
চট্টগ্রাম ব্যুরো

চট্টগ্রামের রাউজানে বিএনপি কর্মী ও ব্যবসায়ী আবদুল হাকিম হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত বিদেশি পিস্তল, রিভলভার, গুলি ও মোটরসাইকেলসহ ছয়জনকে গ্রেপ্তার করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
রোববার গভীর রাতে রাউজানের নোয়াপাড়া ইউনিয়নের চৌধুরীহাট এলাকায় আইয়ুব আলী সওদাগরের বাড়িতে এ অভিযান চালানো হয়।
জেলা পুলিশের মুখপাত্র রাসেল জানান, হত্যাকাণ্ডের তদন্তের ধারাবাহিকতায় ছয়জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং তাদের কাছ থেকে হত্যায় ব্যবহৃত অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে।
পুলিশ জানায়, গত ৭ অক্টোবর বিকেলে রাউজানের বাগোয়ান ইউনিয়নের হামিম অ্যাগ্রো ফার্ম থেকে প্রাইভেট কারে চট্টগ্রাম শহরে ফেরার পথে মদুনাঘাট সেতুর পশ্চিম প্রান্তে পৌঁছালে মোটরসাইকেলে আসা কয়েকজন অস্ত্রধারী হাকিমের গাড়ি থামিয়ে এলোপাতাড়ি গুলি চালায়। ঘটনাস্থলেই মারা যান হাকিম (৫২), গুরুতর আহত হন তার গাড়িচালক।
তদন্তে জানা গেছে, কর্ণফুলী নদীর পাড়ে বালুমহাল ও চাঁদাবাজি নিয়ন্ত্রণ নিয়ে বিরোধের জেরে টাকার বিনিময়ে ভাড়াটে খুনি ভাড়া করা হয়। জেলা গোয়েন্দা পুলিশ ও রাউজান থানা যৌথভাবে তদন্ত শুরু করলে ৩১ অক্টোবর গরীব উল্লাহপাড়া এলাকা থেকে মো. আবদুল্লাহ খোকন নামে এক আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়। আদালতে দেওয়া জবানবন্দিতে সে হত্যায় নিজের সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করে এবং সহযোগীদের নাম প্রকাশ করে।
খোকনের তথ্যের ভিত্তিতে ২ নভেম্বর একই এলাকার চৌধুরীহাট থেকে মো. মারুফ নামে আরও এক আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের তথ্য অনুযায়ী ৫ নভেম্বর রাতে অভিযান চালিয়ে পুলিশ মো. সাকলাইন হোসেন ও জিয়াউর রহমানসহ আরও দুজনকে গ্রেপ্তার করে। তাদের কাছ থেকে উদ্ধার হয় একটি বিদেশি পিস্তল, একটি রিভলভার, কয়েক রাউন্ড গুলি ও হত্যায় ব্যবহৃত একটি মোটরসাইকেল।
পুলিশ জানিয়েছে, গ্রেপ্তার ছয়জনের মধ্যে দুজন সরাসরি গুলি চালিয়েছিল, বাকিরা পরিকল্পনা ও সহযোগিতায় যুক্ত ছিল। তদন্তে ইঙ্গিত পাওয়া গেছে, হত্যাকাণ্ডে দুটি আলাদা সন্ত্রাসী চক্র অংশ নেয় এবং এর সঙ্গে স্থানীয় বালুমহাল ব্যবসায়ী একটি প্রভাবশালী গোষ্ঠীর যোগসূত্র রয়েছে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) তারেক আজিজ বলেন, এটি ছিল পরিকল্পিত হত্যা। প্ররোচনাকারীরা ভাড়াটে খুনি নিয়োগ দিয়ে ঘটনাটি ঘটিয়েছে। আমরা গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পেয়েছি, মূল অর্থদাতা ও পরিকল্পনাকারীদের শনাক্ত করা হয়েছে।
নিহত আবদুল হাকিম রাউজানের বাগোয়ান ইউনিয়নের বাসিন্দা ও স্থানীয় বিএনপি কর্মী ছিলেন। তিনি হামিম অ্যাগ্রো ফার্মের মালিক। পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন, বালুমহাল ও নদী দখল নিয়ে প্রতিপক্ষের হুমকি পেয়ে তিনি সম্প্রতি আতঙ্কে ছিলেন।
পুলিশ জানিয়েছে, জিজ্ঞাসাবাদ ও প্রযুক্তিগত তথ্য বিশ্লেষণে হত্যাকাণ্ডে জড়িত আরও ১০–১২ জনকে শনাক্ত করা হয়েছে। তাদের গ্রেপ্তারে বিশেষ অভিযান চলছে।

চট্টগ্রামের রাউজানে বিএনপি কর্মী ও ব্যবসায়ী আবদুল হাকিম হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত বিদেশি পিস্তল, রিভলভার, গুলি ও মোটরসাইকেলসহ ছয়জনকে গ্রেপ্তার করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
রোববার গভীর রাতে রাউজানের নোয়াপাড়া ইউনিয়নের চৌধুরীহাট এলাকায় আইয়ুব আলী সওদাগরের বাড়িতে এ অভিযান চালানো হয়।
জেলা পুলিশের মুখপাত্র রাসেল জানান, হত্যাকাণ্ডের তদন্তের ধারাবাহিকতায় ছয়জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং তাদের কাছ থেকে হত্যায় ব্যবহৃত অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে।
পুলিশ জানায়, গত ৭ অক্টোবর বিকেলে রাউজানের বাগোয়ান ইউনিয়নের হামিম অ্যাগ্রো ফার্ম থেকে প্রাইভেট কারে চট্টগ্রাম শহরে ফেরার পথে মদুনাঘাট সেতুর পশ্চিম প্রান্তে পৌঁছালে মোটরসাইকেলে আসা কয়েকজন অস্ত্রধারী হাকিমের গাড়ি থামিয়ে এলোপাতাড়ি গুলি চালায়। ঘটনাস্থলেই মারা যান হাকিম (৫২), গুরুতর আহত হন তার গাড়িচালক।
তদন্তে জানা গেছে, কর্ণফুলী নদীর পাড়ে বালুমহাল ও চাঁদাবাজি নিয়ন্ত্রণ নিয়ে বিরোধের জেরে টাকার বিনিময়ে ভাড়াটে খুনি ভাড়া করা হয়। জেলা গোয়েন্দা পুলিশ ও রাউজান থানা যৌথভাবে তদন্ত শুরু করলে ৩১ অক্টোবর গরীব উল্লাহপাড়া এলাকা থেকে মো. আবদুল্লাহ খোকন নামে এক আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়। আদালতে দেওয়া জবানবন্দিতে সে হত্যায় নিজের সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করে এবং সহযোগীদের নাম প্রকাশ করে।
খোকনের তথ্যের ভিত্তিতে ২ নভেম্বর একই এলাকার চৌধুরীহাট থেকে মো. মারুফ নামে আরও এক আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের তথ্য অনুযায়ী ৫ নভেম্বর রাতে অভিযান চালিয়ে পুলিশ মো. সাকলাইন হোসেন ও জিয়াউর রহমানসহ আরও দুজনকে গ্রেপ্তার করে। তাদের কাছ থেকে উদ্ধার হয় একটি বিদেশি পিস্তল, একটি রিভলভার, কয়েক রাউন্ড গুলি ও হত্যায় ব্যবহৃত একটি মোটরসাইকেল।
পুলিশ জানিয়েছে, গ্রেপ্তার ছয়জনের মধ্যে দুজন সরাসরি গুলি চালিয়েছিল, বাকিরা পরিকল্পনা ও সহযোগিতায় যুক্ত ছিল। তদন্তে ইঙ্গিত পাওয়া গেছে, হত্যাকাণ্ডে দুটি আলাদা সন্ত্রাসী চক্র অংশ নেয় এবং এর সঙ্গে স্থানীয় বালুমহাল ব্যবসায়ী একটি প্রভাবশালী গোষ্ঠীর যোগসূত্র রয়েছে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) তারেক আজিজ বলেন, এটি ছিল পরিকল্পিত হত্যা। প্ররোচনাকারীরা ভাড়াটে খুনি নিয়োগ দিয়ে ঘটনাটি ঘটিয়েছে। আমরা গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পেয়েছি, মূল অর্থদাতা ও পরিকল্পনাকারীদের শনাক্ত করা হয়েছে।
নিহত আবদুল হাকিম রাউজানের বাগোয়ান ইউনিয়নের বাসিন্দা ও স্থানীয় বিএনপি কর্মী ছিলেন। তিনি হামিম অ্যাগ্রো ফার্মের মালিক। পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন, বালুমহাল ও নদী দখল নিয়ে প্রতিপক্ষের হুমকি পেয়ে তিনি সম্প্রতি আতঙ্কে ছিলেন।
পুলিশ জানিয়েছে, জিজ্ঞাসাবাদ ও প্রযুক্তিগত তথ্য বিশ্লেষণে হত্যাকাণ্ডে জড়িত আরও ১০–১২ জনকে শনাক্ত করা হয়েছে। তাদের গ্রেপ্তারে বিশেষ অভিযান চলছে।

বরিশাল-১ (গৌরনদী-আগৈলঝাড়া) আসনে জামায়াতে ইসলামের প্রার্থী মাওলানা কামরুল ইসলাম খানের ছেলে যুবদলের কেন্দ্রীয় নেতা আরাফাত বিল্লাহ ধানের শীষে ভোট চাওয়ায় তীব্র সমালোচনা শুরু হয়েছে। এ ঘটনায় দলের মধ্যে চাপের মুখে পড়েছেন জামায়াতের প্রার্থী।
৩ ঘণ্টা আগে
চট্টগ্রাম বিমানবন্দর থেকে আসা একটি প্রাইভেটকার আটক করে তিন হাজার প্যাকেট বিদেশি সিগারেট উদ্ধার করেছে পুলিশ। তবে স্থানীয় সূত্র ও প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, ওই গাড়িটিতে সাত হাজার প্যাকেট সিগারেট ছিল। এতে প্রশ্ন উঠেছে— বাকি চার হাজার প্যাকেট সিগারেট কোথায় গেল?
৩ ঘণ্টা আগে
জাতীয় নাগরিক পার্টি এনসিপির দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ বলেছেন, আমরা চাই ভারতীয় আধিপত্য বিরোধী সংসদ গঠিত হোক। একটা ফ্যাসিবাদবিরোধী সংসদ গঠিত হোক। একটা বাংলাদেশপন্থী সংসদ গঠিত হোক। সেটির জন্য যারা নিজেদের বাংলাদেশপন্থী মনে করে থাকেন।
৫ ঘণ্টা আগে
রোববার রাতে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে শৃঙ্খলা ভঙ্গ করে দলের অভ্যন্তরে হাঙ্গামা, সহিংসতা, রক্তপাত ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড সংঘটনের কারণে তাদের প্রাথমিক সদস্যপদসহ সকল পর্যায়ের পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়।
৭ ঘণ্টা আগে