চট্টগ্রাম ব্যুরো
বন্দর নগরীর গুরুত্বপূর্ণ সেবা সংস্থা চট্টগ্রাম ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) পদের জন্য যোগ্য প্রার্থী পাওয়া যাচ্ছে না। স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় থেকে পরপর তিনবার নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেও নিয়োগ দিতে পারেনি।
প্রতিবার একটি করে শর্ত কমাতে কমাতে সবশেষ বিজ্ঞপ্তিতে সুস্বাস্থ্যের অধিকারী একজনকে এমডি নিয়োগ করার আগ্রহ প্রকাশ করেছে সরকার। নয় মাস ধরে সংস্থাটি ভারপ্রাপ্ত দিয়ে চলতে থাকায় ব্যাঘাত ঘটছে নাগরিক সেবায়। ওয়াসা-সংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে, বেশ কয়েকজন প্রার্থী এমডি হতে দৌড়ঝাঁপ করছেন। কিন্তু সরকারের মনঃপূত না হওয়ায় নিয়োগ প্রক্রিয়া চূড়ান্ত করা হচ্ছে না।
জানা গেছে, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে হাসিনা সরকারের পতন হলে গত বছরের ৩০ অক্টোবর চট্টগ্রাম ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী এ কে এম ফজলুল্লাহকে অপসারণ করে প্রজ্ঞাপন জারি করে অন্তর্বর্তী সরকার। ফজলুল্লাহ ছিলেন ওয়াসার ইতিহাসে সবচেয়ে বিতর্কিত এমডি ও আওয়ামী লীগ সরকারের অত্যন্ত আস্থাভাজন।
কোনো ধরনের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ না করেই টানা আটবার ৮১ বছর বয়সি এই ব্যক্তিকে একই পদে নিয়োগ দেয় পতিত সরকার। কিন্তু তাকে অপসারণের পর থেকে এই পদটিতে পূর্ণাঙ্গ দায়িত্ব পাননি কেউ। এতদিন সরকারের ইচ্ছায় এমডি নিয়োগ পেলেও এবারই প্রথম নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে বর্তমান সরকার।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, সর্বপ্রথম চলতি বছরের ২৪ মার্চ নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে চট্টগ্রাম ওয়াসা। এতে ৩ বছর মেয়াদে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের জন্য ন্যূনতম স্নাতক বা বিএসসি (ইঞ্জিনিয়ারিং) বা সমমানের ডিগ্রিধারী যোগ্যতা চাওয়া হয়। পাশাপাশি অন্যান্য শর্তসহ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে ২৫ বছরের অভিজ্ঞতার কথা উল্লেখ করা হয়।
পরে ২৫ মার্চ বিজ্ঞপ্তি সংশোধন করা হয়। এরপর আবারও ৭ এপ্রিল বিজ্ঞপ্তি সংশোধন করে চট্টগ্রাম ওয়াসা। সবশেষ গত ২২ জুলাই আগের সব বিজ্ঞপ্তি বাতিল করে আবারও বিজ্ঞপ্তি দেয় চট্টগ্রাম ওয়াসা। এরপর জাতীয় পত্রিকাগুলো ২৩ ও ২৪ জুলাই তা প্রকাশ করে। প্রতি বারই একটি করে শর্ত কমিয়ে আনে মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে গঠিত কর্মসম্পাদন সহায়তা কমিটি। আর অভিজ্ঞতা কমিয়ে চাওয়া হয় ২০ বছর।
চট্টগ্রাম ওয়াসার একটি সূত্র জানিয়েছে, পূর্ণাঙ্গ এমডি না থাকায় তদারকি, সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও নানা কাজ বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয় না। এগুলোর জন্য গুরুত্বপূর্ণ পূর্ণাঙ্গ এমডি। ওয়াসার সবকিছুই এই পদের কেন্দ্রবিন্দুতে থাকে। তাছাড়া নকশা প্রণয়ন, উন্নয়ন কাজসহ ও গ্রাহকদের কাছে তিনি জবাবদিহি করতে বাধ্য।
গত বছরের অক্টোবরে ফজলুল্লাহকে অপসারণ করা হলে স্থানীয় সরকার চট্টগ্রাম বিভাগের পরিচালক মুহাম্মদ আনোয়ার পাশা এমডির দায়িত্ব পালন করেন। গত ফেব্রুয়ারিতে তাকে বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের নির্বাহী পরিচালক হিসেবে বদলি করা হলে স্থানীয় সরকার চট্টগ্রাম বিভাগের পরিচালক মনোয়ারা বেগম ওয়াসার দায়িত্ব পালন করছেন।
জানতে চাইলে ওয়াসার জনসংযোগ কর্মকর্তা কাজী নূরজাহান শিলা আমার দেশকে জানান, এ নিয়ে তিনবার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। তখন কয়েকটি আবেদন জমা পড়েছিল। তবে কতটি জমা পড়েছে বা অন্যান্য বিষয়ে বিস্তারিত আমি বলতে পারব না।
উল্লেখ্য, ২০১১ সাল থেকে প্রথমবার এমডি পদ সৃষ্টি করা হলে তৎকালীন বোর্ডের চেয়ারম্যান এ কে এম ফজলুল্লাহ এই পদে নিয়োগ পান। এরপর থেকে তিনি টানা আটবার নিয়োগ পান আওয়ামী লীগ সরকারের আশীর্বাদে। দায়িত্বকালে তিনি ১০টি বড় প্রকল্প হাতে নেন।
তবে এতসব প্রকল্পেও নগরে পানির সংকট কাটেনি। প্রকল্পগুলোর সুফল নিয়েও নানা অভিযোগ রয়েছে। এছাড়াও নিজের বেতন-ভাতাদি দেড়শ’ গুণ বাড়ানোর আবেদন, ৪১ কর্মকর্তাকে প্রশিক্ষণের জন্য উগান্ডায় পাঠানো, সময়মতো প্রকল্পের কাজ শেষ না করা, দুর্নীতি ও স্বজনপ্রীতির অভিযোগ, প্রতি বছর পানির দাম বাড়ানোসহ নানা কারণে তিনি আলোচনায় আসেন।
বন্দর নগরীর গুরুত্বপূর্ণ সেবা সংস্থা চট্টগ্রাম ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) পদের জন্য যোগ্য প্রার্থী পাওয়া যাচ্ছে না। স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় থেকে পরপর তিনবার নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেও নিয়োগ দিতে পারেনি।
প্রতিবার একটি করে শর্ত কমাতে কমাতে সবশেষ বিজ্ঞপ্তিতে সুস্বাস্থ্যের অধিকারী একজনকে এমডি নিয়োগ করার আগ্রহ প্রকাশ করেছে সরকার। নয় মাস ধরে সংস্থাটি ভারপ্রাপ্ত দিয়ে চলতে থাকায় ব্যাঘাত ঘটছে নাগরিক সেবায়। ওয়াসা-সংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে, বেশ কয়েকজন প্রার্থী এমডি হতে দৌড়ঝাঁপ করছেন। কিন্তু সরকারের মনঃপূত না হওয়ায় নিয়োগ প্রক্রিয়া চূড়ান্ত করা হচ্ছে না।
জানা গেছে, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে হাসিনা সরকারের পতন হলে গত বছরের ৩০ অক্টোবর চট্টগ্রাম ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী এ কে এম ফজলুল্লাহকে অপসারণ করে প্রজ্ঞাপন জারি করে অন্তর্বর্তী সরকার। ফজলুল্লাহ ছিলেন ওয়াসার ইতিহাসে সবচেয়ে বিতর্কিত এমডি ও আওয়ামী লীগ সরকারের অত্যন্ত আস্থাভাজন।
কোনো ধরনের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ না করেই টানা আটবার ৮১ বছর বয়সি এই ব্যক্তিকে একই পদে নিয়োগ দেয় পতিত সরকার। কিন্তু তাকে অপসারণের পর থেকে এই পদটিতে পূর্ণাঙ্গ দায়িত্ব পাননি কেউ। এতদিন সরকারের ইচ্ছায় এমডি নিয়োগ পেলেও এবারই প্রথম নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে বর্তমান সরকার।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, সর্বপ্রথম চলতি বছরের ২৪ মার্চ নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে চট্টগ্রাম ওয়াসা। এতে ৩ বছর মেয়াদে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের জন্য ন্যূনতম স্নাতক বা বিএসসি (ইঞ্জিনিয়ারিং) বা সমমানের ডিগ্রিধারী যোগ্যতা চাওয়া হয়। পাশাপাশি অন্যান্য শর্তসহ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে ২৫ বছরের অভিজ্ঞতার কথা উল্লেখ করা হয়।
পরে ২৫ মার্চ বিজ্ঞপ্তি সংশোধন করা হয়। এরপর আবারও ৭ এপ্রিল বিজ্ঞপ্তি সংশোধন করে চট্টগ্রাম ওয়াসা। সবশেষ গত ২২ জুলাই আগের সব বিজ্ঞপ্তি বাতিল করে আবারও বিজ্ঞপ্তি দেয় চট্টগ্রাম ওয়াসা। এরপর জাতীয় পত্রিকাগুলো ২৩ ও ২৪ জুলাই তা প্রকাশ করে। প্রতি বারই একটি করে শর্ত কমিয়ে আনে মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে গঠিত কর্মসম্পাদন সহায়তা কমিটি। আর অভিজ্ঞতা কমিয়ে চাওয়া হয় ২০ বছর।
চট্টগ্রাম ওয়াসার একটি সূত্র জানিয়েছে, পূর্ণাঙ্গ এমডি না থাকায় তদারকি, সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও নানা কাজ বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয় না। এগুলোর জন্য গুরুত্বপূর্ণ পূর্ণাঙ্গ এমডি। ওয়াসার সবকিছুই এই পদের কেন্দ্রবিন্দুতে থাকে। তাছাড়া নকশা প্রণয়ন, উন্নয়ন কাজসহ ও গ্রাহকদের কাছে তিনি জবাবদিহি করতে বাধ্য।
গত বছরের অক্টোবরে ফজলুল্লাহকে অপসারণ করা হলে স্থানীয় সরকার চট্টগ্রাম বিভাগের পরিচালক মুহাম্মদ আনোয়ার পাশা এমডির দায়িত্ব পালন করেন। গত ফেব্রুয়ারিতে তাকে বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের নির্বাহী পরিচালক হিসেবে বদলি করা হলে স্থানীয় সরকার চট্টগ্রাম বিভাগের পরিচালক মনোয়ারা বেগম ওয়াসার দায়িত্ব পালন করছেন।
জানতে চাইলে ওয়াসার জনসংযোগ কর্মকর্তা কাজী নূরজাহান শিলা আমার দেশকে জানান, এ নিয়ে তিনবার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। তখন কয়েকটি আবেদন জমা পড়েছিল। তবে কতটি জমা পড়েছে বা অন্যান্য বিষয়ে বিস্তারিত আমি বলতে পারব না।
উল্লেখ্য, ২০১১ সাল থেকে প্রথমবার এমডি পদ সৃষ্টি করা হলে তৎকালীন বোর্ডের চেয়ারম্যান এ কে এম ফজলুল্লাহ এই পদে নিয়োগ পান। এরপর থেকে তিনি টানা আটবার নিয়োগ পান আওয়ামী লীগ সরকারের আশীর্বাদে। দায়িত্বকালে তিনি ১০টি বড় প্রকল্প হাতে নেন।
তবে এতসব প্রকল্পেও নগরে পানির সংকট কাটেনি। প্রকল্পগুলোর সুফল নিয়েও নানা অভিযোগ রয়েছে। এছাড়াও নিজের বেতন-ভাতাদি দেড়শ’ গুণ বাড়ানোর আবেদন, ৪১ কর্মকর্তাকে প্রশিক্ষণের জন্য উগান্ডায় পাঠানো, সময়মতো প্রকল্পের কাজ শেষ না করা, দুর্নীতি ও স্বজনপ্রীতির অভিযোগ, প্রতি বছর পানির দাম বাড়ানোসহ নানা কারণে তিনি আলোচনায় আসেন।
এ সময় অসাবধানতাবশত তার শরীরে সার্ভিস তার স্পর্শ করলে তিনি বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে গুরুতর আহত হন। পরে স্থানীয়রা দ্রুত তাকে কুয়াকাটা ২০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
৮ মিনিট আগেবুধবার ভোর রাতে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের অভিযানে ২৩০ পিস ইয়াবাসহ তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার সাইফুল ইসলাম সাঘাটা উপজেলার কামালেরপাড়া ইউনিয়ন যুবদলের আহ্বায়ক। তিনি ওই এলাকার বারকোনা গ্রামের চান মিয়ার ছেলে।
২০ মিনিট আগেমঙ্গলবার রাতে ১২টার দিকে তিনটি ব্যাটারিচালিত অটোরিকশায় করে অন্যত্র সরিয়ে নেওয়ার সময় স্থানীয় বাসিন্দারা ধাওয়া করে। এসময় চালসহ একটি অটোরিকশা জব্দ করলেও বাকি দুটি রিকশা দ্রুত গতিতে পালিয়ে যায়।
২৭ মিনিট আগেবিএনপি নেতা সামছুল ইসলাম জেলার সদর উপজেলার সাধারণ সম্পাদক। ছাড়া পাওয়া দুই আসামি হলেন, সদর উপজেলার লস্করপুর ইউনিয়ন যুবলীগ সহ-সভাপতি মাহবুবুর রহমান ওরফে রানা (৪০) ও একই কমিটির সদস্য মামুন আহমেদ (৩৮)।
৩৮ মিনিট আগে