শরীয়তপুরে একযোগে ৩ হাজারের বেশি কেন্দ্রে টাইফয়েড টিকাদান শুরু হয়েছে। জেলার ছয়টি উপজেলা ও ছয়টি পৌর এলাকায় ৩ হাজার ৩১৬ কেন্দ্রে শুরু হয় এই টিকাদান কর্মসূচি। ৯ মাস থেকে ১৫ বছর বয়সী শিশুদের জন্য এ টিকা কার্যক্রম টানা ১৮ দিন ধরে চলবে।
প্রথম ১০ দিন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এবং পরবর্তী ৮ দিন স্থায়ী ও অস্থায়ী টিকাদান কেন্দ্রে শিশুদের টিকা দেওয়া হবে।
জেলার স্বাস্থ্য বিভাগ জানিয়েছে, এবারের অভিযানে শরীয়তপুরে ৪ লাখ ২ হাজার ৮৫৭ জন শিশুকে টাইফয়েড টিকার আওতায় আনার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
রোববার সকাল সাড়ে ৯টায় শরীয়তপুর সদর উপজেলার পালং উচ্চ বিদ্যালয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে টিকাদান কর্মসূচির উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক মিজ তাহসিনা বেগম।
অনুষ্ঠানে জেলা ইপিআই সুপারিনটেনডেন্ট মো. মোজাম্মেল হক এর সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা সিভিল সার্জন ডা. মো. রেহান উদ্দিন। বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শেখ শরীফ উজ জামান, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইলোরা ইয়াসমিন, এবং বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।
জেলা সিভিল সার্জন ডা. রেহান উদ্দিন বলেন, জেলার প্রতিটি শিশুকে টাইফয়েডের টিকার আওতায় আনার লক্ষ্যেই আমরা কাজ করছি। আজ শুরু হওয়া এই টিকাদান কর্মসূচি আগামী ১৮ দিন চলমান থাকবে। অভিভাবকদের অনুরোধ করছি, নির্ধারিত সময়ে সন্তানদের টিকা নিতে অবশ্যই কেন্দ্রে নিয়ে আসবেন।
এ সময় উপস্থিত অভিভাবক ও শিক্ষকরা জানান, টাইফয়েড প্রতিরোধে সরকারের এই উদ্যোগ শিশুদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তারা সময়মতো সন্তানদের টিকা নিতে প্রতিশ্রুতি দেন।
স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, টিকাদান কার্যক্রম সফলভাবে সম্পন্ন করতে ইতোমধ্যে মাঠপর্যায়ের স্বাস্থ্যকর্মীদের প্রশিক্ষণ, টিকা সংরক্ষণ এবং সরবরাহের যাবতীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে।

