প্রতিনিধি, শরীয়তপুর
শরীয়তপুরের জাজিরার পাইনপাড়া মৌজার হাজী অসিমদ্দিন মাদবরের কান্দি গ্রামের পদ্মার তীরে ময়না বেগম স্বামী ও সন্তান নিয়ে বসবাস করতেন। পঞ্চমবারের মতো ওই এলাকায় পদ্মা নদী ভাঙন শুরু হয়। এবারের ভাঙ্গনে তার বসত ঘর নদীতে বিলীন হয়ে যায়। কোনোমতে স্বামী-সন্তান ও একটি গরু নিয়ে রক্ষা পেয়েছেন তিনি। এছাড়া চাল চুলোর কোন কিছুই রক্ষা পায়নি তাদের। বর্তমানে প্রতিবেশীর একটি ঘুপরি ঘরে গরুর সাথে স্বামী-সন্তান নিয়ে বসবাস করছেন ময়না বেগম।
ময়না বেগম জানায়, পদ্মা সেতু প্রকল্পের বেরীবাধের পাশে জিরো পয়েন্টে তাদের বসবাস। এবছর আরো তিনবার বেরীবাধের কিছু অংশ পদ্মা গর্ভে বিলীন হয়ে যায়। চতুর্থবারের মতো (গত ১ আগস্ট বৃহস্পতিবার রাতে) ভাঙন শুরু হলে তাদের বসত ঘর নদীগর্ভে চলে যায়। সংসারের মায়া ত্যাগ করে ১ বছর বয়সী শিশু সন্তান সিয়াম ও স্বামী রিপন তালুকদারকে নিয়ে ঘর থেকে বেরিয়ে যায় ময়না। সেই থেকে প্রতিবেশীর পরিত্যক্ত ঘরে গরুর সাথে বসবাস করছেন তারা। এ পর্যন্ত আত্মীয়ের বাড়ি থেকে ২ বেলা খাবার পেয়েছেন। চাল-চুলোহীন ময়না বেগমের দিন রোদ-বৃষ্টিতে কাটলেও রাত অন্ধকারে গরু ও মশার সাথে কাটে। রিলিফ না স্থায়ী বেরীবাধ ও নিরাপদ বাসস্থলের চাহিদা তাদের।
এমন দৃশ্যে আরো দেখা যায় ওই গ্রামের হারুন মাদবরের পরিবারকে। তার ছেলে শামসুল হক জানায়, তাদের বসত ঘর ভাঙ্গনের কবলে পড়ার পূর্বেই সরিয়ে নিয়ে রাস্তার রেখেছেন। এই পর্যন্ত কোন থাকার জায়গা করতে পারেনি তারা। তারা বর্তমানে যাযাবরের মতো দিন কাটাচ্ছেন। রাত হলে প্রতিবেশীর একটি রান্না ঘরে থাকেন তারা। তাদেরও একই দাবী স্থায়ী বেরীবাধ। যাতে নিরাপদে বসবাস করতে পারেন তারা।
আমির তালুকদারের স্ত্রী রাহিলা বেগম জানায়, নদীগর্ভে গোয়াল ঘর ও রান্না ঘর চলে যাওয়ার পরে বসত ঘর সরিয়ে রাস্তার পাশে রেখেছেন। বাৎসরিক খাজনায় জমি খুঁজছেন। জমি পেলে সেখানে ঘর উঠিয়ে বসবাস করবেন। এখনও তাদের মাথা গোজার স্থান হয়নি। খোলা আকাশের নিচে মানবেতর দিন কাটাছে তাদের।
শরীয়তপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ তারেক হাসান জানিয়েছেন, ভাঙন রোধে বালুভর্তি জিও ব্যাগ ও টিউব ডাম্পিং চলছে। স্থায়ীভাবে ভাঙন ঠেকাতে আগামী বর্ষার আগেই স্থায়ী বাঁধের কাজ শুরু হবে।
শরীয়তপুরের জেলা প্রশাসক তাহসিনা বেগম বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো তালিকা করে সহযোগিতা দেওয়া হবে। যারা জমি ও বসতঘরসহ সব হারিয়েছেন তাদের জমিসহ ঘর দেয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের সাথে কথা বলে স্থায়ী বাধ নির্মাণের ব্যবস্থা করা হবে।
শরীয়তপুরের জাজিরার পাইনপাড়া মৌজার হাজী অসিমদ্দিন মাদবরের কান্দি গ্রামের পদ্মার তীরে ময়না বেগম স্বামী ও সন্তান নিয়ে বসবাস করতেন। পঞ্চমবারের মতো ওই এলাকায় পদ্মা নদী ভাঙন শুরু হয়। এবারের ভাঙ্গনে তার বসত ঘর নদীতে বিলীন হয়ে যায়। কোনোমতে স্বামী-সন্তান ও একটি গরু নিয়ে রক্ষা পেয়েছেন তিনি। এছাড়া চাল চুলোর কোন কিছুই রক্ষা পায়নি তাদের। বর্তমানে প্রতিবেশীর একটি ঘুপরি ঘরে গরুর সাথে স্বামী-সন্তান নিয়ে বসবাস করছেন ময়না বেগম।
