রাজশাহীতে টিসিবির পণ্যের দাম বৃদ্ধিতে ক্ষুব্ধ ভোক্তারা

রাজশাহী ব্যুরো
প্রকাশ : ২২ মে ২০২৫, ২২: ৫৩
ছবি: সংগৃহীত

কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে সারা দেশের মতো রাজশাহীতেও বৃহস্পতিবার থেকে ট্রাকে করে তিনটি ভোগ্যপণ্য বিক্রি কার্যক্রম শুরু করেছে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি)। তবে পণ্যের দাম উল্লেখযোগ্য হারে বেড়ে যাওয়ায় অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন ভোক্তারা।

টিসিবির নির্ধারিত এ পণ্যগুলোর মধ্যে রয়েছে চিনি, মসুর ডাল ও ভোজ্যতেল। আগের তুলনায় প্রতিটি পণ্যের দাম ২০ থেকে ৩৫ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। এতে ভোক্তারা মনে করছেন, বাজারদরের সঙ্গে টিসিবির পণ্যের দামের পার্থক্য কমে যাওয়ায় নিম্নআয়ের মানুষের জন্য এসব পণ্য আর সহনীয় থাকছে না।

টিসিবি সূত্রে জানা গেছে, আগে প্রতি কেজি চিনি ৭০ টাকায় বিক্রি হলেও এখন তা ৮০ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে। ৬০ টাকার মসুর ডাল বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকায় এবং ১০০ টাকা লিটারের ভোজ্যতেলের বর্তমান দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১৩৫ টাকা।

নগরীর শিরোইল এলাকায় টিসিবির পণ্য ক্রয় করতে আসা জীবন বাবু বলেন, সকাল থেকে কয়েক ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়েছিলাম। পরে জানতে পারি সবগুলো পণ্যেরই দাম বাড়ানো হয়েছে। এতে আমরা হতাশ। এ সময় অপর এক ভোক্তা আগের দামে ফিরিয়ে আনার দাবি জানান।

মহানগরীর শালবাগান এলাকায় টিসিবির পণ্যের ট্রাকের পেছনে লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা আসলাম আলী, জানে আলমসহ কয়েকজন ভোক্তা জানান, বাজারদরের সঙ্গে টিসিবির পণ্যের দামের পার্থক্য কমে যাওয়ায় হতাশ তারা। এ সময় জানে আলম বলেন, আমাদের মতো নিম্নআয়ের মানুষের জন্য এসব পণ্য আর সহনীয় থাকছে না। তাই অবিলম্বে আগের দামেই এসব পণ্য বিক্রি করা হোক।

ভোক্তারা বলেন, মূল্যছাড়ের সুবিধা কার্যকরভাবে দিতে না পারলে টিসিবির উদ্দেশ্য প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে পড়বে। এজন্য টিসিবির পণ্যের মূল্য পুনর্বিবেচনার জন্য সরকারের কাছে দাবি জানিয়েছেন তারা।

টিসিবির রাজশাহীর আঞ্চলিক কার্যালয়ের উপপরিচালক আতিকুর রহমান মূল্যবৃদ্ধির প্রসঙ্গ এড়িয়ে গিয়ে বলেন, মহানগরীর ৩০টি ওয়ার্ডে নির্ধারিত ১০টি পয়েন্টে প্রতিদিন চার হাজার পরিবার এ পণ্যগুলো ন্যায্যমূল্যে ক্রয় করতে পারবেন। পাশাপাশি নিয়মিতভাবে কার্ডধারীদের মধ্যেও মাসিক ভিত্তিতে টিসিবির পণ্য সরবরাহ অব্যাহত রয়েছে।

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত