রোকনুজ্জামান রিপন, বেনাপোল
পবিত্র ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে বেনাপোল পোর্ট থানাধীন সীমান্তবর্তী পুটখালী গ্রামে গড়ে উঠেছে উটের খামার। এসব উট বৈধপথে আমদানি করা হয়েছে কিনা, সে বিষয়ে প্রশাসনিক তদন্ত দাবি করছেন এলাকাবাসী। সীমান্তবর্তী এলাকায় এমন দৃষ্টিনন্দন খামার যেমন বিস্ময় তৈরি করেছে, তেমনি উটগুলোর উৎস নিয়ে তৈরি হয়েছে রহস্য।
মরুভূমির উট এখন দেখা যাচ্ছে বেনাপোলের সীমান্তবর্তী এই গ্রামে। বিশাল আকৃতির সাতটি উট রয়েছে এ খামারে। সম্প্রতি ২৪ লাখ টাকায় বিক্রি হয়েছে এ খামারের একটি উট। এমন খবর ছড়িয়ে পড়লে খামারটির প্রতি মানুষের কৌতূহল আরো বেড়ে যায়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, খামারের মালিক বিগত ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকারের যশোর-১ শার্শা আসনের সাবেক এমপি আফিল উদ্দিনের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত পুটখালী গ্রামের ‘গোল্ড’ নাসির। স্থানীয়ভাবে তিনি ‘সোনা ও অস্ত্র চোরাচালানের গডফাদার’ হিসেবে পরিচিত। গরু, ছাগল, ষাঁড়ের পাশাপাশি এবার উটের খামার করেছেন তিনি। খামারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, উটগুলো সৌদি আরব থেকে বৈধভাবে আমদানি করা হয়েছে। তবে এলাকাবাসীর ধারণা, এসব উট চোরাইপথে ভারত থেকে আনা হয়েছে।
খামারের ম্যানেজার আল আমিন জানান, নাসির ভাই দুই বছর আগে সাতটি উট সৌদি আরব থেকে এনে এখানে লালনপালন করে বড় করেছেন। ইতোমধ্যে একটি উট ২৪ লাখ টাকায় বিক্রিও হয়ে গেছে। বাকি ছয়টি চট্টগ্রামের ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি করা হবে। উটগুলো চট্টগ্রামে পাঠিয়ে দেওয়া হবে। একটি উটে ১৩ থেকে ১৪ মণ মাংস হয়ে থাকে। আগে থেকে নাসিরের বাণিজ্যিক গরুর খামারও রয়েছে। সেগুলো এখন কোরবানির জন্য পুরো প্রস্তুত। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে ক্রেতারা আসছেন খামারে। খামারের মালিক নাসির এলাকার বাইরে আছেন। মাঝেমধ্যে এখানে আসেন বলে তিনি জানান।
খামার শ্রমিক মতিয়ার জানান, প্রতিটি উটের উচ্চতা ১২ থেকে ১৫ ফুট। উটগুলোকে সকালে গোসল করানো হয়, এরপর খাওয়ানো হয় ছোলা, ভুট্টা এবং ঘাস। প্রতিটি উটের জন্য রয়েছে আলাদা খাদ্য তালিকা ও সময়সূচি।
এ বিষয়ে এলাকাবাসী জানান, সৌদি আরব থেকে এ উট আনা হয়নি। ভারতের রাজস্থান থেকে উট চোরাইপথে এনে খামারে তোলা হয়েছে। কারণ সীমান্তের ইছামতি নদীর এপাশে বেনাপোলের পুটখালী আর ওপাশে বনগাঁর আংরাইল সীমান্ত। আর গোল্ড নাসির এলাকায় বিগত দিনে দাপটের সঙ্গে চোরাচালানি কাজ করেছে। নাসিরের কাছে ভারত থেকে উট আনা সহজ ছিল।
তথ্যানুযায়ী, খামারের মালিক ‘গোল্ড’ নাসির অতীতে একাধিকবার সোনা ও অস্ত্রসহ বিজিবি ও র্যাবের কাছে আটক হন। ২০২৩ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি রামনগর এলাকায় প্রাইভেট কার থেকে ৪২টি সোনোর বার উদ্ধার করে বিজিবি। এরপর একই বছরের ২৩ সেপ্টেম্বর দুটি বিদেশি পিস্তল, একটি ওয়ান শুটারগান, তিনটি রিভলবার ও ১৯ রাউন্ড গুলিসহ র্যাবের কাছে আটক হন নাসির। ওই মামলায় প্রায় ১৯ মাস কারাগারে থাকার পর কয়েক মাস আগে নাসির জামিনে বের হন।
শার্শা উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা তপন কুমার সাহা উটের খামারের বিষয়ে বলেন, ‘সীমান্ত এলাকায় এ ধরনের খামার এটাই প্রথম। এটি বেশ ব্যয়বহুল ও ব্যতিক্রমী উদ্যোগ। খামারের মালিক দাবি করেছেন, সৌদি আরব থেকে উটগুলো আনা হয়েছে। তবে আমরা বিষয়টি যাচাই-বাছাই করছি এবং নিয়মিত পরিদর্শন করছি।’
পবিত্র ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে বেনাপোল পোর্ট থানাধীন সীমান্তবর্তী পুটখালী গ্রামে গড়ে উঠেছে উটের খামার। এসব উট বৈধপথে আমদানি করা হয়েছে কিনা, সে বিষয়ে প্রশাসনিক তদন্ত দাবি করছেন এলাকাবাসী। সীমান্তবর্তী এলাকায় এমন দৃষ্টিনন্দন খামার যেমন বিস্ময় তৈরি করেছে, তেমনি উটগুলোর উৎস নিয়ে তৈরি হয়েছে রহস্য।
মরুভূমির উট এখন দেখা যাচ্ছে বেনাপোলের সীমান্তবর্তী এই গ্রামে। বিশাল আকৃতির সাতটি উট রয়েছে এ খামারে। সম্প্রতি ২৪ লাখ টাকায় বিক্রি হয়েছে এ খামারের একটি উট। এমন খবর ছড়িয়ে পড়লে খামারটির প্রতি মানুষের কৌতূহল আরো বেড়ে যায়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, খামারের মালিক বিগত ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকারের যশোর-১ শার্শা আসনের সাবেক এমপি আফিল উদ্দিনের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত পুটখালী গ্রামের ‘গোল্ড’ নাসির। স্থানীয়ভাবে তিনি ‘সোনা ও অস্ত্র চোরাচালানের গডফাদার’ হিসেবে পরিচিত। গরু, ছাগল, ষাঁড়ের পাশাপাশি এবার উটের খামার করেছেন তিনি। খামারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, উটগুলো সৌদি আরব থেকে বৈধভাবে আমদানি করা হয়েছে। তবে এলাকাবাসীর ধারণা, এসব উট চোরাইপথে ভারত থেকে আনা হয়েছে।
খামারের ম্যানেজার আল আমিন জানান, নাসির ভাই দুই বছর আগে সাতটি উট সৌদি আরব থেকে এনে এখানে লালনপালন করে বড় করেছেন। ইতোমধ্যে একটি উট ২৪ লাখ টাকায় বিক্রিও হয়ে গেছে। বাকি ছয়টি চট্টগ্রামের ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি করা হবে। উটগুলো চট্টগ্রামে পাঠিয়ে দেওয়া হবে। একটি উটে ১৩ থেকে ১৪ মণ মাংস হয়ে থাকে। আগে থেকে নাসিরের বাণিজ্যিক গরুর খামারও রয়েছে। সেগুলো এখন কোরবানির জন্য পুরো প্রস্তুত। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে ক্রেতারা আসছেন খামারে। খামারের মালিক নাসির এলাকার বাইরে আছেন। মাঝেমধ্যে এখানে আসেন বলে তিনি জানান।
খামার শ্রমিক মতিয়ার জানান, প্রতিটি উটের উচ্চতা ১২ থেকে ১৫ ফুট। উটগুলোকে সকালে গোসল করানো হয়, এরপর খাওয়ানো হয় ছোলা, ভুট্টা এবং ঘাস। প্রতিটি উটের জন্য রয়েছে আলাদা খাদ্য তালিকা ও সময়সূচি।
এ বিষয়ে এলাকাবাসী জানান, সৌদি আরব থেকে এ উট আনা হয়নি। ভারতের রাজস্থান থেকে উট চোরাইপথে এনে খামারে তোলা হয়েছে। কারণ সীমান্তের ইছামতি নদীর এপাশে বেনাপোলের পুটখালী আর ওপাশে বনগাঁর আংরাইল সীমান্ত। আর গোল্ড নাসির এলাকায় বিগত দিনে দাপটের সঙ্গে চোরাচালানি কাজ করেছে। নাসিরের কাছে ভারত থেকে উট আনা সহজ ছিল।
তথ্যানুযায়ী, খামারের মালিক ‘গোল্ড’ নাসির অতীতে একাধিকবার সোনা ও অস্ত্রসহ বিজিবি ও র্যাবের কাছে আটক হন। ২০২৩ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি রামনগর এলাকায় প্রাইভেট কার থেকে ৪২টি সোনোর বার উদ্ধার করে বিজিবি। এরপর একই বছরের ২৩ সেপ্টেম্বর দুটি বিদেশি পিস্তল, একটি ওয়ান শুটারগান, তিনটি রিভলবার ও ১৯ রাউন্ড গুলিসহ র্যাবের কাছে আটক হন নাসির। ওই মামলায় প্রায় ১৯ মাস কারাগারে থাকার পর কয়েক মাস আগে নাসির জামিনে বের হন।
শার্শা উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা তপন কুমার সাহা উটের খামারের বিষয়ে বলেন, ‘সীমান্ত এলাকায় এ ধরনের খামার এটাই প্রথম। এটি বেশ ব্যয়বহুল ও ব্যতিক্রমী উদ্যোগ। খামারের মালিক দাবি করেছেন, সৌদি আরব থেকে উটগুলো আনা হয়েছে। তবে আমরা বিষয়টি যাচাই-বাছাই করছি এবং নিয়মিত পরিদর্শন করছি।’
মঙ্গলবার (২১অক্টোবর) জিয়া সাইবার ফোর্সের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি কে,এম হারুন অর রশিদ ও সাধারন সম্পাদক মিয়া মোহাম্মদ রাজিবুল ইসলাম স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে সভাপতি- সাধারন সম্পাদকসহ ৫৩ সদস্য বিশিষ্ট নির্বাহি কমিটি ঘোষনা দেন। ওই কিমিটির নির্বাহি সদস্য হিসেবে নূর আলমের নাম রয়েছে।
৫ ঘণ্টা আগেনিখোঁজ মুফতি মুহিবুল্লাহর ছেলে আব্দুল্লাহ জানান, তিনি জুমার নামাজে হিন্দু সম্প্রদায়ের সংগঠন ইসকন নিয়ে বয়ান করে ছিলেন। এরপর থেকে তাকে হুমকি দিয়ে বেশ কয়েকটি উড়ো চিঠি দেয়া হয়। এরপর থেকে তিনি বিষয়টি নিয়ে মসজিদ কমিটির সাথে কথা বলেন। একপর্যায়ে বুধবার সকাল থেকে তিনি নিখোঁজ হন।
৫ ঘণ্টা আগেগাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলার ভরতখালীতে নদী শাসন ও ভাঙনরোধ প্রকল্পের কাজে বাধার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে গ্রামবাসী। বুধবার বিকেলে যমুনা নদীর তীর সংলগ্ন এলাকায় স্থানীয় নদীপাড়ের মানুষ এ মানববন্ধন করে।
৬ ঘণ্টা আগেস্থানীয়রা জানান, আলমাস উপজেলার ৩ নম্বর চারিকাটা ইউনিয়নের নয়াখেল পূর্ব গ্রামের শরীফ উদ্দিনের ছেলে। জকিগঞ্জ ব্যাটালিয়নের (১৯ বিজিবি) সুইরঘাট বিওপির চার বিজিবি সদস্য দুটি মোটরসাইকেলযোগে চোরাইপণ্যবাহী একটি পিকআপকে ধাওয়া করেন। এ সময় বিজিবির ছোড়া গুলিতে আলমাস গুলিবিদ্ধ হন।
৬ ঘণ্টা আগে