ময়না বেগম জানায়, পদ্মা সেতু প্রকল্পের বেরীবাধের পাশে জিরো পয়েন্টে তাদের বসবাস। এবছর আরো তিনবার বেরীবাধের কিছু অংশ পদ্মা গর্ভে বিলীন হয়ে যায়। চতুর্থবারের মতো (গত ১ আগস্ট বৃহস্পতিবার রাতে) ভাঙন শুরু হলে তাদের বসত ঘর নদীগর্ভে চলে যায়। সংসারের মায়া ত্যাগ করে ১ বছর বয়সী শিশু সন্তান সিয়াম ও স্বামী রিপন তালুকদারকে নিয়ে ঘর থেকে বেরিয়ে যায় ময়না। সেই থেকে প্রতিবেশীর পরিত্যক্ত ঘরে গরুর সাথে বসবাস করছেন তারা। এ পর্যন্ত আত্মীয়ের বাড়ি থেকে ২ বেলা খাবার পেয়েছেন। চাল-চুলোহীন ময়না বেগমের দিন রোদ-বৃষ্টিতে কাটলেও রাত অন্ধকারে গরু ও মশার সাথে কাটে। রিলিফ না স্থায়ী বেরীবাধ ও নিরাপদ বাসস্থলের চাহিদা তাদের।
এমন দৃশ্যে আরো দেখা যায় ওই গ্রামের হারুন মাদবরের পরিবারকে। তার ছেলে শামসুল হক জানায়, তাদের বসত ঘর ভাঙ্গনের কবলে পড়ার পূর্বেই সরিয়ে নিয়ে রাস্তার রেখেছেন। এই পর্যন্ত কোন থাকার জায়গা করতে পারেনি তারা। তারা বর্তমানে যাযাবরের মতো দিন কাটাচ্ছেন। রাত হলে প্রতিবেশীর একটি রান্না ঘরে থাকেন তারা। তাদেরও একই দাবী স্থায়ী বেরীবাধ। যাতে নিরাপদে বসবাস করতে পারেন তারা।
আমির তালুকদারের স্ত্রী রাহিলা বেগম জানায়, নদীগর্ভে গোয়াল ঘর ও রান্না ঘর চলে যাওয়ার পরে বসত ঘর সরিয়ে রাস্তার পাশে রেখেছেন। বাৎসরিক খাজনায় জমি খুঁজছেন। জমি পেলে সেখানে ঘর উঠিয়ে বসবাস করবেন। এখনও তাদের মাথা গোজার স্থান হয়নি। খোলা আকাশের নিচে মানবেতর দিন কাটাছে তাদের।
শরীয়তপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ তারেক হাসান জানিয়েছেন, ভাঙন রোধে বালুভর্তি জিও ব্যাগ ও টিউব ডাম্পিং চলছে। স্থায়ীভাবে ভাঙন ঠেকাতে আগামী বর্ষার আগেই স্থায়ী বাঁধের কাজ শুরু হবে।
শরীয়তপুরের জেলা প্রশাসক তাহসিনা বেগম বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো তালিকা করে সহযোগিতা দেওয়া হবে। যারা জমি ও বসতঘরসহ সব হারিয়েছেন তাদের জমিসহ ঘর দেয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের সাথে কথা বলে স্থায়ী বাধ নির্মাণের ব্যবস্থা করা হবে।
মঙ্গলবার (২১অক্টোবর) জিয়া সাইবার ফোর্সের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি কে,এম হারুন অর রশিদ ও সাধারন সম্পাদক মিয়া মোহাম্মদ রাজিবুল ইসলাম স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে সভাপতি- সাধারন সম্পাদকসহ ৫৩ সদস্য বিশিষ্ট নির্বাহি কমিটি ঘোষনা দেন। ওই কিমিটির নির্বাহি সদস্য হিসেবে নূর আলমের নাম রয়েছে।
১ ঘণ্টা আগেনিখোঁজ মুফতি মুহিবুল্লাহর ছেলে আব্দুল্লাহ জানান, তিনি জুমার নামাজে হিন্দু সম্প্রদায়ের সংগঠন ইসকন নিয়ে বয়ান করে ছিলেন। এরপর থেকে তাকে হুমকি দিয়ে বেশ কয়েকটি উড়ো চিঠি দেয়া হয়। এরপর থেকে তিনি বিষয়টি নিয়ে মসজিদ কমিটির সাথে কথা বলেন। একপর্যায়ে বুধবার সকাল থেকে তিনি নিখোঁজ হন।
২ ঘণ্টা আগেগাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলার ভরতখালীতে নদী শাসন ও ভাঙনরোধ প্রকল্পের কাজে বাধার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে গ্রামবাসী। বুধবার বিকেলে যমুনা নদীর তীর সংলগ্ন এলাকায় স্থানীয় নদীপাড়ের মানুষ এ মানববন্ধন করে।
২ ঘণ্টা আগেস্থানীয়রা জানান, আলমাস উপজেলার ৩ নম্বর চারিকাটা ইউনিয়নের নয়াখেল পূর্ব গ্রামের শরীফ উদ্দিনের ছেলে। জকিগঞ্জ ব্যাটালিয়নের (১৯ বিজিবি) সুইরঘাট বিওপির চার বিজিবি সদস্য দুটি মোটরসাইকেলযোগে চোরাইপণ্যবাহী একটি পিকআপকে ধাওয়া করেন। এ সময় বিজিবির ছোড়া গুলিতে আলমাস গুলিবিদ্ধ হন।
৩ ঘণ্টা আগে