
মঈন উদ্দিন, রাজশাহী

মানবসৃষ্ট দুর্যোগের অর্ধ শতক ইতোমধ্যে পার হয়েছে চলতি বছরের ২১ এপ্রিল। ১৯৭৫ সালে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদে গঙ্গার বুকে নির্মাণ করা হয়েছিল ফারাক্কা বাঁধ। কলকাতা বন্দর রক্ষার নামে নির্মিত এই ব্যারাজ গত পাঁচ দশক ধরে বাংলাদেশের নদীকেন্দ্রিক জীবন-জীবিকাকে ঠেলে দিয়েছে এক জটিল সংকটের দিকে।
১৯৯৬ সালে স্বাক্ষরিত ৩০ বছর মেয়াদি গঙ্গা পানি বণ্টন চুক্তির মেয়াদ শেষ হতে যাচ্ছে ২০২৬ সালে। কিন্তু নতুন কোনো চুক্তির আভাস পাওয়া যাচ্ছে না। এ অবস্থায় জনমনে প্রশ্ন জেগেছে নতুন চুক্তি হলে বাংলাদেশ কী পানির ন্যায্য হিস্যা বুঝে পাবে, নাকি আরো সংকুচিত হবে।
গবেষক ও বিশ্লেষকদের মতে, গত ৫০ বছরে ফারাক্কা বাঁধের প্রত্যক্ষ প্রভাবে বাংলাদেশের আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে প্রায় তিন বিলিয়ন ডলারে। তবে পরোক্ষ ক্ষতির হিসাব করলে এ সংখ্যা আরো বহুগুণে বেড়ে যাবে, যা পুরো দেশের অর্থনীতির জন্য এক ভয়ঙ্কর হুমকি।
তাদের দাবি, গঙ্গার পানি প্রবাহে বাধার ফলে পদ্মা ও তার শাখা-প্রশাখা নদীগুলোর নাব্য মারাত্মকভাবে হ্রাস পেয়েছে, তলদেশ ভরাট হয়ে উঠেছে, কৃষি ও মৎস্য উৎপাদন চরম বিপর্যস্ত। ফারাক্কার প্রভাব কেবল পানি সংকটেই সীমাবদ্ধ নয়, এটি একটি সুদূরপ্রসারী সামাজিক-অর্থনৈতিক ও পরিবেশগত বিপর্যয়। পদ্মা, মহানন্দা, আত্রাইসহ প্রায় ৫০টিরও বেশি নদী আজ প্রায় মুমূর্ষু।
বিশেষজ্ঞদের গবেষণায় উঠে এসেছে, ফারাক্কা বাঁধের কারণে বাংলাদেশে কমপক্ষে ছয় কোটিরও বেশি মানুষ সেচের পানির অভাবে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। এদের মধ্যে উত্তরাঞ্চলের প্রায় দুই কোটি এবং দক্ষিণ ও মধ্যাঞ্চলের চার কোটি মানুষ সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে।
নদী গবেষক মাহবুব সিদ্দিকী বলেন, ফারাক্কার প্রভাবে গঙ্গা-কপোতাক্ষ প্রকল্পে পানি স্বল্পতার কারণে ৬৫ শতাংশ এলাকায় সেচ কার্যক্রম মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। উজান থেকে স্বাদু পানির সরবরাহ কমে যাওয়ায় দেশের দক্ষিণাঞ্চলে লবণাক্ততা উদ্বেগজনক হারে বেড়েছে, যা জমির উর্বরতা শক্তি কমিয়ে দিচ্ছে।
তিনি আরো বলেন, বরেন্দ্র অঞ্চল, বিশেষ করে উচ্চ বরেন্দ্রের প্রায় শতভাগ গভীর নলকূপই এখন অকেজো। ২১ শতাংশ অগভীর নলকূপ প্রায় অকার্যকর হয়ে পড়েছে। ভূগর্ভস্থ পানির স্তর অস্বাভাবিক নিচে নেমে যাওয়ায় হস্তচালিত পাম্পগুলোও আর কাজ করছে না। এছাড়া, ভূগর্ভস্থ পানিতে আর্সেনিকের বিষাক্ত প্রভাবে উত্তর ও উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের বহু জেলায় নলকূপের পানি এখন পান করার অযোগ্য। বৃহত্তর খুলনা অঞ্চলে লবণাক্ততা বেড়ে যাওয়ায় প্রচলিত ধান উৎপাদন হ্রাস পেয়েছে। স্বাদু পানির অভাবে খুলনা ও সাতক্ষীরা অঞ্চলে সুন্দরবনের প্রাণবৈচিত্র্য ক্রমাগত ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
মাহবুব সিদ্দিকীর মতে, ফারাক্কা ব্যারাজ দিয়ে ভারতের পানি উত্তোলনের কারণে বাংলাদেশের সরাসরি বার্ষিক ক্ষতি হচ্ছে প্রায় পাঁচ হাজার কোটি টাকা। পরোক্ষ ক্ষতি এর চেয়ে অনেক বেশি।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার এবং বাংলাদেশ নদী বাঁচাও আন্দোলনের রাজশাহী শাখার সভাপতি অধ্যাপক ইফতেখারুল আলম মাসউদ বলেন, এই মানবসৃষ্ট দুর্বিপাকের ফলে গত ৫০ বছরে বাংলাদেশের কৃষি, মৎস্য, বনজ, শিল্প, নৌপরিবহন ও পানি সরবরাহ ব্যবস্থা মারাত্মক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে। শুষ্ক মৌসুমে নদীর পানি প্রবাহ কমে যাওয়ায় ভূগর্ভস্থ পানির স্তর অস্বাভাবিক নিচে নেমে গেছে, ফলে সাধারণ টিউবওয়েলেও পানি পাওয়া যাচ্ছে না। মানুষের খাবার পানি ও গৃহস্থালি কাজে পানির মারাত্মক সংকট তৈরি হয়েছে। এই অবস্থা চলতে থাকলে দেশ মরূকরণের দিকেই ধাবিত হবে।
তিনি সতর্ক করে দিয়ে বলেন, গঙ্গার এই বাঁধের কারণে বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের পরিবেশগত বিপর্যয় ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। লবণাক্ততা বৃদ্ধির কারণে বিশ্ব ঐতিহ্য সুন্দরবন ম্যানগ্রোভ বন ধ্বংসের মুখোমুখি। পদ্মার একটি বড় শাখা নদী গড়াই ইতোমধ্যে কার্যত শুকিয়ে গেছে।
তিনি বলেন, ফারাক্কা বাঁধ নির্মাণের আগে খুলনা অঞ্চলে লবণাক্ততার পরিমাণ ছিল মাত্র ৫০০ মাইক্রোমোস। ফারাক্কার পানি প্রত্যাহারের পর এ পরিমাণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৯ হাজার ৫০০ মাইক্রোমোসে পৌঁছেছে।
প্রায় ৪০ বছরের বেশি সময় ধরে নদীকে কাছ থেকে দেখেছেন নজরুল মোল্লা। স্মৃতিকাতর হয়ে তিনি বলেন, পদ্মার অনেক শাখা নদীই গত ৫০ বছরে শুকিয়ে মরেছে। আগে পদ্মা কয়েক কিলোমিটার প্রশস্ত ছিল। শুষ্ক মৌসুমে এখন অনেক জায়গায় এটিকে একটি সরু খাল বললেও ভুল হবে।
এদিকে, গত ৩০ অক্টোবর পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও নওগাঁ জেলার মোট ২৫টি উপজেলার ৪৭টি ইউনিয়নকে ‘অতি উচ্চ পানি সংকটাপন্ন’, ৪০টি ইউনিয়নকে ‘উচ্চ পানি সংকটাপন্ন’ এবং ৬৬টি ইউনিয়নকে ‘মধ্যম মাত্রার পানি সংকটাপন্ন’ এলাকা হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনায় বলা হয়েছে, পানি আইনের ধারা অনুযায়ী এসব এলাকায় পানিসম্পদের অগ্রাধিকারভিত্তিক ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। খাবার পানি ছাড়া অন্য কোনো কাজে নতুন নলকূপ স্থাপন ও ভূগর্ভস্থ পানি উত্তোলন সম্পূর্ণ রূপে বন্ধ রাখতে হবে।
নদী ও পরিবেশবিষয়ক গবেষকদের মতে, ১৯৯৬ সালের গঙ্গা পানি বণ্টন চুক্তি ছিল অনেকটাই ‘শুভঙ্করের ফাঁকি’। তাই এখনই পরবর্তী চুক্তির জন্য কূটনৈতিক প্রস্তুতি জোরদার করা জরুরি। ভারতের আচরণে বাংলাদেশ একরকম অনিশ্চয়তার মধ্যে রয়েছে বলে মনে করেন তারা।
বিশ্লেষকরা মনে করেন, চুক্তির সময়সীমা শেষ হওয়ার আগেই বাংলাদেশকে আন্তর্জাতিক নদী আইনের আলোকে তার অবস্থান শক্ত করতে হবে। নতুন চুক্তিতে এমন গ্যারান্টি ক্লজ সংযুক্ত করতে হবে, যাতে বাংলাদেশ অংশে গঙ্গার একটি ন্যূনতম ও নিশ্চিত প্রবাহ বজায় থাকে। দুই দেশের যৌথ নদী কমিশনের ভূমিকা আরো কার্যকর করতে হবে এবং নদীসংক্রান্ত সব তথ্য-উপাত্ত স্বচ্ছভাবে বিনিময় করতে হবে।
পাশাপাশি, পদ্মাসহ অন্যান্য নদীর নাব্য ফিরিয়ে আনতে ব্যাপক ড্রেজিং ও তীররক্ষা কার্যক্রম হাতে নেওয়া দরকার। স্থানীয় জনগোষ্ঠীর মতামত ও অংশগ্রহণ নিশ্চিত করাও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে জানান তারা।

মানবসৃষ্ট দুর্যোগের অর্ধ শতক ইতোমধ্যে পার হয়েছে চলতি বছরের ২১ এপ্রিল। ১৯৭৫ সালে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদে গঙ্গার বুকে নির্মাণ করা হয়েছিল ফারাক্কা বাঁধ। কলকাতা বন্দর রক্ষার নামে নির্মিত এই ব্যারাজ গত পাঁচ দশক ধরে বাংলাদেশের নদীকেন্দ্রিক জীবন-জীবিকাকে ঠেলে দিয়েছে এক জটিল সংকটের দিকে।
১৯৯৬ সালে স্বাক্ষরিত ৩০ বছর মেয়াদি গঙ্গা পানি বণ্টন চুক্তির মেয়াদ শেষ হতে যাচ্ছে ২০২৬ সালে। কিন্তু নতুন কোনো চুক্তির আভাস পাওয়া যাচ্ছে না। এ অবস্থায় জনমনে প্রশ্ন জেগেছে নতুন চুক্তি হলে বাংলাদেশ কী পানির ন্যায্য হিস্যা বুঝে পাবে, নাকি আরো সংকুচিত হবে।
গবেষক ও বিশ্লেষকদের মতে, গত ৫০ বছরে ফারাক্কা বাঁধের প্রত্যক্ষ প্রভাবে বাংলাদেশের আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে প্রায় তিন বিলিয়ন ডলারে। তবে পরোক্ষ ক্ষতির হিসাব করলে এ সংখ্যা আরো বহুগুণে বেড়ে যাবে, যা পুরো দেশের অর্থনীতির জন্য এক ভয়ঙ্কর হুমকি।
তাদের দাবি, গঙ্গার পানি প্রবাহে বাধার ফলে পদ্মা ও তার শাখা-প্রশাখা নদীগুলোর নাব্য মারাত্মকভাবে হ্রাস পেয়েছে, তলদেশ ভরাট হয়ে উঠেছে, কৃষি ও মৎস্য উৎপাদন চরম বিপর্যস্ত। ফারাক্কার প্রভাব কেবল পানি সংকটেই সীমাবদ্ধ নয়, এটি একটি সুদূরপ্রসারী সামাজিক-অর্থনৈতিক ও পরিবেশগত বিপর্যয়। পদ্মা, মহানন্দা, আত্রাইসহ প্রায় ৫০টিরও বেশি নদী আজ প্রায় মুমূর্ষু।
বিশেষজ্ঞদের গবেষণায় উঠে এসেছে, ফারাক্কা বাঁধের কারণে বাংলাদেশে কমপক্ষে ছয় কোটিরও বেশি মানুষ সেচের পানির অভাবে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। এদের মধ্যে উত্তরাঞ্চলের প্রায় দুই কোটি এবং দক্ষিণ ও মধ্যাঞ্চলের চার কোটি মানুষ সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে।
নদী গবেষক মাহবুব সিদ্দিকী বলেন, ফারাক্কার প্রভাবে গঙ্গা-কপোতাক্ষ প্রকল্পে পানি স্বল্পতার কারণে ৬৫ শতাংশ এলাকায় সেচ কার্যক্রম মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। উজান থেকে স্বাদু পানির সরবরাহ কমে যাওয়ায় দেশের দক্ষিণাঞ্চলে লবণাক্ততা উদ্বেগজনক হারে বেড়েছে, যা জমির উর্বরতা শক্তি কমিয়ে দিচ্ছে।
তিনি আরো বলেন, বরেন্দ্র অঞ্চল, বিশেষ করে উচ্চ বরেন্দ্রের প্রায় শতভাগ গভীর নলকূপই এখন অকেজো। ২১ শতাংশ অগভীর নলকূপ প্রায় অকার্যকর হয়ে পড়েছে। ভূগর্ভস্থ পানির স্তর অস্বাভাবিক নিচে নেমে যাওয়ায় হস্তচালিত পাম্পগুলোও আর কাজ করছে না। এছাড়া, ভূগর্ভস্থ পানিতে আর্সেনিকের বিষাক্ত প্রভাবে উত্তর ও উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের বহু জেলায় নলকূপের পানি এখন পান করার অযোগ্য। বৃহত্তর খুলনা অঞ্চলে লবণাক্ততা বেড়ে যাওয়ায় প্রচলিত ধান উৎপাদন হ্রাস পেয়েছে। স্বাদু পানির অভাবে খুলনা ও সাতক্ষীরা অঞ্চলে সুন্দরবনের প্রাণবৈচিত্র্য ক্রমাগত ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
মাহবুব সিদ্দিকীর মতে, ফারাক্কা ব্যারাজ দিয়ে ভারতের পানি উত্তোলনের কারণে বাংলাদেশের সরাসরি বার্ষিক ক্ষতি হচ্ছে প্রায় পাঁচ হাজার কোটি টাকা। পরোক্ষ ক্ষতি এর চেয়ে অনেক বেশি।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার এবং বাংলাদেশ নদী বাঁচাও আন্দোলনের রাজশাহী শাখার সভাপতি অধ্যাপক ইফতেখারুল আলম মাসউদ বলেন, এই মানবসৃষ্ট দুর্বিপাকের ফলে গত ৫০ বছরে বাংলাদেশের কৃষি, মৎস্য, বনজ, শিল্প, নৌপরিবহন ও পানি সরবরাহ ব্যবস্থা মারাত্মক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে। শুষ্ক মৌসুমে নদীর পানি প্রবাহ কমে যাওয়ায় ভূগর্ভস্থ পানির স্তর অস্বাভাবিক নিচে নেমে গেছে, ফলে সাধারণ টিউবওয়েলেও পানি পাওয়া যাচ্ছে না। মানুষের খাবার পানি ও গৃহস্থালি কাজে পানির মারাত্মক সংকট তৈরি হয়েছে। এই অবস্থা চলতে থাকলে দেশ মরূকরণের দিকেই ধাবিত হবে।
তিনি সতর্ক করে দিয়ে বলেন, গঙ্গার এই বাঁধের কারণে বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের পরিবেশগত বিপর্যয় ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। লবণাক্ততা বৃদ্ধির কারণে বিশ্ব ঐতিহ্য সুন্দরবন ম্যানগ্রোভ বন ধ্বংসের মুখোমুখি। পদ্মার একটি বড় শাখা নদী গড়াই ইতোমধ্যে কার্যত শুকিয়ে গেছে।
তিনি বলেন, ফারাক্কা বাঁধ নির্মাণের আগে খুলনা অঞ্চলে লবণাক্ততার পরিমাণ ছিল মাত্র ৫০০ মাইক্রোমোস। ফারাক্কার পানি প্রত্যাহারের পর এ পরিমাণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৯ হাজার ৫০০ মাইক্রোমোসে পৌঁছেছে।
প্রায় ৪০ বছরের বেশি সময় ধরে নদীকে কাছ থেকে দেখেছেন নজরুল মোল্লা। স্মৃতিকাতর হয়ে তিনি বলেন, পদ্মার অনেক শাখা নদীই গত ৫০ বছরে শুকিয়ে মরেছে। আগে পদ্মা কয়েক কিলোমিটার প্রশস্ত ছিল। শুষ্ক মৌসুমে এখন অনেক জায়গায় এটিকে একটি সরু খাল বললেও ভুল হবে।
এদিকে, গত ৩০ অক্টোবর পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও নওগাঁ জেলার মোট ২৫টি উপজেলার ৪৭টি ইউনিয়নকে ‘অতি উচ্চ পানি সংকটাপন্ন’, ৪০টি ইউনিয়নকে ‘উচ্চ পানি সংকটাপন্ন’ এবং ৬৬টি ইউনিয়নকে ‘মধ্যম মাত্রার পানি সংকটাপন্ন’ এলাকা হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনায় বলা হয়েছে, পানি আইনের ধারা অনুযায়ী এসব এলাকায় পানিসম্পদের অগ্রাধিকারভিত্তিক ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। খাবার পানি ছাড়া অন্য কোনো কাজে নতুন নলকূপ স্থাপন ও ভূগর্ভস্থ পানি উত্তোলন সম্পূর্ণ রূপে বন্ধ রাখতে হবে।
নদী ও পরিবেশবিষয়ক গবেষকদের মতে, ১৯৯৬ সালের গঙ্গা পানি বণ্টন চুক্তি ছিল অনেকটাই ‘শুভঙ্করের ফাঁকি’। তাই এখনই পরবর্তী চুক্তির জন্য কূটনৈতিক প্রস্তুতি জোরদার করা জরুরি। ভারতের আচরণে বাংলাদেশ একরকম অনিশ্চয়তার মধ্যে রয়েছে বলে মনে করেন তারা।
বিশ্লেষকরা মনে করেন, চুক্তির সময়সীমা শেষ হওয়ার আগেই বাংলাদেশকে আন্তর্জাতিক নদী আইনের আলোকে তার অবস্থান শক্ত করতে হবে। নতুন চুক্তিতে এমন গ্যারান্টি ক্লজ সংযুক্ত করতে হবে, যাতে বাংলাদেশ অংশে গঙ্গার একটি ন্যূনতম ও নিশ্চিত প্রবাহ বজায় থাকে। দুই দেশের যৌথ নদী কমিশনের ভূমিকা আরো কার্যকর করতে হবে এবং নদীসংক্রান্ত সব তথ্য-উপাত্ত স্বচ্ছভাবে বিনিময় করতে হবে।
পাশাপাশি, পদ্মাসহ অন্যান্য নদীর নাব্য ফিরিয়ে আনতে ব্যাপক ড্রেজিং ও তীররক্ষা কার্যক্রম হাতে নেওয়া দরকার। স্থানীয় জনগোষ্ঠীর মতামত ও অংশগ্রহণ নিশ্চিত করাও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে জানান তারা।

গাজীপুরের টঙ্গীতে তুলার গুদামে ভয়াবহ আগুন আড়াই ঘণ্টা পর নিয়ন্ত্রণে এসেছে। এরআগে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের পশ্চিম পাশে মিলগেট শহীদ সুন্দর আলী সড়কে শনিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে আগুন লাগে। খবর পেয়ে টঙ্গী, উত্তরা ও কুর্মিটোলা ফায়ার সার্ভিসের ৭টি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণ করে।
৪ মিনিট আগে
খাগড়াছড়ি জেলার মহালছড়ি বাজারে অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে জেলা জামায়াতের পক্ষথেকে আর্থিক সহায়তা প্রদান। শনিবার সকাল ১১টায় জেলা জামায়াত আমীর অধ্যাপক সৈয়দ আব্দুল মোমেন ও জেলা জামায়াত মনোনীত প্রার্থী এডভোকেট এয়াকুব আলী চৌধুরীর নেতৃত্বে জামায়াত প্রতিনিধি দলটি ক্ষতিগ্রস্ত বাজার পরিদর্শন করেন এবং ক্ষত
১১ মিনিট আগে
কুমিল্লার লাকসাম উপজেলায় বন্দুক ঠেকিয়ে একটি এতিমখানার ২৫ লাখ টাকার ১২টি গরু লুট করে নিয়েছে দুর্বৃত্তরা। তিন মাসে দুই দফায় সংঘটিত এ ঘটনায় প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও কেয়ারটেকারসহ আটজন আহত হয়েছেন।
২৪ মিনিট আগে
সাতক্ষীরার শ্যামনগরে স্থানীয়দের সহায়তায় আগ্নেয়াস্ত্র তৈরির সরঞ্জামসহ সুন্দরবনের দুই জলদস্যুকে আটক করেছে পুলিশ। শুক্রবার (৭ নভেম্বর) রাত ১১টার দিকে উপজেলার গাবুরা ইউনিয়নের ২নং খেয়াঘাট এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়।
১ ঘণ্টা আগে