সাবেক বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজীসহ আটজনের বিরুদ্ধে প্রায় ৮৭ কোটি টাকার মানিলন্ডারিংয়ের অভিযোগে মামলা করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ-সিআইডি।
বৃহস্পতিবার রূপগঞ্জ থানায় এ মামলা দায়ের করা হয়েছে।
প্রতারণাপূর্বক চাঁদাবাজীর মাধ্যমে ভুয়া দলিল তৈরি করে অবৈধভাবে মোট ২ হাজার ৪০১ দশমিক ৪৬ শতাংশ জমি (যার বর্তমান সরকারি বাজারমূল্য ৮৬ কোটি ৭৮ লক্ষ ৮৭ হাজার ৬৪৪ টাকা) জবর দখল, হস্তান্তর, স্থানান্তর ও রূপান্তর করায় এ মামলা দায়ের করা হয়। নারায়ণগঞ্জ জেলার রূপগঞ্জ থানার মামলা নং- ৪৩, তারিখ- ১১/১২/২০২৫। ধারা- মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন ২০১২ এর ৪(২) রুজু করেছে সিআইডির ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম ইউনিট।
অভিযোগ পত্রে জানা গেছে, মামলায় এজাহার নামীয় অভিযুক্তরা হলেন- গোলাম দস্তগীর গাজী (৭৭), পিতা- গোলাম কবির গাজী, এপিএস এমদাদুল হক (৫২), রূপগঞ্জ উপজেলার সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান সৈয়দা ফেরদৌসী আলম নীলা (৫৭), মুড়াপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান তোফায়েল আহমেদ আলমাছ (৫৫), আওয়ামী লীগ নেতা মো. মাহাবুবুর রহমান জাকারিয়া মোল্লা (৪৮), মো. আনছার আলী (৫৫), আলফাজ উদ্দিন (৬৩), দিমন ভূঁইয়া (৫৫)।
সূত্রে মতে, মামলায় অভিযুক্তরা অজ্ঞাতনামা ৭-৮ জন ব্যক্তির সহায়তায় একটি সংঘবদ্ধ অপরাধ চক্র গড়ে তোলে। অপরাধ চক্রটি পরস্পর যোগসাজশে ২০১৫ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ২০২৪ সালের ২০ জুলাই পর্যন্ত বিভিন্ন তারিখ ও সময়ে সর্বমোট ২ হাজার ৪০১ দশমিক ৪৬ শতাংশ জমি যা অভিযুক্তরা পরস্পর সংঘবদ্ধভাবে প্রতারণাপূর্বক চাঁদাবাজীর মাধ্যমে ভুয়া দলিল তৈরি করে অবৈধভাবে স্থাবর সম্পত্তি জবর দখল করে হস্তান্তর, স্থানান্তর ও রূপান্তর করেছে। যার বর্তমান মূল্য ৮৬ কোটি ৭৮ লক্ষ ৮৭ হাজার ৬৪৪ টাকা।
সূত্রে আরো জানা গেছে, ক্রোককৃত সম্পত্তির রিসিভার হিসেবে বিজ্ঞ সিনিয়র স্পেশাল জজ, মহানগর আদালত, ঢাকা সিআইডি প্রধানকে (এ্যাডিশনাল আইজিপি)নিয়োগ করেছেন। ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম ইউনিট এই মামলার তদন্ত কার্যক্রম পরিচালনা করছে। অপরাধের পূর্ণাঙ্গ তথ্য উদঘাটন, অজ্ঞাত অপর সদস্যদের শনাক্তকরণ ও অন্যান্য আইনানুগ প্রক্রিয়ার স্বার্থে সিআইডির অনুসন্ধান অব্যাহত রয়েছে বলে জানা গেছে ।

