আমার দেশ জনপ্রিয় বাংলা নিউজ পেপার

নারায়ণগঞ্জ-৪

জোট প্রার্থীর বিরুদ্ধে বিদ্রোহ বিএনপির তিন নেতার

আবু সাউদ মাসুদ, নারায়ণগঞ্জ

জোট প্রার্থীর বিরুদ্ধে বিদ্রোহ বিএনপির তিন নেতার

নারায়ণগঞ্জ-৪ (ফতুল্লা) আসনটি আসন্ন সংসদ নির্বাচনে জোট শরিক হিসেবে জমিয়তে উলামায়ে ইসলামকে ছাড় দিয়েছে বিএনপি। এখানে জোটের প্রার্থী মুফতি মনির হোসাইন কাসেমী। আসনটি বিএনপি ছেড়ে দিলেও মাঠ ছাড়তে নারাজ দলটির মনোনয়ন প্রত্যাশী ও সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থীরা।

অন্যদিকে আসনটিতে জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থী হিসেবে মাঠে আছেন মাওলানা আবদুল জব্বার। তিনি ইসলামী ছাত্র শিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি ও নারায়ণগঞ্জ মহানগর জামায়াতের আমির। নারায়ণগঞ্জের পাঁচটি সংসদীয় আসনের মধ্যে নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনেই জামায়াত সবচেয়ে শক্তিশালী অবস্থানে আছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

বিজ্ঞাপন

নিয়মিত নির্বাচনি প্রচার চালিয়ে ইতোমধ্যে এলাকায় ব্যাপক আলোড়ন তৈরি করেছেন জব্বার। নির্বাচনের বিষয়ে তিনি জানান, ‘আমরা একটি সুষ্ঠু ও সুন্দর নির্বাচন চাই। এ জন্য প্রশাসনকে কঠোর ও নিরপেক্ষ হতে হবে।’

অন্যদিকে ধানের শীষের প্রার্থী না থাকায় এই এলাকায় বিএনপির একাধিক নেতা স্বতন্ত্র প্রার্থী হতে পারেন বলে গুঞ্জন আছে। ইতোমধ্যে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন সাবেক এমপি মোহাম্মদ আলী, শাহ্ আলম ও সাবেক এমপি মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দিন। প্রার্থী একজন হলে স্বতন্ত্র প্রার্থী বিজয়ী হবে। কিন্তু একাধিক স্বতন্ত্র প্রার্থী থাকলে এ আসনে জামায়াত বিজয়লাভ করতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

বিএনপির তৃণমূল নেতাকর্মীরা বলছেন, একবার আসনটি জোটে চলে গেলে পুনরায় তা ফিরে পাওয়া একপ্রকার অসম্ভব। অন্যদিকে জামায়াত জিতে গেলে এখানে জামায়াতের রাজনৈতিক উত্থানকেও বিএনপির মোকাবিলা করতে হবে, যা দল হিসেবে বিএনপির জন্য চ্যালেঞ্জিং। সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে না পারলে এই এলাকায় বড় অস্তিত্ব সংকটে পড়তে পারে বিএনপি।

এছাড়া নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনে মাঠে আছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) প্রার্থী আবদুল্লাহ আল আমিন। তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘নির্বাচনি এলাকার বিভিন্ন স্থানে আমাদের পোস্টার ব্যানার ছিঁড়ে ফেলা হচ্ছে। আমার কর্মীরা আহতও হয়েছেন। আমি লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিয়ে শঙ্কায় আছি।’

নির্বাচনের মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী মুফতি ইসমাইল সিরাজি আল মাদানীও। নিয়মিত নির্বাচনি এলাকায় ভোটারদের দ্বারে দ্বারে যাচ্ছেন তিনি।

শিল্পাঞ্চল হওয়ায় আসনটি সব রাজনৈতিক দলের কাছেই গুরুত্বপূর্ণ। বিএনপি জমিয়তের প্রার্থী কাসেমীকে আসনটি ছেড়ে দিলেও বিএনপি নেতাকর্মীরা কাসেমীকে ছাড় দেবে কি না তা নিয়ে শঙ্কা আছে। ইতোমধ্যে তিন বিএনপি নেতা স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার জন্য মনোনয়নপত্র কিনেছেন। তারা বিদ্রোহ করলেও বহিষ্কারের শঙ্কা মাথায় নিয়ে শেষ পর্যন্ত টিকে থাকবেন কি না তা নিয়েও সংশয় আছে।

Google News Icon

আমার দেশের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন