যুর পর ছেলে সোহাগ সংসারের হাল ধরে কিন্তু হাসিনার পুলিশ আমার ছেলেকে গুলি করে মারলো। হাসিনার রায় কার্যকর হলে আমার সন্তানের আত্মা শান্তি পাবে।
রাজধানীর আবদুল্লাহপুর এলাকায় পুলিশের গুলিতে উপজেলার এলাহাবাদ গ্রামের শহীদ ফয়সাল সরকারের বাবা সফিকুল ইসলাম সরকার বলেন, হাসিনা আমার সন্তানকে শুধু হত্যা করেনি, তার লাশটিও গুম করেছে। কোথায় দাফন হয়েছে আজও আমরা জানতে পারিনি। হাসিনার ফাঁসি কার্যকর না হওয়া পর্যন্ত আমরা শান্তি পাচ্ছি না।
নারায়ণগঞ্জের সাইবোর্ড এলাকায় পুলিশের গুলিতে শহীদ দেবিদ্বার রাজামেহার গ্রামের হোসাইন মিয়ার বাবা মানিক মিয়া বলেন, হাসিনার পেটুয়া বাহিনীর হাত থেকে শিশুরাও নিরাপদ ছিলো না। আমার একমাত্র ছেলে হোসাইনকে তারা বাঁচতে দিলো না।
উপজেলার রসুলপুর গ্রামের শহীদ মো. নাজমুল হাসান, বড়শালঘর গ্রামের শহীদ মো. সাগর মিয়া, ইউছুফপুর ইউনিয়নের মহেষপুর গ্রামের শহীদ জহিরুল ইসলাম রাসেল, সুবিল ইউনিয়নের ওয়াহেদপুর গ্রামের শহীদ মো. রবিন মিয়া, জাফরগঞ্জ ইউনিয়নের খয়রাবাদ গ্রামের শহীদ মো. রায়হান রাব্বি, এলাহাবাদ গ্রামের শহীদ মো. সাইফুল ইসলাম তন্ময় ও পৌর এলাকার ভিংলাবাড়ি গ্রামের শহীদ মো. সাব্বির এর স্বজনরাও স্বৈরাচারী শেখ হাসিনার ফাঁসির রায়ে খুশি এবং দ্রুত রায় কার্যকর করার দাবি জানিয়েছেন।

