বগুড়ায় অবৈধ ইটভাটা বন্ধের পর আবারও চালু

স্টাফ রিপোর্টার, বগুড়া
প্রকাশ : ২০ মার্চ ২০২৫, ১৫: ২৭

বগুড়ায় স্থানীয় প্রশাসন ও পরিবেশ অধিদপ্তর হাইকোর্টের নির্দেশনায় অবৈধ ইটভাটা গুঁড়িয়ে দেয়ার পর আবারও চালু করেছেন মালিকরা। এতে পরিবেশ দূষণসহ নানা সমস্যায় পড়েছেন এলাকাবাসী।

বিজ্ঞাপন

জানা গেছে, উচ্চ আদালতের নির্দেশনা বাস্তবায়নে চলতি মার্চ মাসের প্রথমার্ধে বগুড়া জেলা সদর, শাজাহানপুর, শিবগঞ্জ ও গাবতলী উপজেলার ৬টি অবৈধ ইটভাটায় জেলা প্রশাসন ও পরিবেশ অধিদপ্তর সেনা, পুলিশ, ফায়ার সার্ভিসের সহযোগিতায় যৌথ অভিযান পরিচালনা করে অবৈধ ফিক্সড চিমনী ভেঙে দিয়ে জরিমানা আদায় করে। সেই সাথে ভাটা মালিকদের নিকট থেকে অবৈধ ভাটা পরিচালনা না করার অঙ্গীকারনামা আদায় করে। এসব ভাটা হলো সদরের সাবগ্রাম এলাকাস্থ মেসার্স এসবি ভাটা, শাজাহানপুরের দুরুলিয়া এনএমবি ভাটা, শিবগঞ্জের চন্ডিহারা এলাকার এইচএমবি ও ইসলাম ব্রাদার্স, জাহাঙ্গীরাবাদের আয়েশা ব্রিকস, গাবতলী উপজেলার কাগইল এলাকার এফসি ব্রিকস। এসব ভাটার সরকার নিষিদ্ধ অবৈধ ফিক্সড চিমনী গুড়িয়ে দিয়ে ৫ হাজার টাকা থেকে ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানা আদায় করে জেলা প্রশাসনের মোবাইল কোর্ট। সেই সাথে ভবিষ্যতে অবৈধ ভাটা পরিচালনা না করতে মুচলেকা নেয় প্রশাসন। এসময় হাইকোর্টের নির্দেশনা বাস্তবায়নে অবৈধ ভাটা বন্ধ, পোড়ানো ইটের পরিবর্তে পরিবেশ বান্ধব ব্লক ইট বা ফ্লাই অ্যাশ লাইম ও জিপসামের ইট তৈরির নির্দেশনা প্রদান করা হয়। কিন্তু অভিযানের কয়েক দিন যেতেই আবারও এসব ভাটায় অবৈধ চিমনী তৈরি করে ইট পোড়ানো শুরু হয়েছে।

সদরের সাবগ্রামে মেসার্স সারিয়াকান্দি ব্রিকস (এসবি) ফিল্ডে সরেজমিনে দেখা গেছে, গত ৬ মার্চ জেলা প্রশাসনের মোবাইল কোর্ট অবৈধ ফিক্সড চিমনী ভেঙে ফেলার পর পুনরায় নতুন করে ইট দিয়ে ফিক্সড চিমনী তৈরির কাজ শেষ পর্যায়ে।

সেখানে কর্তব্যরত ভাটা ম্যানেজার আরিফুল ইসলাম জানান, এখানে ১০ লাখ কাঁচা ইট তৈরি করা আছে। তাই এসব ইট পোড়াতে হবে বলে চিমনী তৈরি করা হচ্ছে। কিছু ইট পোড়ানোর পরই প্রশাসন ভেঙে দিয়েছে। ওই ভাটা পেরৗসভার সীমানার সাথে একটি স্কুলের পাশে অবস্থিত। এলাকাবাসী প্রশাসনের কাছে অভিযোগ দিলে অবশেষে ভাটা বন্ধ করে প্রশাসন। একইভাবে শাজাহানপুর উপজেলার খোট্রাপাড়া ইউনিয়নের দুরুলিয়া গ্রামের এনএমবি ভাটার অবৈধ ফিক্সড চিমনী গুড়িয়ে দেয় মোবাইল কোর্ট। কিন্তু ৭ দিন পার না হতেই ভাটা মালিক কাজী নূর ড্রাম দিয়ে চিমনী তৈরি করে ইট পোড়ানো শুরু করেছেন।

গতকাল বুধবার দুপুরে সরেজমিনে দেখা গেছে, শ্রমিকরা কাজ করছেন এবং ড্রামের চিমনি দিয়ে আগুনের ধোয়া আকাশের দিকে উড়ে যাচ্ছে। এ ব্যাপারে তার সাথে যোগাযোগ করে তার বক্তব্য জানা যায়নি। এ ছাড়া মোবাইল কোর্ট ভেঙে ফেলা অন্য ভাটাগুলোতেও নতুন চিমনী তৈরি করে ইট পোড়ানোর প্রস্তুতি চলছে।

বিষয়টি নিয়ে বগুড়া জেলা প্রশাসক হোসনা আফরোজা বলেন, যদি কেউ ভেঙে ফেলা অবৈধ চিমনী আবারও তৈরি করে ইট পোড়ানো শুরু করে তাহলে সেগুলো ভেঙে ফেলা হবে। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত