চট্টগ্রামে আ.লীগ অফিসে হামলার ঘটনায় যা বলল এনসিপি

চট্টগ্রাম ব্যুরো
প্রকাশ : ২১ অক্টোবর ২০২৫, ২৩: ২৫
আপডেট : ২১ অক্টোবর ২০২৫, ২৩: ২৭

চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে ভাঙচুর চালিয়েছে একদল যুবক। মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৩টা থেকে ৪টার মধ্যে নগরীর নিউমার্কেট সংলগ্ন দোস্ত বিল্ডিংয়ে এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় ব্যবসায়ী আবদুল মালেক বলেন, বিকেলে প্রায় ৩০–৪০ যুবক দোস্ত বিল্ডিংয়ে এসে হামলা চালায় ও ভাঙচুর করে। হামলাকারীদের হাতে হকিস্টিক ও লাঠিসোঁটা ছিল। ভাঙচুর শেষে তারা ভবনটির তৃতীয় তলায় থাকা চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয় এবং মুজিব সেনা কার্যালয়ে অবস্থান নেয়। তারা কার্যালয়ের চেয়ার, টেবিল, দেয়ালের ছবি ও আসবাবপত্র তছনছ করে।

বিজ্ঞাপন

তিনি আরও বলেন, ২০২৪ সালের ৫ আগস্টের পর থেকে ভবনটির ওই দুটি কার্যালয় তালাবদ্ধ ছিল। ভাঙচুরে অংশ নেওয়া যুবকদের সঙ্গে ভবনটির দাবিদার হিসেবে পরিচিত জাকির হোসেনকেও দেখা গেছে।

ঘটনাস্থল থেকে ২০০ গজ দূরে থাকা কোথায়ালী থানা পুলিশের ওসি আবদুল করিম বলেন, রাতে খবর পেয়েছি। খোঁজ নিয়ে দেখছি, তবে এখন পর্যন্ত কেউ অভিযোগ দেয়নি।

অন্যদিকে, জাতীয় নাগরিক পার্টি- এনসিপির চট্টগ্রাম মহানগর সমন্বয় কমিটির যুগ্ম সমন্বয়কারী আরিফ মঈনুদ্দিন বলেন, স্বাধীনতার পর থেকে আওয়ামী লীগ অবৈধভাবে দোস্ত বিল্ডিংয়ের অংশ দখল করে অফিস চালিয়ে আসছিল। সরকার পতনের পর কিছুদিন কার্যালয়টি বন্ধ থাকলেও সম্প্রতি নিষিদ্ধ ঘোষিত আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা রাতে সেখানে বসে বৈঠক করছে। বৃহত্তর চট্টগ্রামের নাশকতার বেশিরভাগ পরিকল্পনা হয়েছে এখান থেকেই।

তিনি আরও দাবি করেন, বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পর ‘৩৬ জুলাই’ নামের একটি সংগঠনের সদস্যরা সেখানে তল্লাশি চালায়। ওই সময় কার্যালয়ের ভেতর থেকে ড্রিংকিং ওয়াটার, বিছানা, চেয়ার–টেবিল, শেখ মুজিবুর রহমান, শেখ হাসিনা ও ইন্দিরা গান্ধীর ছবি পাওয়া যায়—যা সাম্প্রতিক বৈঠকের প্রমাণ বলে তারা উল্লেখ করেছেন।

নগরীর নিউ মার্কেট মোড়ের দোস্ত বিল্ডিংয়ে আওয়ামী লীগ, বিএনপিসহ অন্তত ৪১টি রাজনৈতিক দলের কার্যালয় আছে। ভবনটির প্রকৃত মালিক একজন বিহারী নাগরিক, যিনি ১৯৭১ সালে দেশত্যাগ করেন। এরপর বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ভবনটির অংশ দখল করে নিজেদের কার্যালয় হিসেবে ব্যবহার করছে।

১৯৯১ সালে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন ভবনটি জাকির হোসেন নামে এক ব্যক্তিকে লিজ দিলেও আইনি জটিলতায় তিনি দখল নিতে পারেননি। ভবনটি নিয়ে লিজধারী ও দখলদারদের মধ্যে চারটি মামলাও চলমান রয়েছে।

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত