বিএসএফের হাতে খুন হওয়া সৈয়বুরের লাশ উদ্ধার, নিখোঁজ রুহুল

রাজশাহী অফিস
প্রকাশ : ০১ আগস্ট ২০২৫, ১৭: ১৪
আপডেট : ০১ আগস্ট ২০২৫, ১৭: ৩৪

চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার পাঁকা ইউনিয়নের দশরশিয়া গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা মতিউর রহমানের ছেলে সৈয়বুর আলী (২৬) এবং একই গ্রামের মনিরুল ইসলাম পুটুর ছেলে রুহুল আলী (২৭) সীমান্ত অতিক্রম করে গরু-মহিষ আনতে সোমবার রাতে ভারতে যায়।

ওই রাতেই তারা এক জোড়া করে মহিষ নিয়ে পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদ জেলার ধুলিয়ান ঘাট থেকে পদ্মা নদীতে নেমে পড়েন। উদ্দেশ্য ছিল মহিষ ভাসিয়ে দিয়ে পদ্মার পানির স্রোতের ভাটিতে চাঁপাইনবাবগঞ্জের মনোহরপুর বা বোগলাউড়ি এলাকার তীরে উঠে যাওয়া। কিন্তু বিএসএফের হাতে ধরা পড়ে নৃশংস হত্যাকাণ্ডের শিকার হন সৈয়বুর আলী। সঙ্গী রুহুল আলীরও খোঁজ নেই চার দিন ধরে।

বিজ্ঞাপন

এলাকার সূত্রগুলো থেকে জানা যায়, মুর্শিদাবাদ জেলার নিমতিতা বিএসএফ ফাঁড়ির একটি টহল দল টের পেরে স্পিড বোট ছেড়ে পদ্মা নদীতে ধাওয়া করে সৈয়বুর ও রুহুলকে। কিন্তু মহিষ ছেড়ে দিয়ে রুহুল ও সৈয়বুর পালানোর চেষ্টা করলেও সৈবুর ধরা পড়ে যান। বিএসএফ সদস্যরা সৈয়বুরকে ধারালো ও ফলাজাতীয় অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে ও খুঁচিয়ে হত্যা করে লাশ পদ্মায় ভাসিয়ে দেয় কিন্তু রুহুলের কি অবস্থা তা জানা যায়নি।

বৃহস্পতিবার বিকালে রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার ফুলতলা ঘাট এলাকায় পদ্মায় ভাসমান অবস্থায় সৈয়বুরের ক্ষত-বিক্ষত লাশ পাওয়া যায়।

রাজশাহীর গোদাগাড়ী নৌপুলিশ ফাঁড়ির ওসি তৌহিদুল ইসলাম জানান, সৈয়বুরের সারা শরীরে ধারালো অস্ত্রের অসংখ্য ক্ষতচিহ্ন রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে তাকে কুপিয়ে ও খুঁচিয়ে হত্যা করা হয়েছে।

তিনি আরও জানান, গোদাগাড়ীর ফুলতলা ঘাটের একজন মাঝি পদ্মায় একটি লাশ ভাসতে দেখে নৌপুলিশকে খবর দেন। খবর পেয়ে বৃহস্পতিবার বিকালে পুলিশ পদ্মা নদী থেকে লাশটি উদ্ধার বরে। বিএসএফ সৈয়বুরকে হত্যার পর তার মোবাইল ফোন সেটের সব নম্বর ডিলিট করে সেটটি গামছায় বেঁধে কোমরের সঙ্গে বেঁধে দিয়েছিল। মোবাইল ফোনের সিমটি চালুর পরপরই একটি ফোন কল আসে তার নম্বরে। ফোন কলটি তার পরিবারের কোনো সদস্যের। তারাই নিশ্চিত করেন নম্বরটি সৈয়বুর রহমানের। সন্ধ্যার দিকে তার দুজন আত্মীয় গোদাগাড়ী নৌপুলিশ ফাঁড়িতে গিয়ে সৈয়বুরের লাশ শনাক্ত করেন। পরে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য রাতে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠানো হয়।

ওসি আরও জানান, সৈয়বুরের একজন চাচাতো ভাই তাকে জানিয়েছেন, সৈয়বুর সোমবার রাতে রুহুলসহ আরও কয়েকজনের সঙ্গে সীমান্ত পেরিয়ে গরু মহিষ আনতে ভারতে গিয়েছিল। রাতেই তার বাড়ি ফেরার কথা ছিল। কিন্তু পরদিন সকালেও বাড়ি না ফেরায় এবং মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়ায় তারা সংশয়ে ছিলেন সৈয়বুর হয়তো বিএসএফের হাতে ধরা পড়েছে। এরপর পরিবারের সদস্যরা বিভিন্নভাবে খবর পেয়ে সৈয়বুরের লাশের খোঁজে চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে রাজশাহীর গোদাগাড়ী পর্যন্ত পদ্মার বিভিন্ন পয়েন্টে নজরদারি করছিলেন।

সাব-জেলে অভিযুক্ত সেনা কর্মকর্তারা, সরকারের কাছে যে আহ্বান জানালেন ব্যারিস্টার আরমান

অসদাচারণের দায়ে টঙ্গী পাইলট স্কুলের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষকে শোকজ

জরুরি অবস্থা জারি করলেন পেরুর প্রেসিডেন্ট

গুম-খুনে জড়িত ১৫ সেনা কর্মকর্তা চাকরিচ্যুত। ট্রাইব্যুনালে হাজির। সাবজেলে প্রেরণ

এবার ১ টাকায় গরুর মাংস বিতরণের ঘোষণা সেই এমপি প্রার্থীর

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত