দুই ইউনিয়ন বহাল রাখার দাবিতে আন্দোলনের মাঠে আমজনতা

উপজেলা প্রতিনিধি, ভাঙ্গা (ফরিদপুর)
প্রকাশ : ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১২: ৩৮
আপডেট : ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১২: ৩৮

নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত মোতাবেক সরকারি গেজেট প্রকাশ করে ফরিদপুর জেলার ভাঙ্গা উপজেলার আলগী ইউনিয়ন ও হামিরদী ইউনিয়নকে পার্শ্ববর্তী উপজেলার নগরকান্দা উপজেলা ও সালথার সাথে সংযুক্তকরণের প্রজ্ঞাপন জারি করার প্রতিবাদে চলছে বিক্ষোভ ও সড়ক অবরোধ।

বিজ্ঞাপন

গত শুক্রবার থেকে দুটি ইউনিয়নের জনগণ দাবি আদায়ের জন্য রাজপথে নেমে এসেছেন। সেই ধারাবাহিকতায় বুধবার (৯ সেপ্টেম্বর) বিক্ষুব্ধ জনগণ সকাল ৮টা থেকে পুনরায় ভাঙ্গা পৌর সদর এলাকায় এবং পদ্মা সেতু হয়ে দক্ষিণাঞ্চলের একমাত্র প্রবেশদ্বার ভাঙ্গা ইন্টার সেকশন সড়কে, বাজার পাড়ের বাসস্ট্যান্ড ও হাসপাতাল মোড়ে অবস্থান নেয়ায় গোটা দক্ষিণাঞ্চলের সাথে সারা দেশের সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।

সড়ক অবরোধের কারণে দূরপাল্লার সব ধরনের যানবাহন আটকা পড়েছে। হাইওয়ে সড়কে চলতে পারছে না স্থানীয় যানবাহনও। ভ্যাপসা গরমে যাত্রীরা চরম দুর্ভোগের মুখে পড়েছে। সড়কে জনগণের অবস্থান নেয়ার পাশাপাশি বড় গাছের গুঁড়ি ফেলায় যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। কোথাও টায়ার জ্বালিয়ে এবং বাঁশ বেধে রাখায় স্থানীয় কোনো যানবাহনও চলার সুযোগ নেই।

অ্যাম্বুলেন্স ছাড়া অন্য কোনো যানবাহন কোথাও যেতে পারছে। স্থানীয় জনগণ হেঁটে যাওয়ার পাশাপাশি লিংক রোড হয়ে গন্তব্যস্থলে পৌঁছানোর চেষ্টা করছেন বলে জানান খুলনা থেকে আসা শিবচরগামী হরিদাস মণ্ডল। তিনি দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চলের মানুষের দুর্ভোগ কমাতে জনগণের দাবি মেনে নিতে সরকারের কাছে অনুরোধ করেন।

আন্দোলনের রোড ম্যাপ অনুসারে, হামিরদী ইউনিয়নের গ্রাম মনসুরাবাদ, খাপুরা, মাঝিকান্দা, সিংগিরিয়া, ভীমের কান্দা- এই পাঁচটি গ্রামবাসী মনসুরাবাদ বাসস্ট্যান্ডে অবস্থান করছেন। ছোট মুচকুন্নি, বড় মুচকুন্নি মৌজাসহ ওই এলাকার জনগণ পুখুরিয়া বাসস্ট্যান্ডে রয়েছেন । বড় হামিরদী, ছোট হামিরদী, গোপীনাথপুরবাসীরা হামিরদী বাসস্ট্যান্ডে অবরোধ কর্মসূচি পালন করছেন। পুরো আলগী ইউনিয়নবাসী ভাঙ্গা গোলচত্বরে অবস্থান করছেন।

প্রসঙ্গত, বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন সচিবালয় থেকে গত বৃহস্পতিবার একটি প্রজ্ঞাপন জারি করার মধ্য দিয়ে দুটি ইউনিয়ন ভাঙ্গা উপজেলা থেকে কেটে নিয়ে নগরকান্দা ও সালথা উপজেলার সাথে সংযুক্ত করা হয়। কিন্তু বিষয়টি দুটি ইউনিয়নের ৫০ হাজার মানুষ মেনে নিতে পারেননি। তারা বিক্ষোভে ফেটে পড়েন।

ভাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান ও ভাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ আশরাফ হোসেন দৈনিক আমার দেশকে বলেন, শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রেখে যদি কিছু করা হয় তাহলে সহযোগিতা করা হবে। শৃঙ্খলা পরিপন্থি কিছু হলে ছাড় দেবো না।

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত