৭টি গুলি নিয়ে কাতরাচ্ছেন সুজন

রাজীব হোসেন রাজু, লক্ষ্মীপুর
প্রকাশ : ১২ আগস্ট ২০২৫, ১৩: ১৯

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ খালেদ মাহমুদ সুজন (২০) গত এক বছর ধরে শরীরে ৭টি গুলি নিয়ে তীব্র যন্ত্রণায় দিন কাটাচ্ছেন। তার শরীরের বাম অংশ অবশ হওয়ার পথে। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, দেশের কোনো হাসপাতালে তার চিকিৎসা আর সম্ভব নয়, তাই সুস্থ জীবনে ফিরতে হলে বিদেশে উন্নত চিকিৎসার প্রয়োজন।

লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার চর রুহিতা ইউনিয়নের বাসিন্দা শাহীন কাদেরের মেজো ছেলে সুজন। গত বছরের ৪ আগস্ট ছাত্র আন্দোলনে লক্ষ্মীপুর শহরে গুলিবিদ্ধ হন তিনি। সে সময় সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান এ কে এম সালাহ উদ্দিন টিপু ও তার সহযোগীরা আন্দোলনকারীদের ওপর গুলি চালালে সুজনের শরীরে ৯টি ছররা গুলি এবং একটি তাজা বুলেট বিদ্ধ হয়। বর্তমানে তার শরীরে ৭টি গুলি রয়ে গেছে।

বিজ্ঞাপন

বাবা বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী হওয়ায় সুজন ছিলেন পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি। এখন তিনি বিছানায় শয্যাশায়ী হওয়ায় পরিবারের আয়ের কোনো উৎস নেই। আত্মীয়-স্বজন ও অনুদানের ওপর কোনোমতে তাদের সংসার চলছে।

সুজন বলেন, “সিএমএইচ হাসপাতালের চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, আমার শরীরে থাকা ৭টি গুলি তারা বের করতে পারবেন না। বিদেশে চিকিৎসার মাধ্যমে তা বের করা যেতে পারে।”

তিনি আরও বলেন, “আমার স্বপ্ন ছিল একজন ব্যবসায়ী হয়ে পরিবারের হাল ধরা, কিন্তু এখন জীবন নিয়েই টানাটানি। সরকারের কাছে আমার দাবি, আমাকে যেন বিদেশে নিয়ে উন্নত চিকিৎসা প্রদান করে স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে দেয়।”

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন লক্ষ্মীপুর জেলা শাখার সাবেক আহ্বায়ক আরমান হোসেনও সরকারের কাছে সুজনের উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে বিদেশে পাঠানোর আবেদন জানিয়েছেন।

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত