
দুপুরে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা গেছে, নদীর পানি ও পাড়ে প্রায় অর্ধশত স্থান থেকে বুদ্বুদ উঠছে। এর মধ্যে বালুর বুদ্বুদগুলো থেকে গ্যাস বের হওয়ার শব্দও পাওয়া যাচ্ছে। স্থানীয় বাসিন্দা মো. শিহাব জানিয়েছেন, সম্প্রতি নদীর এই স্থানটিতেই নৌকা ডুবে তিনজনের মৃত্যু হয়। লাশ উদ্ধারের জন্য সেদিন ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরিদল
পদ্মা পাড়ি দিয়ে প্রতিদিন যাতায়াত করতে হয় পাবনা ও কুষ্টিয়ার ১৬ গ্রামের প্রায় ৪০ হাজার মানুষকে। কাগজে-কলমে এক জেলার বাসিন্দা হলেও জীবন-জীবিকার প্রায় সব চাহিদাই মেটাতে হয় অন্য জেলায় গিয়ে। নদী-বালুর সুদীর্ঘ পথ পাড়ি দেওয়া এই মানুষদের দুঃখ-দুর্দশার যেন শেষ নেই।
শুকিয়ে খালে পরিণত হয়ে যাওয়া একসময়ের প্রমত্ত পদ্মায় ভারতের উজান থেকে নেমে আসছে অভিশপ্ত অতিথি পানি। এই পানিতে পদ্মায় প্রাণ ফিরলেও মাত্র তিন মাসও তা স্থায়ী থাকবে না। এর মধ্যে ফের শুষ্কতায় রূপ নেবে।
লালপুর উপজেলার নওপাড়া হাজী আফছার আলী মদিনাতুল উলুম হাফেজিয়া মাদ্রাসার মুহতামিম আল-আমিন হোসেন দুপুরে ১০-১২ জন ছাত্র নিয়ে পদ্মা নদীতে গোসল করতে যান। সাঁতার কাটার সময় ফরিদ ও রাব্বানি দুই শিক্ষার্থী পানিতে তলিয়ে যান।