আবু সাউদ মাসুদ, নারায়ণগঞ্জ
নারায়ণগঞ্জে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন দমনে পুলিশের পাশাপাশি অত্যাধুনিক অস্ত্র নিয়ে মাঠে নামেন ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। বিশেষ করে নারায়ণগঞ্জের সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) শামীম ওসমান, তার ছেলে অয়ন ওসমানসহ ওসমান পরিবারের ঘনিষ্ঠ নেতাকর্মীরা এসব অস্ত্র ব্যবহার করেছিলেন। ৫ আগস্টের গণবিপ্লবে আওয়ামী লীগের পতনের পর ওসমান পরিবারের সদস্যরা বিদেশে পালিয়ে যান। তবে শামীম ওসমান পালিয়ে গেলেও আন্দোলন দমনে ব্যবহার করা তাদের সেই বিশাল ভাণ্ডারের অস্ত্রগুলোর এখনো পর্যন্ত হদিস মেলেনি।
আহত ছাত্র-জনতা ও স্থানীয় লোকদের সূত্রে জানা গেছে, ২০২৪ সালের ১৭ জুলাই নারায়ণগঞ্জে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালীন শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। দুপুর বারোটার দিকে নারায়ণগঞ্জ শহরের চাষাঢ়ায় সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। মুহূর্তেই সংঘাত পুরো শহরে ছড়িয়ে পড়ে। পুলিশের সঙ্গে ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নেতাকর্মীরাও শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালায়। শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশের লাঠিচার্জ ও গুলিবর্ষণের ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়ে মাইকে ঘোষণা দিয়ে দেওভোগ, বাবুরাইল, নিতাইগঞ্জ, মিশনপাড়াসহ আশপাশের এলাকার সাধারণ মানুষও রাস্তায় নেমে আসে। দুপুর বারোটায় শুরু হওয়া এই সংঘর্ষ গভীর রাত পর্যন্ত চলে।
এদিকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতে থাকলে ওই রাতে কারফিউ জারি করে সরকার। সেই সঙ্গে ইন্টারনেট সংযোগ বন্ধ করে দেওয়া হয়। পরদিন শুক্রবার পূর্বঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে জুমার নামাজের পর কর্মসূচি পালনের প্রস্তুতি নিতে থাকেন শিক্ষার্থীসহ সমমনা বেশ কয়েকটি রাজনৈতিক দল। সন্ধ্যা পর্যন্ত মাঠে সক্রিয় ছিলেন না আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। এ কারণে আওয়ামী লীগের শীর্ষ পর্যায় থেকে দলীয় নেতাকর্মীদের দিয়ে আন্দোলন দমন করতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল। সেই নির্দেশ পালন করতেই মাঠে নামেন শামীম ওসমান ও তার বাহিনীর সদস্যরা।
১৮ জুলাই সকাল থেকেই নারায়ণগঞ্জ শহরের চাষাঢ়া ও আশপাশের এলাকায় সশস্ত্র অবস্থান নেয় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। জুমার নামাজের পর ডিআইটি এলাকায় শিক্ষার্থীরা মাঠে নামতে পারে এমন গুঞ্জন ছিল শহরজুড়ে। দুপুর বারোটার কিছু পরে নারায়ণগঞ্জে আসেন শামীম ওসমান। শহরের বঙ্গবন্ধু সড়কে অবস্থিত নারায়ণগঞ্জ ক্লাবে নেতাকর্মীদের জড়ো করতে শুরু করেন তিনি। এ সময় বিভিন্ন জায়গা থেকে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র সংগ্রহ করে ক্লাবে নিয়ে আসা হয়। নেতাকর্মীরা জানান, বিশাল এই অস্ত্র ভাণ্ডারের যোগানদাতা ছিলেন শামীম ওসমানের ছেলে অয়ন ও শ্যালক তানভীর আহমেদ টিটু।
জুমার নামাজের কিছুক্ষণ পরেই মুসল্লিরা বের হতে শুরু করলে নারায়ণগঞ্জ ক্লাব থেকে পিস্তল, শর্টগান, অটোমেটিক রাইফেল নিয়ে রাস্তায় নামেন শামীম ওসমান। এ সময় তার পাশে দেখা গেছে শ্যালক টিটু, ছেলে অয়ন, বেয়াই লাভলু ও তার ছেলে ভিকিকে। তারা অস্ত্র নিয়ে গুলিবর্ষণ করতে করতে ডিআইটি এলাকার দিকে অগ্রসর হতে শুরু করেন।
সূত্র জানায়, বিকাল পর্যন্ত শামীম ওসমান ও তার বাহিনীর গুলিবর্ষণের কারণে পিছু হটতে থাকেন ছাত্র-জনতা। এ সময় কয়েক হাজার রাউন্ড গুলি চালান শামীম ওসমান ও তার নেতাকর্মীরা। তবে বিকাল নাগাদ প্রায় সবারই গুলি ফুরিয়ে এলে দলবল নিয়ে পালাতে শুরু করেন শামীম ওসমান।
এর আগে শামীম ওসমান, তার পরিবারের সদস্য ও ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের গুলিতে অনেক মানুষ হতাহতের ঘটনা ঘটে। ঠিক কতজন সেদিন গুলিবিদ্ধ হয়েছিল এবং মারা গিয়েছিলেন তা এখনো নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না।
এদিকে মুসল্লি ও শিক্ষার্থীদের ওপর নির্বিচারে গুলিবর্ষণের ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন সাধারণ মানুষ। শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আশপাশের এলাকা থেকে সাধারণ জনতা যোগ দিলে পালিয়ে যান শামীম ওসমান। এ সময় বিক্ষুব্ধ জনতা শামীম ও আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের আশ্রয় দেওয়ায় নারায়ণগঞ্জ ক্লাবে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে। একই সময়ে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের নগর ভবনেও হামলা চালায় বিক্ষুব্ধ জনতা।
শহরে জনতার প্রতিরোধের মুখে পালিয়ে লিংক রোডের দিকে চলে যান শামীম ও তার বাহিনীর সদস্যরা। এ সময় জালকুড়ি এলাকায় আন্দোলনরত জনগণের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ান শামীম ওসমান ও তার সশস্ত্র বাহিনী। জালকুড়ি এলাকায় তখন গুলিবর্ষণ করতে দেখা গেছে শামীম ওসমান ও তার পুত্র অয়ন ওসমানকে। তবে জনগণের প্রতিরোধের মুখে সেখান থেকেও পালিয়ে বাঁচতে হয় তাদের।
এদিকে ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগের পতনের সঙ্গে সঙ্গে নারায়ণগঞ্জ ছেড়ে পালান শামীম ওসমানসহ তার অনুগতরা। ওসমান পরিবারের সদস্যরা দেশত্যাগ করার পর আত্মগোপনে চলে যান তার অনুগত নেতাকর্মীরাও। পরে নানা উপায়ে দেশ ছাড়েন অনেকে। অনেক নেতাকর্মী এখনো দেশে আত্মগোপনে আছেন।
এদিকে আওয়ামী লীগের পতনের পর অস্ত্র উদ্ধারের বেশ কয়েকটি অভিযান পরিচালনা করা হলেও ওসমানদের ব্যবহৃত অস্ত্র এখনো উদ্ধার করতে পারেনি প্রশাসন। থানা থেকে লুট হওয়া অস্ত্রগুলো উদ্ধার করা গেলেও ওসমান বাহিনীর অবৈধ অস্ত্র এখনো তার অনুগত সন্ত্রাসীদের কাছে লুকানো রয়েছে বলেই মনে করেন আন্দোলনকারী ও রাজনৈতিক নেতারা।
নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহবায়ক সাখাওয়াত হোসেন খান বলেন, শামীম ওসমান আমাদের বিরুদ্ধে যে সব অস্ত্র নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল সেই অস্ত্রগুলো মূলত এখনো উদ্ধার হয়নি। বিশালসংখ্যক অস্ত্রের মধ্যে দুই-চারটি উদ্ধার করে আত্মতৃপ্তির কিছু নেই।
এ ব্যাপারে নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার প্রত্যুষ কুমার মজুমদার বলেন, ‘৫ আগস্টের পর বেশকিছু অস্ত্র উদ্ধার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। বাকিগুলো উদ্ধারে গোয়েন্দা তৎপরতা চলছে। আশা করি স্বল্প সময়ের মধ্যে আমরা আশানুরূপ ফল আপনাদের দিতে পারব।’
নারায়ণগঞ্জে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন দমনে পুলিশের পাশাপাশি অত্যাধুনিক অস্ত্র নিয়ে মাঠে নামেন ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। বিশেষ করে নারায়ণগঞ্জের সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) শামীম ওসমান, তার ছেলে অয়ন ওসমানসহ ওসমান পরিবারের ঘনিষ্ঠ নেতাকর্মীরা এসব অস্ত্র ব্যবহার করেছিলেন। ৫ আগস্টের গণবিপ্লবে আওয়ামী লীগের পতনের পর ওসমান পরিবারের সদস্যরা বিদেশে পালিয়ে যান। তবে শামীম ওসমান পালিয়ে গেলেও আন্দোলন দমনে ব্যবহার করা তাদের সেই বিশাল ভাণ্ডারের অস্ত্রগুলোর এখনো পর্যন্ত হদিস মেলেনি।
আহত ছাত্র-জনতা ও স্থানীয় লোকদের সূত্রে জানা গেছে, ২০২৪ সালের ১৭ জুলাই নারায়ণগঞ্জে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালীন শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। দুপুর বারোটার দিকে নারায়ণগঞ্জ শহরের চাষাঢ়ায় সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। মুহূর্তেই সংঘাত পুরো শহরে ছড়িয়ে পড়ে। পুলিশের সঙ্গে ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নেতাকর্মীরাও শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালায়। শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশের লাঠিচার্জ ও গুলিবর্ষণের ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়ে মাইকে ঘোষণা দিয়ে দেওভোগ, বাবুরাইল, নিতাইগঞ্জ, মিশনপাড়াসহ আশপাশের এলাকার সাধারণ মানুষও রাস্তায় নেমে আসে। দুপুর বারোটায় শুরু হওয়া এই সংঘর্ষ গভীর রাত পর্যন্ত চলে।
এদিকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতে থাকলে ওই রাতে কারফিউ জারি করে সরকার। সেই সঙ্গে ইন্টারনেট সংযোগ বন্ধ করে দেওয়া হয়। পরদিন শুক্রবার পূর্বঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে জুমার নামাজের পর কর্মসূচি পালনের প্রস্তুতি নিতে থাকেন শিক্ষার্থীসহ সমমনা বেশ কয়েকটি রাজনৈতিক দল। সন্ধ্যা পর্যন্ত মাঠে সক্রিয় ছিলেন না আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। এ কারণে আওয়ামী লীগের শীর্ষ পর্যায় থেকে দলীয় নেতাকর্মীদের দিয়ে আন্দোলন দমন করতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল। সেই নির্দেশ পালন করতেই মাঠে নামেন শামীম ওসমান ও তার বাহিনীর সদস্যরা।
১৮ জুলাই সকাল থেকেই নারায়ণগঞ্জ শহরের চাষাঢ়া ও আশপাশের এলাকায় সশস্ত্র অবস্থান নেয় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। জুমার নামাজের পর ডিআইটি এলাকায় শিক্ষার্থীরা মাঠে নামতে পারে এমন গুঞ্জন ছিল শহরজুড়ে। দুপুর বারোটার কিছু পরে নারায়ণগঞ্জে আসেন শামীম ওসমান। শহরের বঙ্গবন্ধু সড়কে অবস্থিত নারায়ণগঞ্জ ক্লাবে নেতাকর্মীদের জড়ো করতে শুরু করেন তিনি। এ সময় বিভিন্ন জায়গা থেকে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র সংগ্রহ করে ক্লাবে নিয়ে আসা হয়। নেতাকর্মীরা জানান, বিশাল এই অস্ত্র ভাণ্ডারের যোগানদাতা ছিলেন শামীম ওসমানের ছেলে অয়ন ও শ্যালক তানভীর আহমেদ টিটু।
জুমার নামাজের কিছুক্ষণ পরেই মুসল্লিরা বের হতে শুরু করলে নারায়ণগঞ্জ ক্লাব থেকে পিস্তল, শর্টগান, অটোমেটিক রাইফেল নিয়ে রাস্তায় নামেন শামীম ওসমান। এ সময় তার পাশে দেখা গেছে শ্যালক টিটু, ছেলে অয়ন, বেয়াই লাভলু ও তার ছেলে ভিকিকে। তারা অস্ত্র নিয়ে গুলিবর্ষণ করতে করতে ডিআইটি এলাকার দিকে অগ্রসর হতে শুরু করেন।
সূত্র জানায়, বিকাল পর্যন্ত শামীম ওসমান ও তার বাহিনীর গুলিবর্ষণের কারণে পিছু হটতে থাকেন ছাত্র-জনতা। এ সময় কয়েক হাজার রাউন্ড গুলি চালান শামীম ওসমান ও তার নেতাকর্মীরা। তবে বিকাল নাগাদ প্রায় সবারই গুলি ফুরিয়ে এলে দলবল নিয়ে পালাতে শুরু করেন শামীম ওসমান।
এর আগে শামীম ওসমান, তার পরিবারের সদস্য ও ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের গুলিতে অনেক মানুষ হতাহতের ঘটনা ঘটে। ঠিক কতজন সেদিন গুলিবিদ্ধ হয়েছিল এবং মারা গিয়েছিলেন তা এখনো নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না।
এদিকে মুসল্লি ও শিক্ষার্থীদের ওপর নির্বিচারে গুলিবর্ষণের ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন সাধারণ মানুষ। শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আশপাশের এলাকা থেকে সাধারণ জনতা যোগ দিলে পালিয়ে যান শামীম ওসমান। এ সময় বিক্ষুব্ধ জনতা শামীম ও আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের আশ্রয় দেওয়ায় নারায়ণগঞ্জ ক্লাবে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে। একই সময়ে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের নগর ভবনেও হামলা চালায় বিক্ষুব্ধ জনতা।
শহরে জনতার প্রতিরোধের মুখে পালিয়ে লিংক রোডের দিকে চলে যান শামীম ও তার বাহিনীর সদস্যরা। এ সময় জালকুড়ি এলাকায় আন্দোলনরত জনগণের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ান শামীম ওসমান ও তার সশস্ত্র বাহিনী। জালকুড়ি এলাকায় তখন গুলিবর্ষণ করতে দেখা গেছে শামীম ওসমান ও তার পুত্র অয়ন ওসমানকে। তবে জনগণের প্রতিরোধের মুখে সেখান থেকেও পালিয়ে বাঁচতে হয় তাদের।
এদিকে ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগের পতনের সঙ্গে সঙ্গে নারায়ণগঞ্জ ছেড়ে পালান শামীম ওসমানসহ তার অনুগতরা। ওসমান পরিবারের সদস্যরা দেশত্যাগ করার পর আত্মগোপনে চলে যান তার অনুগত নেতাকর্মীরাও। পরে নানা উপায়ে দেশ ছাড়েন অনেকে। অনেক নেতাকর্মী এখনো দেশে আত্মগোপনে আছেন।
এদিকে আওয়ামী লীগের পতনের পর অস্ত্র উদ্ধারের বেশ কয়েকটি অভিযান পরিচালনা করা হলেও ওসমানদের ব্যবহৃত অস্ত্র এখনো উদ্ধার করতে পারেনি প্রশাসন। থানা থেকে লুট হওয়া অস্ত্রগুলো উদ্ধার করা গেলেও ওসমান বাহিনীর অবৈধ অস্ত্র এখনো তার অনুগত সন্ত্রাসীদের কাছে লুকানো রয়েছে বলেই মনে করেন আন্দোলনকারী ও রাজনৈতিক নেতারা।
নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহবায়ক সাখাওয়াত হোসেন খান বলেন, শামীম ওসমান আমাদের বিরুদ্ধে যে সব অস্ত্র নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল সেই অস্ত্রগুলো মূলত এখনো উদ্ধার হয়নি। বিশালসংখ্যক অস্ত্রের মধ্যে দুই-চারটি উদ্ধার করে আত্মতৃপ্তির কিছু নেই।
এ ব্যাপারে নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার প্রত্যুষ কুমার মজুমদার বলেন, ‘৫ আগস্টের পর বেশকিছু অস্ত্র উদ্ধার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। বাকিগুলো উদ্ধারে গোয়েন্দা তৎপরতা চলছে। আশা করি স্বল্প সময়ের মধ্যে আমরা আশানুরূপ ফল আপনাদের দিতে পারব।’
মঙ্গলবার (২১অক্টোবর) জিয়া সাইবার ফোর্সের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি কে,এম হারুন অর রশিদ ও সাধারন সম্পাদক মিয়া মোহাম্মদ রাজিবুল ইসলাম স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে সভাপতি- সাধারন সম্পাদকসহ ৫৩ সদস্য বিশিষ্ট নির্বাহি কমিটি ঘোষনা দেন। ওই কিমিটির নির্বাহি সদস্য হিসেবে নূর আলমের নাম রয়েছে।
১ ঘণ্টা আগেনিখোঁজ মুফতি মুহিবুল্লাহর ছেলে আব্দুল্লাহ জানান, তিনি জুমার নামাজে হিন্দু সম্প্রদায়ের সংগঠন ইসকন নিয়ে বয়ান করে ছিলেন। এরপর থেকে তাকে হুমকি দিয়ে বেশ কয়েকটি উড়ো চিঠি দেয়া হয়। এরপর থেকে তিনি বিষয়টি নিয়ে মসজিদ কমিটির সাথে কথা বলেন। একপর্যায়ে বুধবার সকাল থেকে তিনি নিখোঁজ হন।
২ ঘণ্টা আগেগাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলার ভরতখালীতে নদী শাসন ও ভাঙনরোধ প্রকল্পের কাজে বাধার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে গ্রামবাসী। বুধবার বিকেলে যমুনা নদীর তীর সংলগ্ন এলাকায় স্থানীয় নদীপাড়ের মানুষ এ মানববন্ধন করে।
২ ঘণ্টা আগেস্থানীয়রা জানান, আলমাস উপজেলার ৩ নম্বর চারিকাটা ইউনিয়নের নয়াখেল পূর্ব গ্রামের শরীফ উদ্দিনের ছেলে। জকিগঞ্জ ব্যাটালিয়নের (১৯ বিজিবি) সুইরঘাট বিওপির চার বিজিবি সদস্য দুটি মোটরসাইকেলযোগে চোরাইপণ্যবাহী একটি পিকআপকে ধাওয়া করেন। এ সময় বিজিবির ছোড়া গুলিতে আলমাস গুলিবিদ্ধ হন।
৩ ঘণ্টা আগে