মাউশিতে দুদক

৯১ ফাইল আটকে রাখার অভিযোগের সত্যতা মিলেছে

রাজশাহী ব্যুরো
প্রকাশ : ৩০ এপ্রিল ২০২৫, ১৮: ৪৩
আপডেট : ৩০ এপ্রিল ২০২৫, ১৮: ৪৪

মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) রাজশাহী আঞ্চলিক কার্যালয়ের উপপরিচালক (ডিডি) আলমগীর কবির এমপিও’র ৯১টি ফাইল আটকে রাখার অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) অভিযানে সত্যতা পায়।

বুধবার দুপুরে দুদকের একটি দল এই অভিযান চালায়। কর্মকর্তারা জানান, ডিডি আলমগীর কবির ঘুষ ছাড়া ফাইল অনুমোদন করেন না—এমন অভিযোগের ভিত্তিতেই এ পদক্ষেপ নেওয়া হয়।

বিজ্ঞাপন

এর আগেও গত ১১ মার্চ একই অফিসে অভিযান চালিয়ে ডিডি আলমগীর কবিরের বিরুদ্ধে ১৫১টি ফাইল আটকে রাখার প্রমাণ পেয়েছিল দুদক। এবার তার বিরুদ্ধে আরও ৯১টি ফাইল আটকে রাখার অভিযোগের সত্যতা মিলল।

দুদকের তথ্য অনুযায়ী, নতুন করে এমপিওভুক্তির জন্য সম্প্রতি ১৫২টি আবেদন জমা পড়ে। এগুলো প্রথমে পরিচালক মোহা. আছাদুজ্জামানের দপ্তরে জমা হয়। ত্রুটিপূর্ণ ৪৭টি আবেদন বাতিল করে তিনি বাকি ১০৫টি ফাইল সহকারী পরিচালক আলমাস উদ্দিনের কাছে পাঠান। পরবর্তীতে আলমাস উদ্দিন ফাইলগুলো ডিডি আলমগীর কবিরের কাছে পাঠান। কিন্তু তিনি ৯২টি ফাইল আর পরিচালকের কাছে পাঠাননি। এসব ফাইল ঢাকায় পাঠানোর জন্য এখন আর মাত্র দু’দিন সময় রয়েছে।

অভিযোগ রয়েছে, ফাইল আটকে রেখে ঘুষ আদায় করেন ডিডি আলমগীর কবির। অভিযান চালানোর সময় তিনি কার্যালয়ে উপস্থিত ছিলেন না। দুদকের কর্মকর্তারা পরিচালকের কাছ থেকেই প্রাসঙ্গিক তথ্য সংগ্রহ করেন। তার সঙ্গে ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি।

মাউশির রাজশাহী আঞ্চলিক কার্যালয়ের পরিচালক মোহা. আছাদুজ্জামান বলেন, ‘নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই ফাইল পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু ডিডি আলমগীর কবির নানা অজুহাতে তা করেননি। এর আগেও যখন তিনি ১৫১টি ফাইল আটকে রেখেছিলেন, তখন বহুবার অনুরোধ করেও কোনো লাভ হয়নি। তার বিষয়ে অনেক কথাই কানে আসে।’

দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আমির হোসাইন বলেন, ‘ঘুষের জন্য ফাইল আটকে রাখার অভিযোগের ভিত্তিতে এই অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। এবার ৯১টি ফাইল আটকে রাখার প্রমাণ পাওয়া গেছে। তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে শিগগিরই ঢাকায় প্রতিবেদন পাঠানো হবে।’

এমএস

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত