ইলিয়াস উদ্দীন, ঝিকরগাছা (যশোর)
যশোরের ঝিকরগাছা, চৌগাছা, মণিরামপুর ও কেশবপুরের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত কপোতাক্ষ নদের অস্তিত্ব হুমকির মুখে। ঝিকরগাছা থেকে বাঁকড়া পর্যন্ত প্রায় ২০ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে নদটি কচুরিপানায় ভরে গেছে। বর্তমান অবস্থা দেখে মনে হয় যেন এটি কোনো জলাধার নয়, বিশাল সবজিক্ষেত। এ অবস্থার কারণে এর দুই কূলের বাসিন্দাদের ঘরে পানি ওঠার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, নদটির এমন করুণ দশার প্রধান কারণ অবৈধভাবে বসানো ভেসাল জাল। মাছ ধরার জন্য নদীর একদিক থেকে অন্যদিকে বাঁশ ও দড়ি দিয়ে কচুরিপানা আটকে রাখছেন জেলেরা। ফলে নদের পানির স্বাভাবিক প্রবাহ ব্যাহত হচ্ছে।
সরেজমিন দেখা গেছে, ঝিকরগাছার ছুটিপুর থেকে রঘুনাথনগরের বেজিয়াতলা ব্রিজ হয়ে সরসকাটি গজা মোড় পর্যন্ত অসংখ্য স্থানে ভেসাল জাল দিয়ে মাছ ধরছে জেলেরা। এই জাল স্থাপনের জন্য ব্যবহৃত বাঁশ ও দড়ি নদীর গতিপথ বন্ধ করে দিচ্ছে, যা পরিবেশ ও জনজীবনের জন্য হুমকি হয়ে উঠেছে।
স্থানীয় নজরুল ইসলাম জানান, ঝিকরগাছা মৎস্য কর্মকর্তারা মাঝে মধ্যে অভিযানে আসেন। তখন স্থানীয় জেলেরা দায় চাপিয়ে দেয় মণিরামপুরের জেলেদের ওপর। যদিও ঝিকরগাছা এবং মণিরামপুর উপজেলার জেলেরা মাছ ধরেন। ফলে কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নিতে পারছে না প্রশাসন।
রঘুনাথনগর কলেজের অধ্যক্ষ আব্দুল ওহাব বলেন, কপোতাক্ষ থেকে দ্রুত কচুরিপানা অপসারণ না করা হলে নদটি তার নাব্য হারাবে। ভবিষ্যতে এর পরিণতি হবে ভয়াবহ।
ঝিকরগাছা পৌরসভার বাসিন্দা ইব্রাহীম হোসেন সরদার জানান, এভাবে চলতে থাকলে অচিরেই আমাদের বাড়িঘরে পানি ঢুকে পড়বে।
উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা নানু রেজা বলেন, আমরা প্রতিনিয়ত চায়না দুয়ারি, কোমর জাল, পাটা জাল ও ভেসাল জাল ব্যবহারের বিরুদ্ধে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে থাকি। তারপরও জেলেদের নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন হয়ে পড়ছে।
ঝিকরগাছা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ভুপালী সরকার জানান, জেলা প্রশাসক এবং পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলীকে ইতোমধ্যে বিষয়টি জানানো হয়েছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী পলাশ ব্যানার্জি বলেন, আমরা দ্রুত অর্থ বরাদ্দের মাধ্যমে কচুরিপানা অপসারণের কাজ শুরু করব।
নদীর স্বাভাবিক গতি ফিরিয়ে দিতে প্রশাসন, মৎস্য বিভাগ ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের সমন্বিত উদ্যোগ এখন সময়ের দাবি বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
সম্পাদনা : মাসুম বিল্লাহ
যশোরের ঝিকরগাছা, চৌগাছা, মণিরামপুর ও কেশবপুরের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত কপোতাক্ষ নদের অস্তিত্ব হুমকির মুখে। ঝিকরগাছা থেকে বাঁকড়া পর্যন্ত প্রায় ২০ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে নদটি কচুরিপানায় ভরে গেছে। বর্তমান অবস্থা দেখে মনে হয় যেন এটি কোনো জলাধার নয়, বিশাল সবজিক্ষেত। এ অবস্থার কারণে এর দুই কূলের বাসিন্দাদের ঘরে পানি ওঠার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, নদটির এমন করুণ দশার প্রধান কারণ অবৈধভাবে বসানো ভেসাল জাল। মাছ ধরার জন্য নদীর একদিক থেকে অন্যদিকে বাঁশ ও দড়ি দিয়ে কচুরিপানা আটকে রাখছেন জেলেরা। ফলে নদের পানির স্বাভাবিক প্রবাহ ব্যাহত হচ্ছে।
সরেজমিন দেখা গেছে, ঝিকরগাছার ছুটিপুর থেকে রঘুনাথনগরের বেজিয়াতলা ব্রিজ হয়ে সরসকাটি গজা মোড় পর্যন্ত অসংখ্য স্থানে ভেসাল জাল দিয়ে মাছ ধরছে জেলেরা। এই জাল স্থাপনের জন্য ব্যবহৃত বাঁশ ও দড়ি নদীর গতিপথ বন্ধ করে দিচ্ছে, যা পরিবেশ ও জনজীবনের জন্য হুমকি হয়ে উঠেছে।
স্থানীয় নজরুল ইসলাম জানান, ঝিকরগাছা মৎস্য কর্মকর্তারা মাঝে মধ্যে অভিযানে আসেন। তখন স্থানীয় জেলেরা দায় চাপিয়ে দেয় মণিরামপুরের জেলেদের ওপর। যদিও ঝিকরগাছা এবং মণিরামপুর উপজেলার জেলেরা মাছ ধরেন। ফলে কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নিতে পারছে না প্রশাসন।
রঘুনাথনগর কলেজের অধ্যক্ষ আব্দুল ওহাব বলেন, কপোতাক্ষ থেকে দ্রুত কচুরিপানা অপসারণ না করা হলে নদটি তার নাব্য হারাবে। ভবিষ্যতে এর পরিণতি হবে ভয়াবহ।
ঝিকরগাছা পৌরসভার বাসিন্দা ইব্রাহীম হোসেন সরদার জানান, এভাবে চলতে থাকলে অচিরেই আমাদের বাড়িঘরে পানি ঢুকে পড়বে।
উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা নানু রেজা বলেন, আমরা প্রতিনিয়ত চায়না দুয়ারি, কোমর জাল, পাটা জাল ও ভেসাল জাল ব্যবহারের বিরুদ্ধে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে থাকি। তারপরও জেলেদের নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন হয়ে পড়ছে।
ঝিকরগাছা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ভুপালী সরকার জানান, জেলা প্রশাসক এবং পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলীকে ইতোমধ্যে বিষয়টি জানানো হয়েছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী পলাশ ব্যানার্জি বলেন, আমরা দ্রুত অর্থ বরাদ্দের মাধ্যমে কচুরিপানা অপসারণের কাজ শুরু করব।
নদীর স্বাভাবিক গতি ফিরিয়ে দিতে প্রশাসন, মৎস্য বিভাগ ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের সমন্বিত উদ্যোগ এখন সময়ের দাবি বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
সম্পাদনা : মাসুম বিল্লাহ
মঙ্গলবার (২১অক্টোবর) জিয়া সাইবার ফোর্সের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি কে,এম হারুন অর রশিদ ও সাধারন সম্পাদক মিয়া মোহাম্মদ রাজিবুল ইসলাম স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে সভাপতি- সাধারন সম্পাদকসহ ৫৩ সদস্য বিশিষ্ট নির্বাহি কমিটি ঘোষনা দেন। ওই কিমিটির নির্বাহি সদস্য হিসেবে নূর আলমের নাম রয়েছে।
১ ঘণ্টা আগেনিখোঁজ মুফতি মুহিবুল্লাহর ছেলে আব্দুল্লাহ জানান, তিনি জুমার নামাজে হিন্দু সম্প্রদায়ের সংগঠন ইসকন নিয়ে বয়ান করে ছিলেন। এরপর থেকে তাকে হুমকি দিয়ে বেশ কয়েকটি উড়ো চিঠি দেয়া হয়। এরপর থেকে তিনি বিষয়টি নিয়ে মসজিদ কমিটির সাথে কথা বলেন। একপর্যায়ে বুধবার সকাল থেকে তিনি নিখোঁজ হন।
২ ঘণ্টা আগেগাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলার ভরতখালীতে নদী শাসন ও ভাঙনরোধ প্রকল্পের কাজে বাধার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে গ্রামবাসী। বুধবার বিকেলে যমুনা নদীর তীর সংলগ্ন এলাকায় স্থানীয় নদীপাড়ের মানুষ এ মানববন্ধন করে।
২ ঘণ্টা আগেস্থানীয়রা জানান, আলমাস উপজেলার ৩ নম্বর চারিকাটা ইউনিয়নের নয়াখেল পূর্ব গ্রামের শরীফ উদ্দিনের ছেলে। জকিগঞ্জ ব্যাটালিয়নের (১৯ বিজিবি) সুইরঘাট বিওপির চার বিজিবি সদস্য দুটি মোটরসাইকেলযোগে চোরাইপণ্যবাহী একটি পিকআপকে ধাওয়া করেন। এ সময় বিজিবির ছোড়া গুলিতে আলমাস গুলিবিদ্ধ হন।
৩ ঘণ্টা আগে