আমার দেশ জনপ্রিয় বাংলা নিউজ পেপার

পদ্মায় ভাঙন আতঙ্কে নদীপাড়ের মানুষ

আতিকুর রহমান, চারঘাট (রাজশাহী)
পদ্মায় ভাঙন আতঙ্কে নদীপাড়ের মানুষ

টানা বর্ষণ ও পদ্মায় পানির তীব্র স্রোতে চারঘাট উপজেলার নদী তীরবর্তী এলাকায় ভাঙন দেখা দিয়েছে। এতে ভাঙন আতঙ্কে রয়েছেন নদীপাড়ের মানুষ।

জানা গেছে, গত কয়েক সপ্তাহে উপজেলার গোপালপুর, চন্দনশহর, পিরোজ এলাকার প্রায় কয়েক কিলোমিটার ফসলি জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। হুমকির মধ্যে রয়েছে প্রাথমিক স্কুল, মসজিদ, রাস্তাসহ একাধিক বসতবাড়ি। আর প্রতিশ্রুতি নয়, নদীভাঙন রোধে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব স্থায়ী প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা গ্রহণ করার অনুরোধ করেন নদীপাড়ে বসবাসরত একাধিক স্থানীয় এলাকাবাসী।

বিজ্ঞাপন

গোপালপুর গ্রামের বিল্লাল হোসেন (৬৫) জানান, স্বাধীনতার পরেও পদ্মা নদীটি চারঘাট উপজেলা গোপালপুর ও চন্দনশহর এলাকায় পদ্মা নদীটি ভারতের সাহেবনগর সীমানা দিয়ে প্রবাহিত হতো। কিন্তু কালের বিবর্তনে গত ৩৫ বছরে নদীর দিক পরিবর্তন হয়ে তীর ভাঙতে ভাঙতে এখন পুরোটাই বাংলাদেশ সীমানা দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। নদীগর্ভে বিলীন হয়ে মানচিত্র থেকে উঠে গেছে চন্দনশহর নামের একটি মৌজা, গোপালপুর ও পিরোজপুরের অধিকাংশ এলাকা। গত এক বছরে তার নিজের ১০ বিঘাসহ প্রায় ২০০ বিঘা কৃষিজমি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে এবং নিঃস্ব হয়ে গেছে প্রায় শতাধিক ব্যক্তি ।

চন্দনশহরের বাসিন্দা সিকেন্দার বলেন, নদীভাঙন এখন আমাদের জীবনের স্থায়ী যন্ত্রনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। আমাদের পরিবারের বসতভিটাসহ প্রায় ৫০ বিঘা কৃষিজমি পদ্মায় বিলীন হয়ে গেছে। এভাবে চলতে থাকলে চন্দনশহরের মতো গোপালপুর ও পিরোজপুর গ্রামও একদিন দেশের মানচিত্র থেকে হারিয়ে যাবে বলে তিনি মনে করেন।

পানি উন্নয়ন বোর্ড, রাজশাহীর উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী পার্থ সরকার বলেন, নদীর পানি বৃদ্ধির ফলে প্রবল স্রোত হচ্ছে। এ কারণে কিছু কিছু জায়গায় ভাঙন দেখা দিয়েছে। তবে যত দ্রুত সম্ভব সরেজমিনে নদীভাঙন এলাকা পরিদর্শন করে নদীভাঙন প্রতিরোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Google News Icon

আমার দেশের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন