চট্টগ্রাম বন্দর থেকে নিলামে বিক্রি হওয়া দুটি কন্টেইনার গায়েবের ঘটনা তদন্তে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। রোববার দুদকের একটি টিম বন্দরে অভিযান পরিচালনা করেছে।
দুদক চট্টগ্রামের উপ-পরিচালক সুবেল আহমেদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। জানা গেছে, দুদকের টিমটি বন্দরের চেয়ারম্যান, কাস্টমস হাউজের কমিশনারসহ সংশ্লিষ্টদের সাথে কথা বলেছেন। বন্দরের চেয়ারম্যান দুদক টিমকে এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট অফিসারের সাথে বলার জন্য বলেন। এরপর দুদক টিম কাস্টমস কমিশনার ও নিলাম শাখায় কথা বলেন।
জানা গেছে, অন্তত দেড় কোটি টাকায় কেনা কাপড়ের দুটি কনটেইনার বন্দর থেকে উধাও হয়ে যাওয়ার ঘটনায় অভিযোগের ভিত্তিতে এই তদন্তে নামে দুদক।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, গত ফেব্রুয়ারিতে চট্টগ্রাম কাস্টমসের নিলামে ৮৫ লাখ টাকায় প্রায় ২৭ টন ফেব্রিক্স কিনে নেয় শাহ আমানত ট্রেডিংয়ের মালিক সেলিম রেজা। পরে তিনি শুল্ক, দাম ও বন্দরের চার্জসহ আরও এক কোটি সাত লাখ টাকা পরিশোধ করেন। প্রতিষ্ঠানটির মালিক টাকা পরিশোধের আগে মালামাল পরিদর্শনও করেন। কিন্তু ২৬ ফেব্রুয়ারি ট্রাক নিয়ে ইয়ার্ডে গেলে জানানো হয়, কনটেইনারটি নেই। তারাও সেখানে গিয়ে সেটি দেখেননি। এ পর্যন্ত কনটেইনারটির কোনো খোঁজ মেলেনি।
সম্প্রতি নিলামে বিক্রি হওয়া আরও একটি কনটেইনার একই কায়দায় উধাও হয়ে যায়। ৩৫ লাখ ৫১ হাজার টাকা দর হলেও অন্যান্য শুল্ক, চার্জসহ ওই নিলামে প্রায় ৪২ লাখ পরিশোধ করা হয়। কিন্তু খালাস করতে গেলে সেটি আর পাওয়া যায়নি। দুটি কন্টেইনার মিলে গায়েব হওয়া কাপড়ের দাম দাঁড়িয়েছে দেড় কোটিতে।
শাহ আমানত ট্রেডিংয়ের মালিক সেলিম রেজা জানান, আমাদের ব্যবসা বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়েছে। আমরা এক কোটি টাকার বেশি লোকসানের মুখে পড়েছি। সাত মাস ধরে টাকা আটকে আছে। কাস্টমসকে তিনবার চিঠি দেওয়ার পরও কোনো সমাধান তারা দেয়নি।
বিডার মো. ইয়াকুব জানান, বাইরে থাকলে চুরি হওয়ার বিষয়টি স্বাভাবিক বলে ধরে নিতাম। কিন্তু বন্দর এলাকার কঠোর নিরাপত্তার মধ্যেও কনটেইনার উধাও হওয়া প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে।
জানতে চাইলে দুদকের জেলা কার্যালয়-১ এর উপ-পরিচালক সুবেল আহমেদ জানান, বন্দরে কন্টেইনার গায়েবের ঘটনায় রোববার দুদকের অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। আমরা প্রাথমিক এনফোর্সমেন্ট তৈরি করেছি। বিস্তারিত পরে জানাতে পারব।

