কক্সবাজারের উখিয়ায় জামায়াতে ইসলামীর এক নেতার ওপর সংঘবদ্ধ হামলা চালিয়েছেন ছাত্রদল নেতাকর্মীরা। এ সময় এলোপাতাড়ি মারধর করায় তিনি গুরুতর আহত হন। তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে জেলা সদর হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।
জানা গেছে, হামলার শিকার জাহাঙ্গীর আলম (জগৎ) উপজেলার রাজাপালং ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের যুব বিভাগের (যুব জামায়াত) সভাপতি। ঝগড়া মেটাতে যাওয়ায় তার ওপর উপজেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব রিদুয়ানুর রহমানের নেতৃত্ব হামলা চালায় সংগঠনটির ২০-৩০ নেতাকর্মী।
আহত জাহাঙ্গীর বলেন, শুক্রবার সন্ধ্যায় উখিয়া থানার পার্শ্ববর্তী এলাকায় এক ছাত্রদল নেতার মোটরসাইকেলে ধাক্কা লাগে একটি ইঞ্জিনচালিত সিএনজির। এতে উভয় গাড়ির চালকের মধ্যে বাকবিতণ্ডা শুরু হয়। একপর্যায়ে সেখানে উপস্থিত হয়ে তাদের শান্ত করার চেষ্টা করলে সেখানে দলবল নিয়ে হাজির হয়ে আমার ওপর হামলা চালান ছাত্রদল নেতা রিদুয়ানুর।
হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, জামায়াত নেতা জাহাঙ্গীরের মাথা ও নাকে আঘাতের চিহ্ন আছে। এছাড়া তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে এলোপাতাড়ি আঘাত করা হয়েছে।
এদিকে হামলার প্রতিবাদে উখিয়া স্টেশনে তাৎক্ষণিক বিক্ষোভ মিছিল করেন রাজাপালং ইউনিয়ন জামায়াত নেতাকর্মীরা। তারা হামলাকারী ছাত্রদল নেতাসহ জড়িতদের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেপ্তার করার আলটিমেটাম দেন। তারা বলেন, উখিয়ার শান্ত পরিবেশকে যারা অশান্ত করতে চায় তাদের দ্রুত আইনের আওতায় আনতে হবে, অন্যথায় কঠোর কর্মসূচি দেবেন তারা।
উপজেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব রিদুয়ানুর বলেন, ঈদগাঁও থেকে ঘুরতে আসা এক ছাত্রদল নেতার মোটরসাইকেলে সিএনজির ধাক্কা লাগার ঘটনা নিয়ে সামান্য তর্কাতর্কি হয়েছে। তেমন কোনো বড় ঘটনা নয়। সিএনজির ধাক্কায় মোটরসাইকেলের ক্ষতির ঘটনাটিকে জামায়াত রাজনৈতিক রঙ দেওয়ার চেষ্টা করছে।

