চেয়ারম্যান পদ নিয়ে দুই আওয়ামী গ্রুপ মুখোমুখি, উত্তেজনা

উপজেলা প্রতিনিধি, বাঁশখালী (চট্টগ্রাম)
প্রকাশ : ০১ আগস্ট ২০২৫, ২০: ৫৪

বাঁশখালী উপজেলার বাহারছড়া ইউপির চেয়ারম্যান পদ দখল নিয়ে আ. লীগের দুই গ্রুপ মুখোমুখি অবস্থান নেওয়ায় এলাকায় চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে। যেকোনো মুহূর্তে বড় ধরনের সংঘর্ষের আশঙ্কা দেখা দেওয়ায় বিশেষ সতর্কাবস্থানে রয়েছে পুলিশ।

বাহারছড়া ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান মাহমুদুল ইসলাম মাবুদ ও চেয়ারম্যান রেজাউল করিম চৌধুরী ইউনুস সমর্থকদের মধ্যে এ উত্তেজনা দেখা দিয়েছে।

বিজ্ঞাপন

জানা যায়, গত ১৩ ফেব্রুয়ারি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলাসহ পাঁচটি মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে প্রায় চার মাস জেলখেটে গত ৫ জুন জামিনে মুক্ত হয়ে আসেন বাহারছড়া ইউপি চেয়ারম্যান ও উপজেলা কৃষকলীগের সহসভাপতি রেজাউল করিম ইউনুস।

চেয়ারম্যান রেজাউল গ্রেপ্তারের পর চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক ফরিদা খানম স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে ওয়ার্ড সদস্য মাহমুদুল ইসলাম মাবুদকে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব দেন। বর্তমানে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হিসেবে মাহমুদুল ইসলাম মাবুদ দায়িত্ব পালন করছেন।

জানা গেছে, গত ৫ জুন চেয়ারম্যান রেজাউল করিম ইউনুস জামিনে এসে একাধিকবার চেয়ারম্যান পদ ফিরে পাওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু এ ঘটনার খবরে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মাহমুদুল ইসলাম মাবুদের শত শত সমর্থক লাঠিসোঁটা নিয়ে সাবেক চেয়ারম্যান ইউনুসকে প্রতিরোধ করে।

এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রেজাউল করিমের সমর্থকরাও পরিষদ থেকে এক কিলোমিটার দূরে রত্নপুর এলাকায় জড়ো হয়ে পাল্টা প্রস্তুতি নেন। দফায় দফায় মুখোমুখি হওয়ায় এলাকায় তীব্র উত্তেজনা বিরাজ করছে। প্যানেল চেয়ারম্যান মাহমুদুল ইসলাম মাবুদ বলেন, ‘চেয়ারম্যান আ. লীগ নেতা। তার বিরুদ্ধে পাঁচটি মামলা রয়েছে।

ঐ মামলায় সে গ্রেপ্তার হলে আমাকে লিখিতভাবে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দায়িত্ব দেওয়া হয়। লিখিত অফিস আদেশে ‘পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত’ আমি চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করব।’

অপরদিকে চেয়ারম্যান রেজাউল করিম চৌধুরী ইউনুস বলেন, ‘আমি এখনো বৈধ চেয়ারম্যান। আমাকে সরকার অপসারণ করেনি। রাজনৈতিক মামলায় জড়িয়ে আমাকে কারাগারে নেওয়া হলেও আমি আদালত থেকে জামিনে মুক্তি নিয়ে এসেছি।’

থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি সাইফুল ইসলাম বলেন, দুই গ্রুপের মুখোমুখি অবস্থান নেওয়ায় পুলিশ ঘটনাস্থলে রয়েছে। কেউ সংঘর্ষে জড়ালে অপরাধী যেই হউক তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বাঁশখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ জামশেদুল আলম বলেন, ‘চেয়ারম্যান রেজাউল করিম চৌধুরী ইউনুস চার মাস কারাগারে ছিলেন। পরিষদের কার্যক্রম স্বাভাবিক রাখতে প্যানেল চেয়ারম্যান মাহমুদুল ইসলামকে আর্থিক ও প্রশাসনিক ক্ষমতা দেওয়া হয়।

পূর্বের চেয়ারম্যান আবার দায়িত্বে ফিরতে চাইলে তাকে জেলা প্রশাসক বরাবরে নতুন করে আবেদন করে জেলা প্রশাসকের লিখিত আদেশ নিয়েই ফিরতে হবে। নতুন আদেশ না আসা পর্যন্ত মাহমুদুল ইসলাম মাবুদই বাহারছড়ার ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান।

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত