শিশুর ভিডিও ফেসবুকে পোস্ট

সমালোচনার মুখে এটিএসআই শফিকুল

স্টাফ রিপোর্টার, বগুড়া
প্রকাশ : ২২ আগস্ট ২০২৫, ০৬: ৩০

বগুড়ায় এক শিশু কন্যাকে ধর্ষণের অভিযোগে আরেক শিশুকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠালে আদালত শিশুটিকে কিশোর সংশোধনাগারে পাঠায়। সেই ঘটনায় গ্রেপ্তার শিশুর ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট দিয়ে ভাইরাল করেছে নারুলী ফাঁড়িতে কর্মরত এটিএসআই শফিকুল ইসলাম।

বিষয়টিকে কেন্দ্র করে শহরজুড়ে শুরু হয়েছে আলোচনা-সমালোচনা। একজন পুলিশ কর্মকর্তা নাবালক এক শিশুর ভিডিও বানিয়ে তার নিজস্ব ফেসবুক আইডিতে পোস্ট দিয়ে ভিউ বাণিজ্যের এই ঘটনায় বিস্মিত সচেতন মহল। এতে একদিকে যেমন ওই শিশুর পরিবার সামাজিকভাবে হেয়প্রতিপন্ন হয়েছে অন্যদিকে তার দায়িত্বজ্ঞানহীনতার পরিচয় প্রকাশ পেয়েছে বলে অভিমত আইনজীবী ও রাজনৈতিক নেতাদের।

বিজ্ঞাপন

অনুসন্ধানে জানা যায়, শফিকুল ইসলাম বেশ কয়েক বছর ধরে নারুলী পুলিশ ফাঁড়িতে এটিএসআই হিসেবে কর্মরত আছে। জুলাই বিপ্লবের পরে অনেক পুলিশ কর্মকর্তা বগুড়ার থানা ফাঁড়ি থেকে অন্যত্র বদলি হলেও তিনি রয়েছেন বহাল তবিয়তে। জুলাই বিপ্লবের সময় নারুলী ফাঁড়ি এলাকাধীন জামায়াত বিএনপির নেতাকর্মীদের ওপর গ্রেপ্তার চালানোর মূলহোতা ছিলেন এটিএসআই শফিকুল।

এ ব্যাপারে এটিএসআই শফিকুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমি ফেসবুক আইডিতে ভিডিও পোস্ট দিয়েছিলাম। পরে পোস্টটি ডিলিট করেছি। আপনি নারুলী ফাঁড়িতে কত বছর ধরে কর্মরত আছেন এবং ধর্ষিতার কোনো ডাক্তারি পরীক্ষা করেছেন কি না? এ প্রশ্নের উত্তর না দিয়ে ব্যস্ততা দেখিয়ে ফোন কেটে দেন তিনি।

ধর্ষিতা শিশুর বয়স পাঁচ বছর এবং ধর্ষণকারীর বয়স ১২ বছর। গত ১৯ আগস্ট দুপুর সারে ১২টায় বগুড়া সদরের সাবগ্রাম উত্তর পাড়ায় এই ঘটনা ঘটে।

বগুড়ার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২-এর পিপি মো. মোজাম্মেল হক আমার দেশকে বলেন, একজন সরকারি কর্মকর্তার কাছ থেকে এমন ঘটনা আমরা আশা করি না। এ ব্যাপারে বগুড়া জেলা পুলিশের মুখপাত্র ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আতোয়ার রহমান আমার দেশকে বলেন, বিষয়টি শুনেছি। তদন্ত সাপেক্ষে তার বিরুদ্ধে আইনগত বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত