মিয়ানমার সীমান্তে গোলার শব্দ, অনুপ্রবেশের চেষ্টায় রোহিঙ্গারা

স্টাফ রিপোর্টার, কক্সবাজার
প্রকাশ : ২৩ আগস্ট ২০২৫, ১৭: ৪৬
আপডেট : ২৩ আগস্ট ২০২৫, ১৮: ০০

কক্সবাজারের সীমান্ত জনপদ টেকনাফের হোয়াইক্যং সীমান্তের নাফ নদীর ওপারে মিয়ানমারে আবারো গোলার শব্দ শোনা গেছে।

শুক্রবার রাত ১১টা থেকে শুরু হওয়া গোলার শব্দ শনিবার ভোর পর্যন্ত শোনা গেছে। মিয়ানমারে ব্যাপক গোলাগুলির শব্দ শুনেছেন সীমান্তের লোকজন।

বিজ্ঞাপন

অপরদিকে এখনও মিয়ানমার থেকে অনুপ্রবেশের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে রোহিঙ্গারা। সর্বশেষ শুক্রবার ৬২ জন রোহিঙ্গাকে প্রতিহত করা হয়েছে। এখনও সীমান্তের ওপারে হাজারো রোহিঙ্গা বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের অপেক্ষায় রয়েছে।

অনুপ্রবেশ ঠেকাতে সীমান্তে বিজিবি তৎপর রয়েছে বলে জানিয়েছেন টেকনাফ ব্যাটালিয়নের (২ বিজিবি) অধিনায়ক লে. কর্নেল আশিকুর রহমান।

বিজিবির অধিনায়ক বলেন, কিছু লোক সীমান্তে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করছে। কিন্তু আমরা কাউকে ঢুকতে দিচ্ছি না। যেসব পয়েন্ট দিয়ে প্রবেশের চেষ্টা করছে, সেখানে আমরা টহল বৃদ্ধি করেছি।

তিনি বলেন, পাশাপাশি গেল রাতে সীমান্তের ওপার থেকে গোলার শব্দের বিষয়টি জেনেছি। কিন্তু সেটি আমার ইউনিটের বাইরে।

স্থানীয়দের ভাষ্য মতে, হোয়াইক্যং সীমান্তের ওপারে শুক্রবার রাত থেকে শুরু হওয়া গোলাগুলি শনিবার ভোর পর্যন্ত চলেছে। রাখাইন রাজ্যে দখলে থাকা মিয়ানমারের সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মির সাথে রোহিঙ্গা সশস্ত্র গ্রুপের মধ্যে গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। এতে সীমান্তের বসবাসকারীরা ভয়ভীতির মধ্যে ছিলেন।

টেকনাফের হোয়াইক্যং ইউনিয়ন পরিষদের ২ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য সিরাজুল মোস্তফা চৌধুরী লালু জানান, গতরাত থেকে শনিবার ভোর পর্যন্ত থেমে থেমে সীমান্তের ওপারে কুমিরখালী, শীলখালী ও সাইডং এলাকা থেকে ব্যাপক গোলাগুলির শব্দ পাওয়া গেছে। ফলে সীমান্তের কাছাকাছি চিংড়ি প্রজেক্টে থাকা লোকজন ভয়ে পালিয়ে এসেছে।

তিনি বলেন, দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর ফের গোলার শব্দ পাওয়া গেছে। ফলে আবার রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের শঙ্কা রয়েছে।

হোয়াইক্যংয়ে বেড়িবাঁধের কাছাকাছি চিংড়ি প্রজেক্টে বসবাসকারী আব্দুর রহমান বলেন, গত রাত থেকে মিয়ানমারের ওপার থেকে গোলাগুলির শব্দ পাওয়া যাচ্ছে। শনিবার ভোরেও কয়েকবার গোলার বিকট আওয়াজ পেয়ে পার্শ্ববর্তী বাজারের কাছাকাছি দৌড়ে আসি। এই সীমান্তের ওপারে ফের যুদ্ধের মতো গোলার শব্দ ভেসে আসছে।

উখিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পের নেতা মো. হোসাইন বলেন, রাখাইনে এখনো অমানবিক নির্যাতন বন্ধ হয়নি। ফলে রোহিঙ্গাদের পালিয়ে আসা বন্ধ হচ্ছে না। মূলত প্রাণে বাঁচতে তারা এপারে পালিয়ে আসার চেষ্টা করছে। সীমান্তে বেশকিছু রোহিঙ্গা জড়ো হচ্ছে বলে আমরাও স্বজনদের কাছ থেকে জেনেছি।

সীমান্তে গোলাগুলির বিষয়টি স্থানীয় মাধ্যমে জেনেছি উল্লেখ করে টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শেখ এহসান উদ্দিন বলেন, সীমান্তে আমাদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা সতর্ক অবস্থানে রয়েছে।

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত