বকশীগঞ্জ সীমান্ত দিয়ে নারীসহ সাতজনকে পুশইন

উপজেলা প্রতিনিধি, বকশীগঞ্জ (জামালপুর)
প্রকাশ : ১০ জুলাই ২০২৫, ১০: ১৪
পুশইন করা চার নারী

আইন-বহির্ভূতভাবে পুশইনের ঘটনা অব্যাহত রেখেছে ভারতীয় বিএসএফ। বিজিবি ও বিএসএফের মধ্যে দফায় দফায় পতাকা বৈঠক হলেও বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে পুশইনের ঘটনা বেড়েই চলছে।

বিজ্ঞাপন

জামালপুরের বকশীগঞ্জ ধানুয়া কামালপুর সীমান্ত দিয়ে চার নারীসহ সাতজনকে পুশইনের ঘটনা ঘটেছে।

বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) ভোর ৪টায় ধানুয়া কামালপুরের ১০৮৩ পিলারের কাছ দিয়ে তাদের পুশইন করে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। পরে স্থানীয় এলাকাবাসী তাদের আটক করে বকশীগঞ্জ থানায় সোপর্দ করে। আটককৃতদের বাড়ি খুলনা, ফরিদপুর, বাগেরহাট ও বরগুনার জেলায়।

আটককৃতরা হলেন বাগেরহাট জেলার মোড়লগঞ্জ উপজেলার কাশেম আলীর ছেলে এনায়েত খাঁ (৫৫), একই উপজেলার বেলায়েত খাঁর ছেলে মোহম্মদ ইসলাম (২২), ফরিদপুর জেলার মেহবুব আলীর ছেলে কোরবান আলী (২০), তার মা তাছলিমা বেগম (৫০), খুলনার খালিশপুর এলাকার সোহাগ মিয়ার মেয়ে সুমি আক্তার (৩০), তার বোন রেমি আক্তার (২০,) বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলার রুস্তম আলীর মেয়ে মায়া আক্তার (৩২)।

ধানুয়া কামালপুর ইউনিয়ন পরিষদের ২ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মোতালেব মিয়া জানান, বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) ভোরে ভারত থেকে ৭ জনকে পুশইন করছে- এমন খবর পেয়ে গ্রামবাসীকে নিয়ে আমরা সীমান্তে অবস্থান নিই এবং তাদের আটক করি।

আটককৃতরা বিভিন্ন সময়ে কাজের সন্ধানে দালালের মাধ্যমে ভারতের বিভিন্ন শহরে চলে যায়। সম্প্রতি বিভিন্ন সীমান্তে পুশইনের ঘটনা ঘটলে বকশীগঞ্জ সীমান্ত দিয়ে তাদেরও বাংলাদেশে পাঠায় বিএসএফ।

বকশীগঞ্জ থানার ওসি খন্দকার শাকের আহমেদ জানান, ধানুয়া কামালপুর সীমান্তে পুশইন করার পর স্থানীয়রা সাতজনকে আটক করে থানায় সোপর্দ করেছে। এ বিষয়ে আইনগত প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।

আমার দেশের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

বিষয়:

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত